রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
নরসিংদীর রায়পুরায় খলিলাবাদ বিলে ঐতিহ্যবাহী ‘পলো বাওয়া’ উৎসব মেতেছেন মাছ শিকারিরা। আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও মানুষ এসে এখানে মাছ ধরেছেন। শতাধিক বছর ধরে এই বিলে ফাল্গুন-চৈত্র মাসের যেকোনো একদিন পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসবে মাতেন মাছ শিকারিরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খলিলাবাদ বিলে গিয়ে দেখা গেছে, দুই হাজারের বেশি মানুষ পানিতে নেমে পলো ও মাছ রাখার থলে নিয়ে কচুরিপানা সরিয়ে হই হুল্লোড়ে মাতেন।
মাছ শিকারি ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের খলিলাবাদ গ্রামের খলিলাবাদ বিলে শত বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে পলো বাওয়া উৎসব। পলো উৎসবটি উপভোগ করতে গ্রামের নানান বয়সী মানুষ বিলে নেমে বা পাড়ে বসে উল্লাস করেন। নরসিংদীসহ পার্শ্ববর্তী গাজীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলা এই উৎসবে অংশ নেন।
খলিলাবাদ গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা ছোট বেলায় দেখতাম বসন্তের এই সময়টাতে আমার দাদারা বিল থেকে বড় বড় রুই, কাতল, মৃগেল, শোল, বোয়াল, পুঁটিসহ প্রায় অর্ধশত প্রজাতির মাছ ধরতেন। এই বিলের মাছ অনেক সুস্বাদু। তাই তো এখনো পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার মাছ মানুষ মাছ ধরতে আসেন।’
শিকারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উৎসবের সপ্তাহ খানিক আগে কোনো একজনের দায়িত্বে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বাজারে ১০০ টাকার বিনিময়ে তৈলের টিন বাজিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় উৎসবের তারিখ। এই খবর জানার পর লোকজন প্রস্তুতি নিয়ে পলো নিয়ে এতে অংশ নেন।
গাজীপুর থেকে আসা মাছ শিকারি আহাম্মেদ আলী বলেন, ‘আমি এসেছি গাজীপুর থেকে। সাত বছর ধরে প্রতি বছর এখানে আসি মাছ শিকার করতে। এবারও এসেছি। মাছ পাওয়া না পাওয়া বিষয় না। সবাই মিলে আনন্দ করছি, হই হুল্লোড় করছি এটিই বড়ে কথা।’
ময়মনসিংহ থেকে আসা সোলায়মান বলেন, ‘আমরা পাঁচজন এসেছি। আমি একটা শোল মাছ পেয়েছি। আনন্দ লাগছে। বেঁচে থাকলে আগামীতে আসব।’
রাজবাড়ির ফুলবাড়ি উপজেলার আনিস মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকা থেকে দুজন এসেছি এখানে মাছ শিকার করতে। পাঁচ-ছয় বছর ধরে আমি এখানে আসি।’
গাজিপুরের কালীগঞ্জ থেকে আসা মোবারক নামের আরেক মাছ শিকারি বলেন, ‘আমি একটি বড় বোয়ালসহ ছোট মাছ পেয়েছি। এতেই খুশি। টাকা দিলেও এই মাছ আমি কিনতে পারব না। এটা শখের জিনিস।’
পলাশতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘এই বিল সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রতি বছরই এই বিলে উৎসবমুখর পরিবেশে পলো বাওয়া উৎসব হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর তা পালন করছে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মাছ শিকারিরা।’
নরসিংদীর রায়পুরায় খলিলাবাদ বিলে ঐতিহ্যবাহী ‘পলো বাওয়া’ উৎসব মেতেছেন মাছ শিকারিরা। আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও মানুষ এসে এখানে মাছ ধরেছেন। শতাধিক বছর ধরে এই বিলে ফাল্গুন-চৈত্র মাসের যেকোনো একদিন পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসবে মাতেন মাছ শিকারিরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খলিলাবাদ বিলে গিয়ে দেখা গেছে, দুই হাজারের বেশি মানুষ পানিতে নেমে পলো ও মাছ রাখার থলে নিয়ে কচুরিপানা সরিয়ে হই হুল্লোড়ে মাতেন।
