সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের অ্যাম্বুলেন্সের চালকদের বিশ্রামের জন্য নির্ধারিত একটি কক্ষ দীর্ঘ দিন ধরে দখল করে বসবাস করছেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ নাজমুল আনোয়ার অপু।
অভিযোগ আছে, ২০২৩ সালের ২৬ শে ফেব্রুয়ারি যোগদানের পর থেকেই এই কক্ষটিতে বসবাস করছেন। বিষয়টি নিয়ে চালকসহ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্থানীয় কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও হয়রানির ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। যদিও নাজমুল আনোয়ার অপু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, সহকারী পরিচালক অপু কিশোরগঞ্জে যোগদান করার পর থেকেই কিশোরগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মচারীদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। যে কক্ষটি সহকারী পরিচালক দখলে নিয়ে বসবাস করছেন। ওই কক্ষটিতে অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা থাকবেন এবং নিচতলায় অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। নিয়মটা এমন হলেও, এখানে চিত্র ভিন্ন।
এ ছাড়া মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা অসুস্থবোধ করলে ওই কক্ষে গিয়ে বিশ্রাম নেবেন। তবে সহকারী পরিচালকের নিজ ক্ষমতাবলে এই কক্ষটি দখলে নিয়ে ব্যবহার করছেন।
সংশ্লিরা জানান, প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের জন্য আবাসন ব্যবস্থার কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। তবে জেলায় যদি ডরমিটরি ভবন থাকে তবে সেখানে থাকতে পারবে। সিংগেল এবং ফ্যামিলির জন্য আলাদা আলাদা ডরমিটরির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে ড্রাইভার কক্ষে একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার বসবাস করা সমীচীন নয়।
কয়েকজন কর্মচারী বলেন, একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা ডরমিটরিতে থাকবেন। যদি উনার পরিবার থাকে তবে বাসাভাড়া নিয়ে থাকবেন। যদিও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে এই জেলায় কোনো সরকারি আবাসনের সুবিধা নেই। তিনি আমাদের ড্রাইভার শেড দখলে নিয়ে বসবাস করছেন। আমরা ভয়ে কিছুই বলতে পারি না। তিনি এখানে বসবাস করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ কেন্দ্রের গাছ টেন্ডারে বিক্রি হলেও সরকারি বিলবোর্ডগুলো সহকারী পরিচালকের যোগসাজশে বিক্রি করা হয়েছে। সহকারী পরিচালকের কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পৌর এলাকায় পৈতৃক বাড়ি। প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন সরকারের দেওয়া গাড়িটি নিয়ে তিনি নিজ বাড়িতে যাতায়াত করেন। এ ছাড়া ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে জেলা শহরের আখড়া বাজার এলাকায় ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তাকেও লাঞ্ছিত করেছেন বলে জানান কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা।
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ নাজমুল আনোয়ার অপু বলেন, ‘এই কক্ষটিতে উপপরিচালক বিশ্রাম নেন। যা নীতিমালায় রয়েছে। আমি উপপরিচালক পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছিলাম। সম্প্রতি উপপরিচালক স্যার যোগদান করেছেন। এখন উপপরিচালকই এখানে বিশ্রাম নেবেন।’
বিলবোর্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভাগলপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রটি জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে এওয়াজ বদল করা হয়েছে। তাঁরা কোটি টাকা দিয়ে আমাদের কেন্দ্রটি নির্মাণ করে দিয়েছে। আমরা জমিসহ দুতলা কমপ্লেক্সে পাচ্ছি সেখানে। এখানকার আদলে সব ঠিকঠাক পাব, বিলবোর্ডেও থাকবে। সকল ধরনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে নিয়ে উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছি। অচিরেই নতুন ভবন ও অফিসের কার্যক্রম শুরু হবে।’
এ সব বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপপরিচালক মো. জসীম উদিন ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি, খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে।’
কিশোরগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের অ্যাম্বুলেন্সের চালকদের বিশ্রামের জন্য নির্ধারিত একটি কক্ষ দীর্ঘ দিন ধরে দখল করে বসবাস করছেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ নাজমুল আনোয়ার অপু।
অভিযোগ আছে, ২০২৩ সালের ২৬ শে ফেব্রুয়ারি যোগদানের পর থেকেই এই কক্ষটিতে বসবাস করছেন। বিষয়টি নিয়ে চালকসহ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্থানীয় কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও হয়রানির ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। যদিও নাজমুল আনোয়ার অপু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, সহকারী পরিচালক অপু কিশোরগঞ্জে যোগদান করার পর থেকেই কিশোরগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মচারীদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। যে কক্ষটি সহকারী পরিচালক দখলে নিয়ে বসবাস করছেন। ওই কক্ষটিতে অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা থাকবেন এবং নিচতলায় অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। নিয়মটা এমন হলেও, এখানে চিত্র ভিন্ন।
এ ছাড়া মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা অসুস্থবোধ করলে ওই কক্ষে গিয়ে বিশ্রাম নেবেন। তবে সহকারী পরিচালকের নিজ ক্ষমতাবলে এই কক্ষটি দখলে নিয়ে ব্যবহার করছেন।
সংশ্লিরা জানান, প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের জন্য আবাসন ব্যবস্থার কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। তবে জেলায় যদি ডরমিটরি ভবন থাকে তবে সেখানে থাকতে পারবে। সিংগেল এবং ফ্যামিলির জন্য আলাদা আলাদা ডরমিটরির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে ড্রাইভার কক্ষে একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার বসবাস করা সমীচীন নয়।
কয়েকজন কর্মচারী বলেন, একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা ডরমিটরিতে থাকবেন। যদি উনার পরিবার থাকে তবে বাসাভাড়া নিয়ে থাকবেন। যদিও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে এই জেলায় কোনো সরকারি আবাসনের সুবিধা নেই। তিনি আমাদের ড্রাইভার শেড দখলে নিয়ে বসবাস করছেন। আমরা ভয়ে কিছুই বলতে পারি না। তিনি এখানে বসবাস করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ কেন্দ্রের গাছ টেন্ডারে বিক্রি হলেও সরকারি বিলবোর্ডগুলো সহকারী পরিচালকের যোগসাজশে বিক্রি করা হয়েছে। সহকারী পরিচালকের কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পৌর এলাকায় পৈতৃক বাড়ি। প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন সরকারের দেওয়া গাড়িটি নিয়ে তিনি নিজ বাড়িতে যাতায়াত করেন। এ ছাড়া ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে জেলা শহরের আখড়া বাজার এলাকায় ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তাকেও লাঞ্ছিত করেছেন বলে জানান কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা।
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ নাজমুল আনোয়ার অপু বলেন, ‘এই কক্ষটিতে উপপরিচালক বিশ্রাম নেন। যা নীতিমালায় রয়েছে। আমি উপপরিচালক পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছিলাম। সম্প্রতি উপপরিচালক স্যার যোগদান করেছেন। এখন উপপরিচালকই এখানে বিশ্রাম নেবেন।’
বিলবোর্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভাগলপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রটি জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে এওয়াজ বদল করা হয়েছে। তাঁরা কোটি টাকা দিয়ে আমাদের কেন্দ্রটি নির্মাণ করে দিয়েছে। আমরা জমিসহ দুতলা কমপ্লেক্সে পাচ্ছি সেখানে। এখানকার আদলে সব ঠিকঠাক পাব, বিলবোর্ডেও থাকবে। সকল ধরনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে নিয়ে উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছি। অচিরেই নতুন ভবন ও অফিসের কার্যক্রম শুরু হবে।’
এ সব বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপপরিচালক মো. জসীম উদিন ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি, খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১৪ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
৩৯ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
১ ঘণ্টা আগে