গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ফখরুল সাহেব সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে, অনুমতি দিয়েছে। কেউ আপনাদের মিটিংয়ে ডিস্টার্ব করবে না। আমরা রাজশাহীতেও বলে দিয়েছিলাম, পরিবহন ধর্মঘট যেন না করে। ঢাকায়ও পরিবহন ধর্মঘট হবে না; নেত্রী বলে দিয়েছেন। এরপরেও যদি বাড়াবাড়ি করেন, লাফালাফি করেন, এরপরেও যদি আগুন নিয়ে নামেন, লাঠির সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে মাঠে নামেন তাহলে খবর আছে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, আমরা ক্ষমতায় আছি। ক্ষমতায় থেকে আমরা অশান্তি কেন সৃষ্টি করব। মানুষকে কেন আতঙ্কে রাখবো, আমরাতো মানুষকে শান্তিতে রাখতে চাই। কারণ আমরা ক্ষমতায় আছি। অশান্তি হলেতো আমাদের সেখানে মাথা ঘামাতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ফখরুল এখন এক নাটক শুরু করেছেন। কোথাও সমাবেশ দিয়ে সাত দিন আগে থেকে মিথ্যাচার শুরু করেন। তারা বলেন, তাঁদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। একদিকে তারা বলছে সরকার বাধা দিচ্ছে অন্যদিকে তারা কাঁথা বালিশ, হাঁড়ি-পাতিল, চালের বস্তা, টাকার বস্তা, মশার কয়েল নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হচ্ছেন।
ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ প্রসঙ্গে আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাস্থল, ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিবাহিনীর-মিত্রবাহিনীর কাছে পাক হানাদার বাহিনীরা যেখানে আত্মসমর্পণ করে, সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওনারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। ফখরুল বলেছে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। মুক্তিযুদ্ধকে আসলে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতার নাম শুনলে ভেতরে-ভেতরে এদের বুকে আর অন্তরে জ্বালা করে; মুখে বলে না। ফখরুলের মুখে মধু অন্তরে বিষ।
বিএনপিকে পরবর্তী নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে সেইফ এক্সিট নিতে বলেছে। আমি বলতে চাই, সেইফ এক্সিট বা নিরাপদ প্রস্থানের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনেই প্রমাণ হবে, কারা বিজয়ী হবে আর কাদের পতন হবে। সরকার পতনের হাঁকডাক দিয়ে কোনো লাভ নেই। হাওয়া ভবনের আরেক নাম খাওয়া ভবন। তারেক রহমান ওয়ান ইলেভেনের জরুরি সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার অঙ্গীকার করে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছে। অর্থ পাচার করে এফবিআইএ’র কাছে ধরা খেয়েছে। এফবিআই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে অনেক অর্থ পাওয়া গেছে। নগদ কিছু আমরা ফেরতও পেয়েছি। তারেক আর কোকো সেই অর্থ পাচারকারী। সুইচ ব্যাংক ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিলাসবহুল মার্কেট যার নামে আছে। সেই লন্ডনে বসে বসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’
তারেক রহমান ও হাওয়া ভবনের অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে উল্লেখ করে কাদের বলেন, তারা বাংলাদেশের কত টাকা পাচার করেছে সব শেখ হাসিনা খতিয়ে দেখছেন। এই টাকা উদ্ধার করা হবে। তারেক রহমানসহ টাকা পাচারকারী যারাই আছে প্রত্যেকের টাকা উদ্ধার করা হবে।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাইম। সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
সম্মেলনের শেষে প্রধান অতিথি শেখ ফজলুল করিম সেলিম আগামী ৩ বছরের জন্য মাহাবুব আলী খানকে সভাপতি ও জি. এম. সাহাবউদ্দিন আজমকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ফখরুল সাহেব সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে, অনুমতি দিয়েছে। কেউ আপনাদের মিটিংয়ে ডিস্টার্ব করবে না। আমরা রাজশাহীতেও বলে দিয়েছিলাম, পরিবহন ধর্মঘট যেন না করে। ঢাকায়ও পরিবহন ধর্মঘট হবে না; নেত্রী বলে দিয়েছেন। এরপরেও যদি বাড়াবাড়ি করেন, লাফালাফি করেন, এরপরেও যদি আগুন নিয়ে নামেন, লাঠির সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে মাঠে নামেন তাহলে খবর আছে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, আমরা