মাছ শিকারি ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের খলিলাবাদ গ্রামের খলিলাবাদ বিলে শত বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে পলো বাওয়া উৎসব। পলো উৎসবটি উপভোগ করতে গ্রামের নানান বয়সী মানুষ বিলে নেমে বা পাড়ে বসে উল্লাস করেন। নরসিংদীসহ পার্শ্ববর্তী গাজীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলা এই উৎসবে অংশ নেন।
খলিলাবাদ গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা ছোট বেলায় দেখতাম বসন্তের এই সময়টাতে আমার দাদারা বিল থেকে বড় বড় রুই, কাতল, মৃগেল, শোল, বোয়াল, পুঁটিসহ প্রায় অর্ধশত প্রজাতির মাছ ধরতেন। এই বিলের মাছ অনেক সুস্বাদু। তাই তো এখনো পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার মাছ মানুষ মাছ ধরতে আসেন।’
শিকারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উৎসবের সপ্তাহ খানিক আগে কোনো একজনের দায়িত্বে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বাজারে ১০০ টাকার বিনিময়ে তৈলের টিন বাজিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় উৎসবের তারিখ। এই খবর জানার পর লোকজন প্রস্তুতি নিয়ে পলো নিয়ে এতে অংশ নেন।
গাজীপুর থেকে আসা মাছ শিকারি আহাম্মেদ আলী বলেন, ‘আমি এসেছি গাজীপুর থেকে। সাত বছর ধরে প্রতি বছর এখানে আসি মাছ শিকার করতে। এবারও এসেছি। মাছ পাওয়া না পাওয়া বিষয় না। সবাই মিলে আনন্দ করছি, হই হুল্লোড় করছি এটিই বড়ে কথা।’
ময়মনসিংহ থেকে আসা সোলায়মান বলেন, ‘আমরা পাঁচজন এসেছি। আমি একটা শোল মাছ পেয়েছি। আনন্দ লাগছে। বেঁচে থাকলে আগামীতে আসব।’
রাজবাড়ির ফুলবাড়ি উপজেলার আনিস মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকা থেকে দুজন এসেছি এখানে মাছ শিকার করতে। পাঁচ-ছয় বছর ধরে আমি এখানে আসি।’
গাজিপুরের কালীগঞ্জ থেকে আসা মোবারক নামের আরেক মাছ শিকারি বলেন, ‘আমি একটি বড় বোয়ালসহ ছোট মাছ পেয়েছি। এতেই খুশি। টাকা দিলেও এই মাছ আমি কিনতে পারব না। এটা শখের জিনিস।’
পলাশতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘এই বিল সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রতি বছরই এই বিলে উৎসবমুখর পরিবেশে পলো বাওয়া উৎসব হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর তা পালন করছে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মাছ শিকারিরা।’
আয়শা আক্তার আঁখি এ পর্যন্ত তিনি ৫ শতাধিক গয়না তৈরি করেছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে কানের দুল, গলার সেট, মালা, চুড়িসহ নানা ধরনের গয়না। মাটির গয়নায় নান্দনিক ডিজাইন ও কারুকাজ যুক্ত করে সেগুলি তৈরি করেন তিনি। শুরুতে তেমন সাড়া না পেলেও এখন তাঁর তৈরি গয়নাগুলো অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে এবং ক্রেতারা নতুন অর্ডার...
১১ মিনিট আগেগতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শ্বাসনালিসহ হান্নানের শরীরে ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ইনস্টিটিউটের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছ
৩৪ মিনিট আগেঅভাব আর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হয়েও রহিমা আরা দোলা স্বপ্ন দেখতেন ভালোভাবে বেঁচে থাকার। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তান হারানোর পর বেঁচে থাকার সেই ইচ্ছেটাও মরে যায়। তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সেই মনোবল হারানো দোলা আজ অনেক নারীর অনুপ্রেরণা। তিনটি জামার ডিজাইন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যব
৭ ঘণ্টা আগেছোট্ট দোকান। দোকানের সামনে কোনো সাইনবোর্ড নেই। দোকানটিতে পাওয়া যায় শুধু জিলাপি আর নিমকি। প্রতিবছর রোজার দিনে দুপুরের পর থেকে রাজশাহী নগরের বাটার মোড়ের এই দোকানে জিলাপি কিনতে ক্রেতাদের ভিড় লেগে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
৭ ঘণ্টা আগে