নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের শতকরা ৯১ ভাগ ব্যবহারকারী দিনের অর্ধেক সময় মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকেন। এই মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা মনে করেন মোবাইল ফোন ব্যবহারে তাদের জীবনমানের উন্নতি ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে নারীরা। এই হার ৬৩ শতাংশ। তবে বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ডিভাইসের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানী বনানীর একটি হোটেলে গ্রামীণফোন আয়োজিত ‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড’ শীর্ষক টেলিনরের এক সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে আসে। সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরেন গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান ও টেলিনর এশিয়ার প্রধান ইয়ুর্গেন সি অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ। টেলিনর এশিয়ার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়।
এশিয়ার আটটি দেশে ৮ হাজার মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপর এ সমীক্ষা পরিচালনা করে টেলিনর এশিয়া। এ দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে এ সমীক্ষা চালানো হয়। এই সমীক্ষার ফলে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে ৫টি বিষয় তুলে ধরা হয়।
সমীক্ষার তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশে শতকরা ৯১ ভাগ ব্যবহারকারী দিনের অন্তত অর্ধেক সময় এবং ২০ শতাংশ ব্যবহারকারী সব সময় ফোন ব্যবহার করেন। দিনের অন্তত অর্ধেক সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী উত্তরদাতারা মনে করেন মোবাইল ব্যবহার করার মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে আছেন। এ হার ৬৩ শতাংশ। এছাড়াও সমীক্ষায় বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের কারণে তাদের জীবনমান উন্নত হয়েছে মনে করেন ৫৯ শতাংশ নারী এবং ৫০ শতাংশ পুরুষ।
সমীক্ষায় আরও দেখা যায়, ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার প্রয়োজনীয় দক্ষতা বিকাশের ব্যাপারে শঙ্কিত। শতকরা ৭৩ ভাগ বাংলাদেশি জানিয়েছেন, আগামী এক থেকে দুই বছরে তাঁদের মোবাইল ফোন ব্যবহার বাড়বে এবং গত দু বছরে দেশে এ ডিজিটাল রূপান্তরের গতি কমে আসার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
সমীক্ষায় এসেছে, ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি মোবাইল ফোন ডিভাইসের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন। গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন কম বয়সী ব্যবহারকারীরা, ৮৯ শতাংশ। তবে তাদের ৭১ শতাংশ স্বীকার করেছেন, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে জীবনের মানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। শতকরা ৭৪ শতাংশ বাংলাদেশি বিশ্বাস করেন, ডিজিটাল মাধ্যমের সহজলভ্যতা (এক্সেস) একটি পরিবেশবান্ধব জীবন যাপনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শতকরা ৬৯ ভাগ বাংলাদেশি মনে করেন, কাগজ, বর্জ্য এবং বিদ্যুতের ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে এবং যোগাযোগকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুললে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।
সমীক্ষায় এসেছে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগের (কানেকটিভিটি) কারণে শিক্ষা (৬৪ শতাংশ) এবং স্বাস্থ্যসেবার (৫৫ শতাংশ) মতো প্রয়োজনীয় সেবা আরও সহজলভ্য করে। পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি নারী মনে করেন, মোবাইল সংযোগ তাঁদের কর্মসংস্থান এবং উপার্জনের বিকল্পগুলো উন্নত করেছে। সেই সঙ্গে এটি তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে আরও বেশি দক্ষতা এবং উৎপাদন
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান ও টেলিনর এশিয়ার প্রধান ইয়নে সি অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ বলেন, ‘অনেকে ক্ষেত্রেই শোনা যায়, মোবাইল ডিভাইস মানুষের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করছে, আশপাশের বিষয় থেকে তাদের নিরুৎসাহিত করছে এবং সম্পর্ক ও পারস্পরিক যোগাযোগ দক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কিন্তু এই সমীক্ষা আমাদের অন্যরকম ধারণা দিচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারির আগের সময়ের তুলনায় এশিয়ার দেশগুলোতে মোবাইল ডেটা ব্যবহারের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে, যা ঘরে-বাইরে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমাদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টার কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও আর্থিক সেবার ক্ষেত্রে মোবাইল প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে; নগর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়েছে।’
