নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নভেম্বরে ৯৮টি নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে ৭৮ জন। এসব সহিংসতায় পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। নিহত ৪৭ জনের মধ্যে ১৬ জন প্রতিপক্ষের গুলিতে এবং ৪ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) মাসিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং এমএসএফের সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
এমএসএফ জানিয়েছে, নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে প্রায় সকলেই ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সমর্থক বা কর্মী। সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে নরসিংদী জেলায়, ১১ জন। সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে ২৯ নভেম্বর। এদিন মারা গেছে ১১ জন।
এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনসহ দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে সহিংসতামুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে উৎকণ্ঠা, সহিংসতা, হানাহানি ও হতাহতের মাত্রা নতুনভাবে যোগ হয়েছে। ভোটে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগই। স্থানীয়ভাবে দুই পক্ষই শক্তিশালী হওয়ায় পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে গেছে অথবা উভয় পক্ষের সঙ্গে সখ্যতা থাকার কারণে নির্বাচনকালীন সহিংসতা রোধের ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপই নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। নির্বাচনী সংঘাত, সহিংসতা ও নানাবিধ অনিয়মের কারণে স্বাধীনভাবে নিজেদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনগুলো প্রহসনে পরিণত হয়েছে পাশাপাশি প্রশ্নবিদ্ধ এ সব নির্বাচন ক্রমাগত আস্থা হারাচ্ছে।
নভেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যালোচনা করে এমএসএফ বলছে, ধর্ষণসহ নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা কিছুটা কমলেও উদ্বেগজনক ছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ নাগরিকদের বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন চিন্তা, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মতামত প্রকাশের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগের পথ রুদ্ধ করার মত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন ও সীমান্তে হতাহতের মতো ঘটনাও বন্ধ হয়নি।
এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নভেম্বরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৯ জন নিহত হয়েছে এবং ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আর কারা হেফাজতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ মাসে ১৩৯টি নারী ও ১৩৮টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ২৩ টি। নভেম্বরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক সীমান্তে হত্যার শিকার হয়েছেন ৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিখোঁজ হয়েছেন একজন, মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ, একজন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ও অন্তত ৪৮ জন উভয় দেশের নাগরিকেরা অবৈধ অনুপ্রবেশকালে আটক হয়েছেন। এ মাসে অন্তত ৫টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ১ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন। এ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ২ জন সাংবাদিক,২ জন নারী,২ জন ছাত্র,১ জন রাজনৈতিক নেতা ও ৪ জন সাধারণ নাগরিক সহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এমএসএফ বলছে, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নভেম্বরের চিত্র ছিল উদ্বেগজনক। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় অন্তত ১৬ জন সাংবাদিক নানাভাবে অপমান, নিপীড়ন, হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে যেভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের যেভাবে হয়রানি ও শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে তা শুধুমাত্র অনাকাঙ্ক্ষিত নয় বরং বস্তুনিষ্ঠ ও সৎ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করার শামিল এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করছে এমএসএফ।
নভেম্বরে ৯৮টি নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে ৭৮ জন। এসব সহিংসতায় পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। নিহত ৪৭ জনের মধ্যে ১৬ জন প্রতিপক্ষের গুলিতে এবং ৪ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) মাসিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং এমএসএফের সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
এমএসএফ জানিয়েছে, নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে প্রায় সকলেই ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সমর্থক বা কর্মী। সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে নরসিংদী জেলায়, ১১ জন। সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে ২৯ নভেম্বর। এদিন মারা গেছে ১১ জন।
এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনসহ দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে সহিংসতামুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে উৎকণ্ঠা, সহিংসতা, হানাহানি ও হতাহতের মাত্রা নতুনভাবে যোগ হয়েছে। ভোটে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগই। স্থানীয়ভাবে দুই পক্ষই শক্তিশালী হওয়ায় পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে গেছে অথবা উভয় পক্ষের সঙ্গে সখ্যতা থাকার কারণে নির্বাচনকালীন সহিংসতা রোধের ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপই নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। নির্বাচনী সংঘাত, সহিংসতা ও নানাবিধ অনিয়মের কারণে স্বাধীনভাবে নিজেদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনগুলো প্রহসনে পরিণত হয়েছে পাশাপাশি প্রশ্নবিদ্ধ এ সব নির্বাচন ক্রমাগত আস্থা হারাচ্ছে।
নভেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যালোচনা করে এমএসএফ বলছে, ধর্ষণসহ নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা কিছুটা কমলেও উদ্বেগজনক ছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ নাগরিকদের বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন চিন্তা, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মতামত প্রকাশের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগের পথ রুদ্ধ করার মত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন ও সীমান্তে হতাহতের মতো ঘটনাও বন্ধ হয়নি।
এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নভেম্বরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৯ জন নিহত হয়েছে এবং ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আর কারা হেফাজতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ মাসে ১৩৯টি নারী ও ১৩৮টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ২৩ টি। নভেম্বরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক সীমান্তে হত্যার শিকার হয়েছেন ৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিখোঁজ হয়েছেন একজন, মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ, একজন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ও অন্তত ৪৮ জন উভয় দেশের নাগরিকেরা অবৈধ অনুপ্রবেশকালে আটক হয়েছেন। এ মাসে অন্তত ৫টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ১ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন। এ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ২ জন সাংবাদিক,২ জন নারী,২ জন ছাত্র,১ জন রাজনৈতিক নেতা ও ৪ জন সাধারণ নাগরিক সহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এমএসএফ বলছে, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নভেম্বরের চিত্র ছিল উদ্বেগজনক। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় অন্তত ১৬ জন সাংবাদিক নানাভাবে অপমান, নিপীড়ন, হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে যেভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের যেভাবে হয়রানি ও শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে তা শুধুমাত্র অনাকাঙ্ক্ষিত নয় বরং বস্তুনিষ্ঠ ও সৎ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করার শামিল এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করছে এমএসএফ।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শ্রমিকেরা বলেন, চার বছর আগে লেনি ফ্যাশনস ও লেনি অ্যাপারেলস কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বেপজা কর্তৃপক্ষ সেই কারখানা দুটির একটি বিক্রি করে দেয়। কিন্তু তারা শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করেনি।
৬ মিনিট আগেঅবৈধ লেভেল ক্রসিং দিয়ে পারাপারের সময় ঢাকা–চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লার বুড়িচংয়ে প্রাণ হারিয়েছে অটোরিকশার ৬ আরোহী। এ ঘটনায় নিহতের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল।
৩৯ মিনিট আগেস্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে রাস্তা অবরোধ না করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে। কিংবা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে। আমরা চাই শান্তিপ্রিয় সমাধান।’
১ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর ডিমলায় তৃতীয় বিয়ে করায় যুবকের বিশেষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে দ্বিতীয় স্ত্রী। আজ মঙ্গলবার সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত স্ত্রী।
১ ঘণ্টা আগে