Ajker Patrika

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে নিবন্ধনধারী স্পিডবোট চালু

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২১, ১২: ৫০
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে নিবন্ধনধারী স্পিডবোট চালু

১৫৬ দিন বন্ধ থাকার পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে অবশেষে চালু হয়েছে স্পিডবোট। শুধু নিবন্ধন করা স্পিডবোটগুলোই এ সময় চালাচল করতে পারবে। পাশাপাশি চালকদের প্রশিক্ষণ, ডোপটেস্টসহ পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে যানবাহন পারাপারের জন্য চালু হয় ফেরি। 

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে বর্তমানে লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোট চালু রয়েছে। তিন ধরনের নৌযান চালু থাকায় এই নৌরুট ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগ কমবে বলে জানান যাত্রীরা। এদিকে এই তিন ধরনের নৌযানই সন্ধ্যার পর বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। মূলত ভোর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলাচল করবে নৌযান। 

বিআইডব্লিউটিএর ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়। এরপরই শিবচরের বাংলাবাজার এবং শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে চলাচল শুরু করে স্পিডবোট। 

জানা গেছে, গত ৩ মে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ যাত্রীর প্রাণহানির পরই নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বেপরোয়া গতি, চালকদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্পিডবোট চালানোর বিষয়টি প্রকাশ্যে উঠে আসে। অনুমোদন না থাকায় প্রশাসন সব স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখে। এরপর স্পিডবোট নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়। একই সঙ্গে চালকদের প্রশিক্ষণ, ডোপটেস্ট ও পরীক্ষা দিয়ে সনদ প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। দীর্ঘ পাঁচ মাসের প্রক্রিয়া শেষে নৌরুটে ১০১টি স্পিডবোটের নিবন্ধন শেষ হয়। এগুলোর মধ্যে শিমুলিয়া ঘাটের স্পিডবোট আছে ৫৩টি, বাংলাবাজার ঘাটের ২৯টি, মাঝিকান্দি ঘাটের ১৯টি। প্রতিটি স্পিডবোটে ১২ জনের বেশি যাত্রী বহন করতে পারবে না। 

এর আগে পদ্মায় স্রোতের তীব্রতায় টানা ৪৭ দিন বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। স্রোত কমে আসায় গত মঙ্গলবার ভোর থেকে সীমিত পরিসরে চালু হয় ফেরি। প্রতিদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঁচটি ছোট ফেরি নৌরুটে হালকা যানবাহন পারাপার করবে বলে ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। 

এদিকে সব নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় নৌরুটে যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে বলে আশা করছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। পদ্মা পার হতে লঞ্চ ও ফেরির পাশাপাশি স্পিডবোট চলাচল করায় নির্দিষ্ট নৌযানে যাত্রীর চাপও কমবে। ফলে স্বাচ্ছন্দ্যে পদ্মা পার হতে পারবে যাত্রীরা। 

ঢাকাগামী যাত্রী মো. মিঠুন বলেন, 'ফেরির পর স্পিডবোট চালু হওয়ায় নৌরুটে আগের মতো গতি ফিরে এসেছে। জরুরি প্রয়োজনে এখন স্পিডবোটেও পার হওয়া যাবে। তবে স্পিডবোট চালানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠোর তদারকি থাকতে হবে, যাতে করে বোটচালকেরা আগের রূপে ফিরে না যান। যাত্রীসেবার বিষয়টি যেন মাথায় রাখেন।' 

বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধনকৃত বোট এবং সনদপ্রাপ্ত চালককেরাই নৌরুটে স্পিডবোট চালাবেন। এ ছাড়া ৪৪টি বোটকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। পরীক্ষায় অকৃতকার্য বেশ কয়েকজন চালকও সনদ পাননি। 

শিমুলিয়া নদীবন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এবং সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব মাওয়া) মো. শাহাদাত হোসেন জানান, 'দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল শুরু করেছে। নিবন্ধনপ্রাপ্ত ও সনদধারী চালকেরা স্পিডবোট চালাবেন। দীর্ঘদিন ধরে স্পিডবোট বন্ধ থাকায় এই নৌপথে যাত্রীদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিল। এখন চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মধ্যে। যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট নিশ্চিত করাসহ সরকারি নির্দেশনা মেনে চালকেরা কর্যক্রম পরিচালনা করবেন।' 

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান জানান, 'বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে চালু হয়েছে স্পিডবোট। বোট চলাচলের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা শতভাগ অনুসরণ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ধ্যার পরে কোনো বোট নৌরুটে চলতে পারবে না।' 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত