নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে দুর্ধর্ষভাবে ডাকাত চক্র ‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর’ সর্দারসহ ১১ জনকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকার সাভার থানার বালিয়ারপুর মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনী’র প্রধান মো. শামিম ওরফে সব্দুল (৩০), দলটির অন্যতম হোতা আনিসুর রহমান ওরফে ঠান্ডা (৪৫), মো. সালাউদ্দিন (২৩), মো. ইখতিয়ার উদ্দিন (৩১), মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর সরকার (৪০), মো. সজীব ইসলাম (২৫), মো. জীবন সরকার (৩৪), স্বপন চন্দ্র রায় (২১), মো. মিনহাজুর ইসলাম (২০) ও মাধব চন্দ্র সরকার (২৬)।
এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি পাইপগান, দুটি ওয়ান শুটারগান, ছয় রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, একটি শাবল, তিনটি রশি, একটি লোহার রড, একটি চাপাতি, দুটি রামদা, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি করাত, একটি হাউস কাটার, দুটি ছুরি, দুটি টর্চলাইট, ১১টি ব্যাগ, দুটি হ্যাক্সোব্লেড, একটি দা, দুটি লেজার লাইট, দুটি প্লাস, একটি দেশি কুড়াল ও এটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব বলছে, এই চক্র কয়েকটি ধাপে পূর্ব পরিকল্পনায় কাজ করত। প্রথমে স্টেশনে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা নির্ধারিত বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস সম্পর্কে তথ্য দিত। সেই তথ্য পেয়ে রাস্তার পাশে থাকা গাছ কেটে রাস্তা বন্ধ করে দিত।
অন্যদিকে ডাকাত দলের অপর সদস্যরা বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসের চালক ও যাত্রীদের অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নিয়ে পালিয়ে যেত। যেখানে গাছ কাটার সুযোগ থাকত না, সেখানে তারা চালকের চোখে লেজার লাইটের তীব্র আলো ফেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডাকাতি করত।
আজ শনিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর প্রধান শামীম ওরফে সব্দুল ও তাঁদের সেকেন্ড ইন কমান্ড আনিসুর ওরফে ঠান্ডা। তাঁদের নাম অনুসারে এ বাহিনীর নাম রাখা হয় ঠান্ডা-শামীম বাহিনী। এই বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে এবং গাছ কেটে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাত্রীবাহী বাস, গরুবাহী ট্রাক, মালবাহী ট্রাক ও বিভিন্ন মালামালের গুদামে ডাকাতি করে আসছে। ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর সদস্যরা অন্ধকার রাস্তায় ওত পেতে থাকত। ডাকাতি করার জন্য পূর্বনির্ধারিত স্থানের নিকটবর্তী স্টেশনে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা টার্গেট করা বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস সম্পর্কে সংকেত দিত।
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধির ওপর নজরদারি করে মূল ডাকাত দলের কাছে তথ্য সরবরাহ করত। অনুকূল সংকেত পাওয়ামাত্রই ডাকাত দলের মধ্যে গাছ কাটার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা দ্রুত গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে দিত। অন্যদিকে ডাকাত দলের অপর সদস্যরা বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসের চালক ও যাত্রীদের অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নিয়ে পালিয়ে যেত। যেখানে গাছ কাটার সুযোগ থাকত না, সেখানে তারা চালকের চোখে লেজার লাইটের তীব্র আলো ফেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডাকাতি করত।
এসব ডাকাতির ঘটনায় শামীম ও আনিসুর ওরফে ঠান্ডা একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিল। এ সময় তাদের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন অপরাধীর সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। পরে জামিনে বের হয়ে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে ডাকাত বাহিনী গড়ে তোলে। তাদের বাহিনীর সদস্যসংখ্যা ২৫। এ ছাড়া তারা যে এলাকায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে, ওই এলাকার স্থানীয় অপরাধী ডাকাত ও মাদক কারবারিদের ছাড়াও পরিবহন শ্রমিক ও গুদামের কর্মচারী ও নৈশপ্রহরীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ডাকাতির মূল পরিকল্পনা করত। ডাকাতিই হচ্ছে তাদের মূল পেশা।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার সালাউদ্দিন ডাকাতির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করত। পরে সার্বিক বিচার-বিবেচনা করে আনিসুর ওরফে ঠান্ডা, শামীম ও সালাউদ্দিন একত্রে বসে ডাকাতির মূল পরিকল্পনা করে। কোন জায়গায় কখন কীভাবে ডাকাতি করা হবে, ডাকাতির তথ্য সংগ্রহের জন্য কাকে নিয়োগ করতে হবে, কীভাবে ডাকাতি সম্পন্ন করা হবে, ডাকাতি করা মালামাল কোথায় কখন কীভাবে পরিবহন, সংরক্ষণ ও কার কাছে বিক্রি করে অর্থ আদায় করা হবে ইত্যাদি পরিকল্পনা করত। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাতির জন্য নির্ধারিত স্থানে সালাউদ্দিন আগেই গোপনে অবস্থান করে তথ্য সংগ্রহ করত। ডাকাতি শেষে নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল ত্যাগের বিষয়ে ঠান্ডা-শামীমকে পরিকল্পনা প্রদান করত এবং ঠান্ডা-শামীমের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করত।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার ইখতিয়ার উদ্দিন এই বাহিনীর অন্যতম সদস্য। তিনি পেশায় গাড়িচালক। বিভিন্ন সময়ে ডাকাতির ধরন অনুযায়ী মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ চাহিদা অনুযায়ী যানবাহন সরবরাহ করে তিনি নিজে চালকের ভূমিকা পালন করতেন। ডাকাতির আগে ঘটনাস্থল রেকি, ডাকাতির সময় ও ডাকাতি শেষে ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন এবং ডাকাতির মালামাল পরিবহনের দায়িত্ব তিনি পালন করতেন।
গ্রেপ্তার হওয়া সাইফুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। ডাকাতির সময় তিনি তালা ভাঙা, দেয়াল ভাঙা, গাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করাসহ ডাকাতির মালামাল বিক্রির দায়িত্ব পালন করতেন। মিনহাজুল ও মাধব চন্দ্র গাছ কাটা ও লেজার লাইটের আলো ফেলতেন। এ ছাড়া তাঁরা ‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর’ তথ্যদাতার কাজও করতেন। তাঁরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে স্থানীয় অপরাধীদের সঙ্গে ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর যোগাযোগ করিয়ে দিতেন।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। সজীব ও জীবন পেশায় গার্মেন্টস শ্রমিক, স্বপন চন্দ্র পরিবহন শ্রমিক। তাঁরা এসব পেশার আড়ালে ডাকাত দলের সঙ্গে ডাকাতিতে অংশগ্রহণ করে থাকেন। ডাকাতি শেষে তাঁরা আবার নিজ নিজ পেশায় নিয়োজিত হয়ে পড়েন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার আনিসুর ওরফে ঠান্ডা ২০০৪ সাল থেকে ডাকাতি করে আসছিলেন। ২০১৬ সালে শামীমের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের সূত্রে তাঁরা একসঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করতেন। এ ছাড়া ঠান্ডা-শামীম বাহিনী তাদের ডাকাতির ধরন এবং চাহিদা অনুযায়ী ভাড়ায় লোকবল সংগ্রহ করে থাকে। এই বাহিনী এরই মধ্যে গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, বগুড়া, মানিকগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল এলাকায় বহু ডাকাতি করেছে। তারা বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, ডাকাতি থেকে প্রাপ্ত মালামালের অর্ধেক আনিসুর ওরফে ঠান্ডা এবং শামীম ভাগ করে নিতেন। বাকি অর্ধেক মালামাল অন্যদের কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী ভাগ করে দেওয়া হতো। তাঁরা ডাকাতি থেকে প্রাপ্ত সম্পদ ভোগবিলাস ও মামলার খরচ মেটাতে ব্যয় করতেন। আসামিরা সাম্প্রতিক সময়ে বগুড়ার শেরপুর এলাকার মহাসড়কে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া তাঁরা সাভারের হেমায়েতপুরে একটি ব্যাটারির কারখানায় ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই তাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
খন্দকার আল মঈন জানান, শামীমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি ডাকাতি মামলা এবং আনিসুর ওরফে ঠান্ডার বিরুদ্ধে ডাকাতি, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধের পাঁচটি মামলা রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে দুর্ধর্ষভাবে ডাকাত চক্র ‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর’ সর্দারসহ ১১ জনকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকার সাভার থানার বালিয়ারপুর মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনী’র প্রধান মো. শামিম ওরফে সব্দুল (৩০), দলটির অন্যতম হোতা আনিসুর রহমান ওরফে ঠান্ডা (৪৫), মো. সালাউদ্দিন (২৩), মো. ইখতিয়ার উদ্দিন (৩১), মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর সরকার (৪০), মো. সজীব ইসলাম (২৫), মো. জীবন সরকার (৩৪), স্বপন চন্দ্র রায় (২১), মো. মিনহাজুর ইসলাম (২০) ও মাধব চন্দ্র সরকার (২৬)।
এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি পাইপগান, দুটি ওয়ান শুটারগান, ছয় রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, একটি শাবল, তিনটি রশি, একটি লোহার রড, একটি চাপাতি, দুটি রামদা, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি করাত, একটি হাউস কাটার, দুটি ছুরি, দুটি টর্চলাইট, ১১টি ব্যাগ, দুটি হ্যাক্সোব্লেড, একটি দা, দুটি লেজার লাইট, দুটি প্লাস, একটি দেশি কুড়াল ও এটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব বলছে, এই চক্র কয়েকটি ধাপে পূর্ব পরিকল্পনায় কাজ করত। প্রথমে স্টেশনে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা নির্ধারিত বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস সম্পর্কে তথ্য দিত। সেই তথ্য পেয়ে রাস্তার পাশে থাকা গাছ কেটে রাস্তা বন্ধ করে দিত।
অন্যদিকে ডাকাত দলের অপর সদস্যরা বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসের চালক ও যাত্রীদের অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নিয়ে পালিয়ে যেত। যেখানে গাছ কাটার সুযোগ থাকত না, সেখানে তারা চালকের চোখে লেজার লাইটের তীব্র আলো ফেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডাকাতি করত।
আজ শনিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর প্রধান শামীম ওরফে সব্দুল ও তাঁদের সেকেন্ড ইন কমান্ড আনিসুর ওরফে ঠান্ডা। তাঁদের নাম অনুসারে এ বাহিনীর নাম রাখা হয় ঠান্ডা-শামীম বাহিনী। এই বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে এবং গাছ কেটে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাত্রীবাহী বাস, গরুবাহী ট্রাক, মালবাহী ট্রাক ও বিভিন্ন মালামালের গুদামে ডাকাতি করে আসছে। ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর সদস্যরা অন্ধকার রাস্তায় ওত পেতে থাকত। ডাকাতি করার জন্য পূর্বনির্ধারিত স্থানের নিকটবর্তী স্টেশনে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা টার্গেট করা বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস সম্পর্কে সংকেত দিত।
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধির ওপর নজরদারি করে মূল ডাকাত দলের কাছে তথ্য সরবরাহ করত। অনুকূল সংকেত পাওয়ামাত্রই ডাকাত দলের মধ্যে গাছ কাটার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা দ্রুত গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে দিত। অন্যদিকে ডাকাত দলের অপর সদস্যরা বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসের চালক ও যাত্রীদের অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নিয়ে পালিয়ে যেত। যেখানে গাছ কাটার সুযোগ থাকত না, সেখানে তারা চালকের চোখে লেজার লাইটের তীব্র আলো ফেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডাকাতি করত।
এসব ডাকাতির ঘটনায় শামীম ও আনিসুর ওরফে ঠান্ডা একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিল। এ সময় তাদের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন অপরাধীর সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। পরে জামিনে বের হয়ে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে ডাকাত বাহিনী গড়ে তোলে। তাদের বাহিনীর সদস্যসংখ্যা ২৫। এ ছাড়া তারা যে এলাকায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে, ওই এলাকার স্থানীয় অপরাধী ডাকাত ও মাদক কারবারিদের ছাড়াও পরিবহন শ্রমিক ও গুদামের কর্মচারী ও নৈশপ্রহরীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ডাকাতির মূল পরিকল্পনা করত। ডাকাতিই হচ্ছে তাদের মূল পেশা।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার সালাউদ্দিন ডাকাতির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করত। পরে সার্বিক বিচার-বিবেচনা করে আনিসুর ওরফে ঠান্ডা, শামীম ও সালাউদ্দিন একত্রে বসে ডাকাতির মূল পরিকল্পনা করে। কোন জায়গায় কখন কীভাবে ডাকাতি করা হবে, ডাকাতির তথ্য সংগ্রহের জন্য কাকে নিয়োগ করতে হবে, কীভাবে ডাকাতি সম্পন্ন করা হবে, ডাকাতি করা মালামাল কোথায় কখন কীভাবে পরিবহন, সংরক্ষণ ও কার কাছে বিক্রি করে অর্থ আদায় করা হবে ইত্যাদি পরিকল্পনা করত। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাতির জন্য নির্ধারিত স্থানে সালাউদ্দিন আগেই গোপনে অবস্থান করে তথ্য সংগ্রহ করত। ডাকাতি শেষে নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল ত্যাগের বিষয়ে ঠান্ডা-শামীমকে পরিকল্পনা প্রদান করত এবং ঠান্ডা-শামীমের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করত।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার ইখতিয়ার উদ্দিন এই বাহিনীর অন্যতম সদস্য। তিনি পেশায় গাড়িচালক। বিভিন্ন সময়ে ডাকাতির ধরন অনুযায়ী মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ চাহিদা অনুযায়ী যানবাহন সরবরাহ করে তিনি নিজে চালকের ভূমিকা পালন করতেন। ডাকাতির আগে ঘটনাস্থল রেকি, ডাকাতির সময় ও ডাকাতি শেষে ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন এবং ডাকাতির মালামাল পরিবহনের দায়িত্ব তিনি পালন করতেন।
গ্রেপ্তার হওয়া সাইফুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। ডাকাতির সময় তিনি তালা ভাঙা, দেয়াল ভাঙা, গাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করাসহ ডাকাতির মালামাল বিক্রির দায়িত্ব পালন করতেন। মিনহাজুল ও মাধব চন্দ্র গাছ কাটা ও লেজার লাইটের আলো ফেলতেন। এ ছাড়া তাঁরা ‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর’ তথ্যদাতার কাজও করতেন। তাঁরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে স্থানীয় অপরাধীদের সঙ্গে ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর যোগাযোগ করিয়ে দিতেন।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। সজীব ও জীবন পেশায় গার্মেন্টস শ্রমিক, স্বপন চন্দ্র পরিবহন শ্রমিক। তাঁরা এসব পেশার আড়ালে ডাকাত দলের সঙ্গে ডাকাতিতে অংশগ্রহণ করে থাকেন। ডাকাতি শেষে তাঁরা আবার নিজ নিজ পেশায় নিয়োজিত হয়ে পড়েন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার আনিসুর ওরফে ঠান্ডা ২০০৪ সাল থেকে ডাকাতি করে আসছিলেন। ২০১৬ সালে শামীমের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের সূত্রে তাঁরা একসঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করতেন। এ ছাড়া ঠান্ডা-শামীম বাহিনী তাদের ডাকাতির ধরন এবং চাহিদা অনুযায়ী ভাড়ায় লোকবল সংগ্রহ করে থাকে। এই বাহিনী এরই মধ্যে গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, বগুড়া, মানিকগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল এলাকায় বহু ডাকাতি করেছে। তারা বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, ডাকাতি থেকে প্রাপ্ত মালামালের অর্ধেক আনিসুর ওরফে ঠান্ডা এবং শামীম ভাগ করে নিতেন। বাকি অর্ধেক মালামাল অন্যদের কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী ভাগ করে দেওয়া হতো। তাঁরা ডাকাতি থেকে প্রাপ্ত সম্পদ ভোগবিলাস ও মামলার খরচ মেটাতে ব্যয় করতেন। আসামিরা সাম্প্রতিক সময়ে বগুড়ার শেরপুর এলাকার মহাসড়কে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া তাঁরা সাভারের হেমায়েতপুরে একটি ব্যাটারির কারখানায় ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই তাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
খন্দকার আল মঈন জানান, শামীমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি ডাকাতি মামলা এবং আনিসুর ওরফে ঠান্ডার বিরুদ্ধে ডাকাতি, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধের পাঁচটি মামলা রয়েছে।
বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরল ইসলাম মনি বলেছেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার নেতাকর্মীরা দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপির নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছেন। আমিও অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। অনেক হাজার হাজার কোটি টাকা লুট ও বিদেশে পাচার করেছেন। তাদের আর মাথাচাড়া দিয়
১ few সেকেন্ড আগেহলে আধিপত্য বিস্তার ও ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি সক্রিয় করাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের মধ্যে গত রোববার রাতে সংঘর্ষ হয়।
৯ মিনিট আগেবরিশাল আইএইচটিতে সিনিয়র-জুনিয়র সংঘর্ষের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব স্থগিত, আটজন বহিষ্কার এবং একজনকে সতর্ক করা হয়েছে। শাস্তি নিশ্চিত করতে তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
৪০ মিনিট আগেজেলার খবর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সুবর্ণচর, গৃহবধূ, লাশ উদ্ধার, স্বজন, অভিযোগ, পিটিয়ে হত্যা
৪৩ মিনিট আগে