নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর পল্লবীতে অভিযান চালিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারক চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—চক্রের মূল হোতা শামীম হোসেন ওরফে সোহেল রানা (৪২), অন্যতম সহযোগী রেবেকা সুলতান (৪২), ওমর ফারুক (৩২), শহিদুল ইসলাম (৪৬), মো. ইমরান (২৮), শরীফুল ইসলাম (৪৮), আল আমিন (৪১), কাজী হাবিব (৩৪), মাহাবুবুর রহমান ওরফে সরওয়ার (৪২), রুবেল শেখ (৪৫), আব্দুল মতিন (৪৫), সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩৬), রফিকুল ইসলাম খোকা (৫০)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র, অফিস আদেশ, আবেদন ফরম, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, স্ট্যাম্প, চাকরি প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত। নগদ চুরাশি হাজার চার শ টাকা, ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পাসপোর্ট, ই-ভিসার ছবি এবং ২২টি মোবাইল ফোনসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত। তিনি জানান, এই চক্রটি সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে বিভিন্ন ধাপে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগের নামে প্রতারণা করত। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বেকার যুবকদের আকর্ষণীয় বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি। গ্রাম থেকে ঢাকায় এনে বিভিন্ন পরীক্ষার নামে বিশ্বস্ততা অর্জন করে ভুয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে ধাপে ধাপে প্রতারণা করা হতো।
র্যাব-২ অধিনায়ক আবু নাঈম বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে টাকার বিনিময়ে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। চক্রটির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী তথ্য প্রমাণসহ র্যাব-২ এ অভিযোগ করেন এবং চারজন পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর মিরপুর, পল্লবীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের মূল হোতা সোহেল রানাসহ চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
গ্রেপ্তার চক্রের সদস্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব-২ এর অধিনায়ক জানান, তিন ধাপে প্রতারণা করে আসা এই চক্রের সদস্য সংখ্যা ৪০-৫০ জন। প্রথম ধাপে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চক্রের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে চাকরির আশ্বাস দিত। পরে জমিজমা বিক্রি ও ধার দেনা করে টাকা পয়সা জোগাড় করে টাকা ও চাকরি প্রার্থীকে ঢাকা আনা হতো। ঢাকায় আনার পর প্রতারক চক্রের দ্বিতীয় স্তরের সদস্যরা তাদের দায়িত্ব নিয়ে চাকরি দেওয়ার বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রার্থীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, প্রশিক্ষণের আয়োজন করত। এর পর তাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হতো। চক্রের তৃতীয় স্তরের সদস্যরা বিভিন্ন কার্যক্রমে নিজেদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিশ্বাস জোরদার করতে কাজ করত। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসারসহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে তার জন্য সুপারিশ করা হবে। তার সুপারিশেই চাকরি হবে বলে আশ্বস্ত করত। প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া টাকা নির্দিষ্ট কমিশনে ভাগাভাগি করে নিত।
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার পাশাপাশি চক্রটি বিপন্ন প্রাণী তক্ষক, প্রাচীন মুদ্রা, স্বর্ণের বার, ম্যাগনেটিক পিলার, সাপের মনি, মানব পাচারসহ সাধারণ মানুষ ঠকানোর কাজ করে আসছিল বলেও জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক।
গ্রেপ্তার প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
রাজধানীর পল্লবীতে অভিযান চালিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারক চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—চক্রের মূল হোতা শামীম হোসেন ওরফে সোহেল রানা (৪২), অন্যতম সহযোগী রেবেকা সুলতান (৪২), ওমর ফারুক (৩২), শহিদুল ইসলাম (৪৬), মো. ইমরান (২৮), শরীফুল ইসলাম (৪৮), আল আমিন (৪১), কাজী হাবিব (৩৪), মাহাবুবুর রহমান ওরফে সরওয়ার (৪২), রুবেল শেখ (৪৫), আব্দুল মতিন (৪৫), সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩৬), রফিকুল ইসলাম খোকা (৫০)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র, অফিস আদেশ, আবেদন ফরম, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, স্ট্যাম্প, চাকরি প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত। নগদ চুরাশি হাজার চার শ টাকা, ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পাসপোর্ট, ই-ভিসার ছবি এবং ২২টি মোবাইল ফোনসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত। তিনি জানান, এই চক্রটি সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে বিভিন্ন ধাপে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগের নামে প্রতারণা করত। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বেকার যুবকদের আকর্ষণীয় বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি। গ্রাম থেকে ঢাকায় এনে বিভিন্ন পরীক্ষার নামে বিশ্বস্ততা অর্জন করে ভুয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে ধাপে ধাপে প্রতারণা করা হতো।
র্যাব-২ অধিনায়ক আবু নাঈম বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে টাকার বিনিময়ে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। চক্রটির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী তথ্য প্রমাণসহ র্যাব-২ এ অভিযোগ করেন এবং চারজন পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর মিরপুর, পল্লবীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের মূল হোতা সোহেল রানাসহ চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
গ্রেপ্তার চক্রের সদস্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব-২ এর অধিনায়ক জানান, তিন ধাপে প্রতারণা করে আসা এই চক্রের সদস্য সংখ্যা ৪০-৫০ জন। প্রথম ধাপে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চক্রের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে চাকরির আশ্বাস দিত। পরে জমিজমা বিক্রি ও ধার দেনা করে টাকা পয়সা জোগাড় করে টাকা ও চাকরি প্রার্থীকে ঢাকা আনা হতো। ঢাকায় আনার পর প্রতারক চক্রের দ্বিতীয় স্তরের সদস্যরা তাদের দায়িত্ব নিয়ে চাকরি দেওয়ার বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রার্থীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, প্রশিক্ষণের আয়োজন করত। এর পর তাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হতো। চক্রের তৃতীয় স্তরের সদস্যরা বিভিন্ন কার্যক্রমে নিজেদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিশ্বাস জোরদার করতে কাজ করত। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসারসহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে তার জন্য সুপারিশ করা হবে। তার সুপারিশেই চাকরি হবে বলে আশ্বস্ত করত। প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া টাকা নির্দিষ্ট কমিশনে ভাগাভাগি করে নিত।
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার পাশাপাশি চক্রটি বিপন্ন প্রাণী তক্ষক, প্রাচীন মুদ্রা, স্বর্ণের বার, ম্যাগনেটিক পিলার, সাপের মনি, মানব পাচারসহ সাধারণ মানুষ ঠকানোর কাজ করে আসছিল বলেও জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক।
গ্রেপ্তার প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৭ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৭ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৮ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৯ ঘণ্টা আগে