দেশের শতকরা ৯১ ভাগ ব্যবহারকারী দিনের অর্ধেক সময় মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকেন। এই মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা মনে করেন মোবাইল ফোন ব্যবহারে তাদের জীবনমানের উন্নতি ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে নারীরা। এই হার ৬৩ শতাংশ। তবে বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ডিভাইসের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানী বনানীর একটি হোটেলে গ্রামীণফোন আয়োজিত ‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড’ শীর্ষক টেলিনরের এক সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে আসে। সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরেন গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান ও টেলিনর এশিয়ার প্রধান ইয়ুর্গেন সি অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ। টেলিনর এশিয়ার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়।
এশিয়ার আটটি দেশে ৮ হাজার মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপর এ সমীক্ষা পরিচালনা করে টেলিনর এশিয়া। এ দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে এ সমীক্ষা চালানো হয়। এই সমীক্ষার ফলে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে ৫টি বিষয় তুলে ধরা হয়।
সমীক্ষার তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশে শতকরা ৯১ ভাগ ব্যবহারকারী দিনের অন্তত অর্ধেক সময় এবং ২০ শতাংশ ব্যবহারকারী সব সময় ফোন ব্যবহার করেন। দিনের অন্তত অর্ধেক সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী উত্তরদাতারা মনে করেন মোবাইল ব্যবহার করার মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে আছেন। এ হার ৬৩ শতাংশ। এছাড়াও সমীক্ষায় বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের কারণে তাদের জীবনমান উন্নত হয়েছে মনে করেন ৫৯ শতাংশ নারী এবং ৫০ শতাংশ পুরুষ।
সমীক্ষায় আরও দেখা যায়, ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার প্রয়োজনীয় দক্ষতা বিকাশের ব্যাপারে শঙ্কিত। শতকরা ৭৩ ভাগ বাংলাদেশি জানিয়েছেন, আগামী এক থেকে দুই বছরে তাঁদের মোবাইল ফোন ব্যবহার বাড়বে এবং গত দু বছরে দেশে এ ডিজিটাল রূপান্তরের গতি কমে আসার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
সমীক্ষায় এসেছে, ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি মোবাইল ফোন ডিভাইসের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন। গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন কম বয়সী ব্যবহারকারীরা, ৮৯ শতাংশ। তবে তাদের ৭১ শতাংশ স্বীকার করেছেন, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে জীবনের মানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। শতকরা ৭৪ শতাংশ বাংলাদেশি বিশ্বাস করেন, ডিজিটাল মাধ্যমের সহজলভ্যতা (এক্সেস) একটি পরিবেশবান্ধব জীবন যাপনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শতকরা ৬৯ ভাগ বাংলাদেশি মনে করেন, কাগজ, বর্জ্য এবং বিদ্যুতের ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে এবং যোগাযোগকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুললে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।
সমীক্ষায় এসেছে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগের (কানেকটিভিটি) কারণে শিক্ষা (৬৪ শতাংশ) এবং স্বাস্থ্যসেবার (৫৫ শতাংশ) মতো প্রয়োজনীয় সেবা আরও সহজলভ্য করে। পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি নারী মনে করেন, মোবাইল সংযোগ তাঁদের কর্মসংস্থান এবং উপার্জনের বিকল্পগুলো উন্নত করেছে। সেই সঙ্গে এটি তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে আরও বেশি দক্ষতা এবং উৎপাদন
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান ও টেলিনর এশিয়ার প্রধান ইয়নে সি অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ বলেন, ‘অনেকে ক্ষেত্রেই শোনা যায়, মোবাইল ডিভাইস মানুষের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করছে, আশপাশের বিষয় থেকে তাদের নিরুৎসাহিত করছে এবং সম্পর্ক ও পারস্পরিক যোগাযোগ দক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কিন্তু এই সমীক্ষা আমাদের অন্যরকম ধারণা দিচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারির আগের সময়ের তুলনায় এশিয়ার দেশগুলোতে মোবাইল ডেটা ব্যবহারের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে, যা ঘরে-বাইরে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমাদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টার কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও আর্থিক সেবার ক্ষেত্রে মোবাইল প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে; নগর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়েছে।’
মানিকগঞ্জের ঘিওরে কৃষক স্বপন মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. বিল্লাল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার ভোরে রাজধানীর হাজী ক্যাম্প রোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ মিনিট আগেমূল সড়কে অটোরিকশা চালানোর দাবিতে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় চালকেরা বিক্ষোভ করলে মারধরের শিকার হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাঁদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে...
২৭ মিনিট আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
২ ঘণ্টা আগে