মাদারীপুরে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে জখম

মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১: ৩৮
Thumbnail image

মাদারীপুরে আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে হত্যা মামলার এক আসামিকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় আসামি অহিদ হাওলাদারকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে মাদারীপুর আদালত থেকে বের হয়ে প্রধান সড়কে এলে এ ঘটনা ঘটে।

আহত অহিদ হাওলাদার (৪০) পেশায় একজন কৃষক। তিনি জেলার কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের আইয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি একই এলাকার এমারাত সরদার হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি।

আহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোসা. তাহমিনা বেগমের সমর্থকেরা একটি বিজয় মিছিল বের করেন। মিছিলটি কালকিনির কালীগঞ্জ থেকে ফাসিয়াতলা বাজারে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণ হয়। এতে আহত হন এমারাত সরদার নামে এক যুবক। পরে ১১ জানুয়ারি ঢাকার প্রাইম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হাসান সরদার বাদী হয়ে ২০ জনের নামে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে মাদারীপুর আদালতে আসেন কৃষক অহিদ হাওলাদার।

আদালতের কাজ শেষে অহিদ হাওলাদার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। প্রধান সড়কে এলে প্রতিপক্ষ তাইজুল সরদার ও জহির চৌকিদারসহ তাঁদের সমর্থকেরা হঠাৎ হামলা চালান। এ সময় অহিদ হাওলাদারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করার হয়। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় অহিদ হাওলাদারকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত অহিদ হাওলাদারের ছোট ভাই নাহিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমার ভাই আদালত থেকে বের হলে হঠাৎ তাইজুল ও জহির হামলা চালায়। তাদের সঙ্গে অনেক লোক ছিল। আমার ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তার অবস্থা বেশি ভালো না। এই ঘটনার বিচার চাই।’

জানতে চাইলে অভিযুক্ত জহির চৌকিদার বলেন, ‘আমরা কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে অহিদের পরিবার। সে কীভাবে আহত হয়েছেন, আমরা জানি না।’

মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা রিয়াদ মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আহত অহিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রক্তপাত বন্ধ করা হয়েছে। তাঁর বেশ কয়েকটি স্থানে অপারেশন করা প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। আহতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত