মাহমুদ সোহেল
ঢাকা: বাবা বাসায় না এলে ঘুমাত না ৯ মাসের শিশু সুবাহানা তাইয়েবা। বাবার সঙ্গে ছিল গভীর সখ্য। নিজের বুকে লেপ্টে থাকা মেয়ের ঘুমানোর ছবি বন্ধুদের দেখিয়ে নিজের আনন্দ প্রকাশ করতেন বাবা সুজন। গতকাল রোববার রাতে মগবাজারের বিস্ফোরণে হারিয়ে গেছে ৯ মাসের মেয়ে সুবাহানা তাইয়েবা ও প্রিয়তমা স্ত্রী জান্নাত। এ কষ্ট মাপার যন্ত্র পৃথিবীতে কী আছে? এই প্রশ্ন সব হারা সুজনের বন্ধু শাহাদাতের।
ওয়ারলেস রেলগেট এলাকার যারা ওই পরিবারকে চিনতেন সবাই বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন। ফুটফুটে সংসারটি মিলিয়ে গেল অল্প সময়েই। কারও কাছেই নেই সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা।
বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থল শর্মা হাউসে চাকরি করতেন জান্নাতের ভাই তুষার। রেস্টুরেন্টের পাচকের চাকরি ছিল তার। ঘটনার দিন বিকেলে মা জান্নাতের কোলে চড়ে মামার রেস্টুরেন্টে বেড়াতে গিয়েছিল ৯ মাসের শিশুটি। । দুজনই রোববার মারা গেছেন। জান্নাতের আরেক ভাই ১১ বছর বয়সী রাব্বি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সুজনের আরেক বন্ধু বরকত জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল ছোট্ট শিশুটিকে। ছোট্ট সুবাহানাকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছিলেন ওই হাসপাতালের ডিউটি অফিসার অমিত পাল। তিনি জানান–শিশুটির মাথায়, চোখে ও শরীরে কাচ ঢুকে ছিল। রক্ত ঝরছিল। এমন মর্মান্তিক অবস্থা দেখে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। হাসপাতালের অন্যান্য ডাক্তাররাও সুবাহানাকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে যথাসাধ্য সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে জানান তিনি।
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র অল্প দূরত্বে সুজনের কর্মস্থল রমনা ফার্মেসি। সেখানে তিনি বিক্রয়কর্মীর চাকরি করেন। সুজনের সহকর্মী আব্দুল কাইয়ুম জানান, শর্মা হাউসে প্রায়ই বেড়াতে যেতেন জান্নাত। ঘটনার দিন বিকেল বেলা মা আর শিশু বেড়াতে গিয়েছিল মামার অফিসে।
সুজনের আরেক বন্ধু রফিক ঘটনাস্থলের পাশেই ছিলেন। তিনি জানান–হলিউডের সিনেমার মতো থ্রিডি মুভি স্টাইলে ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যায়। বিকট শব্দে দীর্ঘক্ষণ কানে কিছু শুনতে পাননি তিনি।
সুজনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। শ্বশুরবাড়ি লক্ষ্মীপুরে। স্ত্রী এবং কলিজার টুকরা সন্তান সুবাহানাকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে দাফন করা হয়েছে। বাবাকে ছাড়াই ঘুমিয়ে গেছে সুবাহানা। সুজন কি আর ঘুমাতে পারবেন?
ঢাকা: বাবা বাসায় না এলে ঘুমাত না ৯ মাসের শিশু সুবাহানা তাইয়েবা। বাবার সঙ্গে ছিল গভীর সখ্য। নিজের বুকে লেপ্টে থাকা মেয়ের ঘুমানোর ছবি বন্ধুদের দেখিয়ে নিজের আনন্দ প্রকাশ করতেন বাবা সুজন। গতকাল রোববার রাতে মগবাজারের বিস্ফোরণে হারিয়ে গেছে ৯ মাসের মেয়ে সুবাহানা তাইয়েবা ও প্রিয়তমা স্ত্রী জান্নাত। এ কষ্ট মাপার যন্ত্র পৃথিবীতে কী আছে? এই প্রশ্ন সব হারা সুজনের বন্ধু শাহাদাতের।
ওয়ারলেস রেলগেট এলাকার যারা ওই পরিবারকে চিনতেন সবাই বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন। ফুটফুটে সংসারটি মিলিয়ে গেল অল্প সময়েই। কারও কাছেই নেই সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা।
বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থল শর্মা হাউসে চাকরি করতেন জান্নাতের ভাই তুষার। রেস্টুরেন্টের পাচকের চাকরি ছিল তার। ঘটনার দিন বিকেলে মা জান্নাতের কোলে চড়ে মামার রেস্টুরেন্টে বেড়াতে গিয়েছিল ৯ মাসের শিশুটি। । দুজনই রোববার মারা গেছেন। জান্নাতের আরেক ভাই ১১ বছর বয়সী রাব্বি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সুজনের আরেক বন্ধু বরকত জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল ছোট্ট শিশুটিকে। ছোট্ট সুবাহানাকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছিলেন ওই হাসপাতালের ডিউটি অফিসার অমিত পাল। তিনি জানান–শিশুটির মাথায়, চোখে ও শরীরে কাচ ঢুকে ছিল। রক্ত ঝরছিল। এমন মর্মান্তিক অবস্থা দেখে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। হাসপাতালের অন্যান্য ডাক্তাররাও সুবাহানাকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে যথাসাধ্য সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে জানান তিনি।
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র অল্প দূরত্বে সুজনের কর্মস্থল রমনা ফার্মেসি। সেখানে তিনি বিক্রয়কর্মীর চাকরি করেন। সুজনের সহকর্মী আব্দুল কাইয়ুম জানান, শর্মা হাউসে প্রায়ই বেড়াতে যেতেন জান্নাত। ঘটনার দিন বিকেল বেলা মা আর শিশু বেড়াতে গিয়েছিল মামার অফিসে।
সুজনের আরেক বন্ধু রফিক ঘটনাস্থলের পাশেই ছিলেন। তিনি জানান–হলিউডের সিনেমার মতো থ্রিডি মুভি স্টাইলে ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যায়। বিকট শব্দে দীর্ঘক্ষণ কানে কিছু শুনতে পাননি তিনি।
সুজনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। শ্বশুরবাড়ি লক্ষ্মীপুরে। স্ত্রী এবং কলিজার টুকরা সন্তান সুবাহানাকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে দাফন করা হয়েছে। বাবাকে ছাড়াই ঘুমিয়ে গেছে সুবাহানা। সুজন কি আর ঘুমাতে পারবেন?
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
৭ মিনিট আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
১২ মিনিট আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
১৬ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৯ ঘণ্টা আগে