ঢাবি প্রতিনিধি
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনে ঢুকে হঠাৎ করেই ‘প্রতিবাদী মোনাজাত’ করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী। সেই বাহালুলকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এই শোকজ করা হয়। আজ থেকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে শোকজ নোটিশের জবাব দিতেও বলা হয় বাহালুলকে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ থাকায় কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে পারেননি বাহালুল। হাসপাতালে ভর্তি থাকায় ছুটিও নিতে পারেননি তিনি। তাই গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহালুলকে ‘অনুপস্থিত’ দেখিয়ে পরীক্ষা উপনিয়ন্ত্রক মো. ছানাউল্লাহকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অফিসে আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনার ছুটি মঞ্জুর ও কাজে যোগদানের আবেদন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। আপনি (বাহালুল) গত ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে বেলা ২টার দিকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের প্রায় ৩০/৩৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে উপাচার্য ভবনের প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয়ে মাইকে বিভিন্ন ধরনের অসংগতিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান ও মোনাজাত পরিচালনা করেছেন। এ ধরনের আচরণ খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। বিষয়টি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলে এসেছে।
‘কেন এবং কী উদ্দেশ্যে আপনি এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছেন, এ বিষয়ে পত্র ইস্যুর তারিখ হতে ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে নিম্নস্বাক্ষরকারীর নিকট জবাব প্রদানের জন্য আদিষ্ট হয়ে আপনাকে অনুরোধ করছি—বলে উল্লেখ করা হয় অফিস আদেশে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি অসুস্থ থাকায় অনুপস্থিত ছিল, তাই ছুটি নিতে পারেননি। পরে সুস্থ হয়ে ছুটি মঞ্জুরের জন্য আবেদন করেছেন, তাই কর্তৃপক্ষের আদেশে তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সময় মৌখিকভাবে ৫৩ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন বাহালুল হক চৌধুরী। এ ছাড়া বাজারদরের চেয়ে কম দামে পছন্দের ব্যক্তির কাছে পুরোনো কাগজ বিক্রি, অধিভুক্ত কলেজের প্রবেশপত্র ফি নগদে গ্রহণ ও লেনদেনে অস্বচ্ছতাসহ বহু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) গেলে কমিশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিষয়ে তথ্য চায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও হিসাব পরিচালক দুদকের চিঠির জবাবও দিয়েছেন। গত বছরের ২২ অক্টোবর দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নিয়মের ধার ধারেন না পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এদিকে বাহালুলের মৌখিক নিয়োগের ১১ জনের চাকরি স্থায়ী হলেও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৪২ জনের নিয়োগ স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিয়োগ স্থগিত করায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি করলেও পরবর্তী সময় নিয়োগ সার্কুলারে ‘অগ্রাধিকার’ দেওয়া হবে—বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। উপাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেন তাঁরা।
আরও খবর পড়ুন:
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনে ঢুকে হঠাৎ করেই ‘প্রতিবাদী মোনাজাত’ করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী। সেই বাহালুলকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এই শোকজ করা হয়। আজ থেকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে শোকজ নোটিশের জবাব দিতেও বলা হয় বাহালুলকে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ থাকায় কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে পারেননি বাহালুল। হাসপাতালে ভর্তি থাকায় ছুটিও নিতে পারেননি তিনি। তাই গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহালুলকে ‘অনুপস্থিত’ দেখিয়ে পরীক্ষা উপনিয়ন্ত্রক মো. ছানাউল্লাহকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অফিসে আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনার ছুটি মঞ্জুর ও কাজে যোগদানের আবেদন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। আপনি (বাহালুল) গত ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে বেলা ২টার দিকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের প্রায় ৩০/৩৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে উপাচার্য ভবনের প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয়ে মাইকে বিভিন্ন ধরনের অসংগতিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান ও মোনাজাত পরিচালনা করেছেন। এ ধরনের আচরণ খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। বিষয়টি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলে এসেছে।
‘কেন এবং কী উদ্দেশ্যে আপনি এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছেন, এ বিষয়ে পত্র ইস্যুর তারিখ হতে ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে নিম্নস্বাক্ষরকারীর নিকট জবাব প্রদানের জন্য আদিষ্ট হয়ে আপনাকে অনুরোধ করছি—বলে উল্লেখ করা হয় অফিস আদেশে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি অসুস্থ থাকায় অনুপস্থিত ছিল, তাই ছুটি নিতে পারেননি। পরে সুস্থ হয়ে ছুটি মঞ্জুরের জন্য আবেদন করেছেন, তাই কর্তৃপক্ষের আদেশে তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সময় মৌখিকভাবে ৫৩ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন বাহালুল হক চৌধুরী। এ ছাড়া বাজারদরের চেয়ে কম দামে পছন্দের ব্যক্তির কাছে পুরোনো কাগজ বিক্রি, অধিভুক্ত কলেজের প্রবেশপত্র ফি নগদে গ্রহণ ও লেনদেনে অস্বচ্ছতাসহ বহু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) গেলে কমিশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিষয়ে তথ্য চায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও হিসাব পরিচালক দুদকের চিঠির জবাবও দিয়েছেন। গত বছরের ২২ অক্টোবর দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নিয়মের ধার ধারেন না পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এদিকে বাহালুলের মৌখিক নিয়োগের ১১ জনের চাকরি স্থায়ী হলেও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৪২ জনের নিয়োগ স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিয়োগ স্থগিত করায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি করলেও পরবর্তী সময় নিয়োগ সার্কুলারে ‘অগ্রাধিকার’ দেওয়া হবে—বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। উপাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেন তাঁরা।
আরও খবর পড়ুন:
ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ভোটার হতে এসে নীলফামারীতে গ্রেপ্তার হলেন চার রোহিঙ্গা যুবক। আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে গতকাল সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়।
১৪ মিনিট আগেমাগুরা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর পাড়ায় নবগঙ্গা নদীর ওপরে নির্মিত ২ কোটি টাকার আরসিসি গার্ডার সেতুটি কাজে আসছে না। সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেতু নির্মাণের স্থান নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু নির্মাণের স্থান নির্বাচন সঠিক স্থানেও হয়নি। কবে সেতুর এই সম
১৫ মিনিট আগেযুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘সকল সেক্টরে সংস্কারের পর আমরা নির্বাচনের দিকে যেতে চাই। গণ-অভ্যুত্থানে মানুষের যেই আকাঙ্ক্ষা, বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পর এই সংস্কারের সুযোগ এসেছে। সুযোগটা আমরা কাজে লাগাতে চাই।’
২৪ মিনিট আগেবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় ২০২৩ সালের মার্চে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বুস্টার যন্ত্রটিও বন্ধ হয়। দুই দফা মেরামত ও দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত মে মাসে ফের উৎপাদনে আসে ১০০ মেগাওয়াটের গ্য
১ ঘণ্টা আগে