আল-আমিন রাজু, ঢাকা
‘হঠাৎ একদল হিজড়া আমার বাসায় এসে বলে, আপনাদের বাসায় বাচ্চা (নবজাতক) আছে। আমাদের কোনো ছোট বাচ্চা নেই শুনে ছয়-সাতজন হিজড়া বাসায় ঢুকে প্রতিটি রুম তছনছ করে। তারা অকথ্য গালাগালসহ এমন উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। পরে তারা পাশের ফ্ল্যাটগুলোয় ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের ব্যবহার ও কর্মকাণ্ড অস্ত্রধারী ডাকাতদের থেকেও ভয়ংকর ছিল।’
এই কথাগুলো রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সুরক্ষিত হাউজিং হিসেবে পরিচিত ‘মোহাম্মাদী হোমসের’ বাসিন্দা মো. কবির হোসেনের। গত জুলাইয়ের শেষ দিকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভীতিকর ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তিনি। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে তিনি জরুরি জাতীয় নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকেন।
কোনো বাসায় শিশুর জন্মের খবর পেলেই হিজড়ারা চাঁদা দাবি করছে বলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন। সরেজমিনে ঘুরে মোহাম্মদপুর এলাকায় এ রকম বেশ কয়েকটি ঘটনা জানা গেছে। চাঁদা না পেয়ে হিজড়ারা পরিবারে সদস্যদের লাঞ্ছিত করেছে বলেও ভুক্তভোগীরা জানান।
‘মোহাম্মাদী হোমসের’ এক বাসার ৮০ বছর বয়সী নিরাপত্তাকর্মী ফজল হকও হিজড়াদের সঙ্গে এমন তিক্ত ঘটনার মুখোমুখি হন। সেদিন তিনি তাদের হাতে হেনস্তার শিকার হন। আশপাশের আরও কয়েকটি বাড়ির কেয়ারটেকারকে তারা মারধর করে বলে তিনি জানান।
ফজল হক জানান, ছয় মাস আগে এক ভাড়াটিয়ার গ্রামের বাড়িতে বাচ্চা হয়। সম্প্রতি তাঁরা বাচ্চা নিয়ে ঢাকায় ফেরেন। কয়েক দিন আগে ৮ হিজড়ার একটি দল এসে ওই ভাড়াটিয়ার বাসায় উঠতে চায়। তখন বাসায় কেউ ছিল না।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘পরে আসতে বলায় কয়েকজন হিজড়া আমাকে মারতে আসে। তারা আমার লুঙ্গি খুলে ফেলে, আমাকে ধাক্কা দিয়ে ওপরে উঠে যায়। তখন বাসার ভেতরের বাচ্চারাসহ মহিলারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আমি তাদের নিচে নামতে অনুরোধ করলে, সেখানে আবারও আমার লুঙ্গি খুলে দিয়ে নানাভাবে হেনস্তা করে।’
এ রকম এক ঘটনায় ১০ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানায় মামলার পর ১০ হিজড়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার শিকার ছিলেন এক সাংবাদিক। শিশুর জন্মের খবর পেয়ে একদল হিজড়া তাঁর বাসায় গিয়ে চাঁদা দাবি করে। না পেয়ে বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছিত করে তারা।
পুলিশ বলছে, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছে একদল হিজড়া। তারা নতুন ভবন, বিয়েবাড়ি, সামাজিক অনুষ্ঠান, শিশুর জন্ম হলে চাঁদা, নতুন দোকান করতে গেলে চাঁদা আদায়সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, হিজড়াদের বিষয়ে এমন অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ মামলায় কয়েকজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর নতুন কোনো অভিযোগ তাঁর কাছে আসেনি।
হিজড়াদের অধিকার আদায়ের সংগঠন ‘হিজড়া কল্যাণ ফেডারেশনের’ সভাপতি আবিদা সুলতানা মিতু আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ধরনের কাজ সম্পূর্ণ অবৈধ। এমন আচরণে জড়িতদের শাস্তি হওয়া দরকার। তারা (গ্রেপ্তার) জামিনের জন্য তাঁর সহায়তা চেয়েছিল। কিন্তু তিনি এগিয়ে যাননি।
মিতু বলেন, ‘আমি জানি, এমন কাজ আর করবে না বললেও, জামিনের পর তারা কারও কথা শুনবে না। তাই আমি বলে দিয়েছি, অপরাধ করেছ জেলেই থাক।’
হিজড়াদের উৎপাতের মুখে মানুষ সাধারণত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে সহায়তা চেয়ে থাকেন। জাতীয় জরুরি সেবাকেন্দ্রে কর্তব্যরত পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, হিজড়াদের হয়রানির অভিযোগ প্রায়ই আসে।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা সারা দেশ থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য কল পাই। হিজড়াদের দ্বারা মানুষ হয়রানির শিকার হন। আমরা চেষ্টা করি, পুলিশ পাঠিয়ে ভুক্তভোগীদের সহায়তা দিতে।’
জাতীয় জরুরি সেবার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে হিজড়াদের হয়রানির পাঁচ হাজারের বেশি ঘটনা আছে। এর মধ্যে দোকানে ৪ হাজার ৬৪৪ ও বাসাবাড়িতে প্রায় ৪০০টি। চলতি বছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত হিজড়াদের হয়রানির ৩ হাজার অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে বাসাবাড়িতে প্রায় আড়াই শ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আড়াই হাজারের বেশি।
তবে হিজড়াদের হয়রানিমূলক আচরণের জন্য তারা নিজেরা দায়ী, এর পেছনে কুসংস্কারাচ্ছন্ন পরিবার ও সমাজের বড় দায় আছে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফাতেমা রেজিনা ইকবাল।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘হিজড়ারা ছোটবেলা থেকে পরিবার ও সমাজের অবহেলা ও লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হয়। তাদের ব্যাপারে অমানবিক হওয়ার কোনো কারণ নেই বরং তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। আমাদের ওপর হিজড়াদের আস্থা নেই। আমাদের তাদের প্রতি মানবিক হয়ে আস্থা জন্মাতে হবে।’
‘হঠাৎ একদল হিজড়া আমার বাসায় এসে বলে, আপনাদের বাসায় বাচ্চা (নবজাতক) আছে। আমাদের কোনো ছোট বাচ্চা নেই শুনে ছয়-সাতজন হিজড়া বাসায় ঢুকে প্রতিটি রুম তছনছ করে। তারা অকথ্য গালাগালসহ এমন উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। পরে তারা পাশের ফ্ল্যাটগুলোয় ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের ব্যবহার ও কর্মকাণ্ড অস্ত্রধারী ডাকাতদের থেকেও ভয়ংকর ছিল।’
এই কথাগুলো রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সুরক্ষিত হাউজিং হিসেবে পরিচিত ‘মোহাম্মাদী হোমসের’ বাসিন্দা মো. কবির হোসেনের। গত জুলাইয়ের শেষ দিকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভীতিকর ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তিনি। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে তিনি জরুরি জাতীয় নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকেন।
কোনো বাসায় শিশুর জন্মের খবর পেলেই হিজড়ারা চাঁদা দাবি করছে বলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন। সরেজমিনে ঘুরে মোহাম্মদপুর এলাকায় এ রকম বেশ কয়েকটি ঘটনা জানা গেছে। চাঁদা না পেয়ে হিজড়ারা পরিবারে সদস্যদের লাঞ্ছিত করেছে বলেও ভুক্তভোগীরা জানান।
‘মোহাম্মাদী হোমসের’ এক বাসার ৮০ বছর বয়সী নিরাপত্তাকর্মী ফজল হকও হিজড়াদের সঙ্গে এমন তিক্ত ঘটনার মুখোমুখি হন। সেদিন তিনি তাদের হাতে হেনস্তার শিকার হন। আশপাশের আরও কয়েকটি বাড়ির কেয়ারটেকারকে তারা মারধর করে বলে তিনি জানান।
ফজল হক জানান, ছয় মাস আগে এক ভাড়াটিয়ার গ্রামের বাড়িতে বাচ্চা হয়। সম্প্রতি তাঁরা বাচ্চা নিয়ে ঢাকায় ফেরেন। কয়েক দিন আগে ৮ হিজড়ার একটি দল এসে ওই ভাড়াটিয়ার বাসায় উঠতে চায়। তখন বাসায় কেউ ছিল না।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘পরে আসতে বলায় কয়েকজন হিজড়া আমাকে মারতে আসে। তারা আমার লুঙ্গি খুলে ফেলে, আমাকে ধাক্কা দিয়ে ওপরে উঠে যায়। তখন বাসার ভেতরের বাচ্চারাসহ মহিলারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আমি তাদের নিচে নামতে অনুরোধ করলে, সেখানে আবারও আমার লুঙ্গি খুলে দিয়ে নানাভাবে হেনস্তা করে।’