ক্ষমতায় আছি। ক্ষমতায় থেকে আমরা অশান্তি কেন সৃষ্টি করব। মানুষকে কেন আতঙ্কে রাখবো, আমরাতো মানুষকে শান্তিতে রাখতে চাই। কারণ আমরা ক্ষমতায় আছি। অশান্তি হলেতো আমাদের সেখানে মাথা ঘামাতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ফখরুল এখন এক নাটক শুরু করেছেন। কোথাও সমাবেশ দিয়ে সাত দিন আগে থেকে মিথ্যাচার শুরু করেন। তারা বলেন, তাঁদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। একদিকে তারা বলছে সরকার বাধা দিচ্ছে অন্যদিকে তারা কাঁথা বালিশ, হাঁড়ি-পাতিল, চালের বস্তা, টাকার বস্তা, মশার কয়েল নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হচ্ছেন।
ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ প্রসঙ্গে আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাস্থল, ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিবাহিনীর-মিত্রবাহিনীর কাছে পাক হানাদার বাহিনীরা যেখানে আত্মসমর্পণ করে, সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওনারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। ফখরুল বলেছে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। মুক্তিযুদ্ধকে আসলে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতার নাম শুনলে ভেতরে-ভেতরে এদের বুকে আর অন্তরে জ্বালা করে; মুখে বলে না। ফখরুলের মুখে মধু অন্তরে বিষ।
বিএনপিকে পরবর্তী নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে সেইফ এক্সিট নিতে বলেছে। আমি বলতে চাই, সেইফ এক্সিট বা নিরাপদ প্রস্থানের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনেই প্রমাণ হবে, কারা বিজয়ী হবে আর কাদের পতন হবে। সরকার পতনের হাঁকডাক দিয়ে কোনো লাভ নেই। হাওয়া ভবনের আরেক নাম খাওয়া ভবন। তারেক রহমান ওয়ান ইলেভেনের জরুরি সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার অঙ্গীকার করে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছে। অর্থ পাচার করে এফবিআইএ’র কাছে ধরা খেয়েছে। এফবিআই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে অনেক অর্থ পাওয়া গেছে। নগদ কিছু আমরা ফেরতও পেয়েছি। তারেক আর কোকো সেই অর্থ পাচারকারী। সুইচ ব্যাংক ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিলাসবহুল মার্কেট যার নামে আছে। সেই লন্ডনে বসে বসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’
তারেক রহমান ও হাওয়া ভবনের অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে উল্লেখ করে কাদের বলেন, তারা বাংলাদেশের কত টাকা পাচার করেছে সব শেখ হাসিনা খতিয়ে দেখছেন। এই টাকা উদ্ধার করা হবে। তারেক রহমানসহ টাকা পাচারকারী যারাই আছে প্রত্যেকের টাকা উদ্ধার করা হবে।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাইম। সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
সম্মেলনের শেষে প্রধান অতিথি শেখ ফজলুল করিম সেলিম আগামী ৩ বছরের জন্য মাহাবুব আলী খানকে সভাপতি ও জি. এম. সাহাবউদ্দিন আজমকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন।
গাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) থেকে বনভোজনে যাওয়া দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগ, বিআরটিসি কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার দায় রয়েছে মন্তব্য করেছে বুয়েটের স্বাধীন কমিটি। আজ সোমবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) গঠিত তদন্ত কমি
৮ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় ফজলুল করিম নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান এই নির্দেশ দেন।
১১ মিনিট আগেসরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ (ডিএমআরসি) রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আল্টিমেটাম অনুযায়ী সমাধান না পাওয়ায় কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা ডিএমআরসির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
১৭ মিনিট আগেমাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক গৃহবধূসহ আহত হয়েছে ৩ জন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)...
৩ ঘণ্টা আগে