সৈয়দ ঋয়াদ ও জহিরুল আলম পিলু, ঢাকা
যে বয়সে বই-খাতা কিংবা খেলার মাঠে থাকার কথা, সেই কোমল হাতের ইশারায় শৃঙ্খলা ফিরেছে যানজটের শহর ঢাকায়। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর সড়কে নেই ট্রাফিক পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এসেছেন সেই শিক্ষার্থীরাই। গতকাল বৃহস্পতিবারও অদক্ষ হাতগুলো মোড়ে মোড়ে দক্ষতার সঙ্গে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
রাজধানীর গুলিস্তান থেকে ভিক্টর পরিবহনে কাকরাইল এসেছিলেন মোহাম্মদ আলী। এই ব্যবসায়ী যানজট নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের প্রশংসায় ভাসালেন। বললেন, ‘আমাদের ট্রাফিক পুলিশ কাজ করত ঠিকই, কিন্তু যেভাবে করার কথা, সেটা করত না। জনভোগান্তি কমার বদলে উল্টো বেড়ে যেত। শিক্ষার্থীরা খুবই দারুণভাবে সামলাচ্ছে।’
রাজারবাগ মোড়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেল কয়েকজন কিশোরকে। মাহাদী আল রাফি ও শেহজাদ হোসেইন (আরাফ) নামে দুই কিশোরের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তারা দুজনই মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সড়কে ট্রাফিক সামলানোর বিষয়ে জানতে চাইলে রাফি আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘আমাদের অনেক বড় ভাইবোন ট্রাফিকের কাজ করছেন। মনে হলো, আমরা যদি তাদের হেল্প করি, কাজটা আরও ভালো হবে।’
সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া মুগদা প্রধান সড়কে দাঁড়িয়েছিলেন ট্রাফিক সামলাতে। তিনি বললেন, ‘এই দেশের জন্য আমাদের অনেক ভাইবোন আন্দোলন করে শহীদ হয়েছেন, তাঁদের স্বপ্ন পূরণ করতে আমরা সড়কে এসেছি।’ অসুবিধা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ খুব খারাপভাবে তাকাচ্ছে। তবে সেদিকে তাকানোর সময় আমার নাই। আমরা এই শহর, এই দেশ বদলে দেওয়ার যুদ্ধে নেমেছি। যত দিন আমাদের স্বপ্ন পূরণ না হয়, আমরা মাঠেই থাকব।’
রাজধানীর মতো জুরাইনে যানজট নিরসন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল ৯টা থেকেই সড়কে নেমে যান শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ঢাকা-মাওয়া সড়কের পোস্তগোলা এলাকায় রাস্তা ঝাড়ু দিয়েছেন তাঁরা। শুধু তা-ই নয়, ফ্লাইওভারের নিচে এত দিনের জমে থাকা ময়লা-আবর্জনাও পরিষ্কার হয়েছে এসব শিক্ষার্থীর হাত ধরে।
মনির হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা দলমত বুঝি না। এখানে আমাদের কোনো টিম লিডারও নাই। বিবেকের তাড়নায় আমরা এসব ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করছি। যাতে ভবিষ্যতে যেকোনো দল বা সংগঠন এ জায়গায় মিটিং করতে পারে।’
নারায়ণগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তিফা বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা এখনো তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসেনি। তাই জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে ও রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরাতে দায়িত্ব পালন করছি। ট্রাফিক পুলিশ ফিরলে আমরা চলে যাব।’
জুরাইন এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ বলেন, জুরাইন ফ্লাইওভারের নিচের বড় একটি অংশ এতদিন ময়লা-আবর্জনায় নোংরা ছিল। প্রস্রাবের দুর্গন্ধে নাক চেপে হাঁটতে হতো। শিক্ষার্থীরা সব পরিচ্ছন্ন করে দিয়েছে।
যে বয়সে বই-খাতা কিংবা খেলার মাঠে থাকার কথা, সেই কোমল হাতের ইশারায় শৃঙ্খলা ফিরেছে যানজটের শহর ঢাকায়। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর সড়কে নেই ট্রাফিক পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এসেছেন সেই শিক্ষার্থীরাই। গতকাল বৃহস্পতিবারও অদক্ষ হাতগুলো মোড়ে মোড়ে দক্ষতার সঙ্গে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
রাজধানীর গুলিস্তান থেকে ভিক্টর পরিবহনে কাকরাইল এসেছিলেন মোহাম্মদ আলী। এই ব্যবসায়ী যানজট নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের প্রশংসায় ভাসালেন। বললেন, ‘আমাদের ট্রাফিক পুলিশ কাজ করত ঠিকই, কিন্তু যেভাবে করার কথা, সেটা করত না। জনভোগান্তি কমার বদলে উল্টো বেড়ে যেত। শিক্ষার্থীরা খুবই দারুণভাবে সামলাচ্ছে।’
রাজারবাগ মোড়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেল কয়েকজন কিশোরকে। মাহাদী আল রাফি ও শেহজাদ হোসেইন (আরাফ) নামে দুই কিশোরের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তারা দুজনই মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সড়কে ট্রাফিক সামলানোর বিষয়ে জানতে চাইলে রাফি আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘আমাদের অনেক বড় ভাইবোন ট্রাফিকের কাজ করছেন। মনে হলো, আমরা যদি তাদের হেল্প করি, কাজটা আরও ভালো হবে।’
সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া মুগদা প্রধান সড়কে দাঁড়িয়েছিলেন ট্রাফিক সামলাতে। তিনি বললেন, ‘এই দেশের জন্য আমাদের অনেক ভাইবোন আন্দোলন করে শহীদ হয়েছেন, তাঁদের স্বপ্ন পূরণ করতে আমরা সড়কে এসেছি।’ অসুবিধা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ খুব খারাপভাবে তাকাচ্ছে। তবে সেদিকে তাকানোর সময় আমার নাই। আমরা এই শহর, এই দেশ বদলে দেওয়ার যুদ্ধে নেমেছি। যত দিন আমাদের স্বপ্ন পূরণ না হয়, আমরা মাঠেই থাকব।’
রাজধানীর মতো জুরাইনে যানজট নিরসন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল ৯টা থেকেই সড়কে নেমে যান শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ঢাকা-মাওয়া সড়কের পোস্তগোলা এলাকায় রাস্তা ঝাড়ু দিয়েছেন তাঁরা। শুধু তা-ই নয়, ফ্লাইওভারের নিচে এত দিনের জমে থাকা ময়লা-আবর্জনাও পরিষ্কার হয়েছে এসব শিক্ষার্থীর হাত ধরে।
মনির হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা দলমত বুঝি না। এখানে আমাদের কোনো টিম লিডারও নাই। বিবেকের তাড়নায় আমরা এসব ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করছি। যাতে ভবিষ্যতে যেকোনো দল বা সংগঠন এ জায়গায় মিটিং করতে পারে।’
নারায়ণগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তিফা বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা এখনো তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসেনি। তাই জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে ও রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরাতে দায়িত্ব পালন করছি। ট্রাফিক পুলিশ ফিরলে আমরা চলে যাব।’
জুরাইন এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ বলেন, জুরাইন ফ্লাইওভারের নিচের বড় একটি অংশ এতদিন ময়লা-আবর্জনায় নোংরা ছিল। প্রস্রাবের দুর্গন্ধে নাক চেপে হাঁটতে হতো। শিক্ষার্থীরা সব পরিচ্ছন্ন করে দিয়েছে।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের চার দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চার দিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়স্বজন। তাঁর বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কিনা সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে...
৬ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া চুক্তি করা অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে টাকা দেননি।
২২ মিনিট আগেপাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার...
২৮ মিনিট আগেবিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটা জোরের জায়গা। আমরা আগামী সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০টি প্রকল্পের জন্য টেন্ডার আহ্বান করবো। আমাদের বিদ্যুতের যে সমস্যা এটি বিদ্যুতের সমস্যা না...
৪৪ মিনিট আগে