এ রকম এক ঘটনায় ১০ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানায় মামলার পর ১০ হিজড়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার শিকার ছিলেন এক সাংবাদিক। শিশুর জন্মের খবর পেয়ে একদল হিজড়া তাঁর বাসায় গিয়ে চাঁদা দাবি করে। না পেয়ে বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছিত করে তারা।
পুলিশ বলছে, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছে একদল হিজড়া। তারা নতুন ভবন, বিয়েবাড়ি, সামাজিক অনুষ্ঠান, শিশুর জন্ম হলে চাঁদা, নতুন দোকান করতে গেলে চাঁদা আদায়সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, হিজড়াদের বিষয়ে এমন অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ মামলায় কয়েকজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর নতুন কোনো অভিযোগ তাঁর কাছে আসেনি।
হিজড়াদের অধিকার আদায়ের সংগঠন ‘হিজড়া কল্যাণ ফেডারেশনের’ সভাপতি আবিদা সুলতানা মিতু আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ধরনের কাজ সম্পূর্ণ অবৈধ। এমন আচরণে জড়িতদের শাস্তি হওয়া দরকার। তারা (গ্রেপ্তার) জামিনের জন্য তাঁর সহায়তা চেয়েছিল। কিন্তু তিনি এগিয়ে যাননি।
মিতু বলেন, ‘আমি জানি, এমন কাজ আর করবে না বললেও, জামিনের পর তারা কারও কথা শুনবে না। তাই আমি বলে দিয়েছি, অপরাধ করেছ জেলেই থাক।’
হিজড়াদের উৎপাতের মুখে মানুষ সাধারণত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে সহায়তা চেয়ে থাকেন। জাতীয় জরুরি সেবাকেন্দ্রে কর্তব্যরত পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, হিজড়াদের হয়রানির অভিযোগ প্রায়ই আসে।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা সারা দেশ থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য কল পাই। হিজড়াদের দ্বারা মানুষ হয়রানির শিকার হন। আমরা চেষ্টা করি, পুলিশ পাঠিয়ে ভুক্তভোগীদের সহায়তা দিতে।’
জাতীয় জরুরি সেবার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে হিজড়াদের হয়রানির পাঁচ হাজারের বেশি ঘটনা আছে। এর মধ্যে দোকানে ৪ হাজার ৬৪৪ ও বাসাবাড়িতে প্রায় ৪০০টি। চলতি বছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত হিজড়াদের হয়রানির ৩ হাজার অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে বাসাবাড়িতে প্রায় আড়াই শ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আড়াই হাজারের বেশি।
তবে হিজড়াদের হয়রানিমূলক আচরণের জন্য তারা নিজেরা দায়ী, এর পেছনে কুসংস্কারাচ্ছন্ন পরিবার ও সমাজের বড় দায় আছে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফাতেমা রেজিনা ইকবাল।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘হিজড়ারা ছোটবেলা থেকে পরিবার ও সমাজের অবহেলা ও লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হয়। তাদের ব্যাপারে অমানবিক হওয়ার কোনো কারণ নেই বরং তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। আমাদের ওপর হিজড়াদের আস্থা নেই। আমাদের তাদের প্রতি মানবিক হয়ে আস্থা জন্মাতে হবে।’
ডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক করা হয়েছে ক্লাবও। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল কেনাকাটাসহ বিয়ের নানা আয়োজন। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইশরাত জাহান তামান্না (২০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
২০ মিনিট আগেরাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৪২ মিনিট আগেচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব এলাকার সাহেলা বেগম নিজের ও তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে চরমথুরার শ্বাসকষ্টের রোগী আবুল কালাম সকাল ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার সময়ও চিকিৎসক দেখাতে
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই কারণে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে