আশুলিয়ায় নদী তীরের অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩, ১৮: ৫৯
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, ১৯: ৪৮

ঢাকার আশুলিয়ায় নয়ারহাট এলাকায় বংশী নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন আজ রোববার অর্ধশতাধিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। 

উচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশে নদী ও এর তীর দখলমুক্ত করা হচ্ছে। সরকারি জমি কারও দখলে রাখার সুযোগ নেই। কেউ করে থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

ঢাকা জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন জানান, ১০ বছর আগে স্থানীয় আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান নয়ারহাট বাজারের পশ্চিম পাশে বংশী নদী ভরাট করে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করেন। সড়কের নির্মাণ ব্যয়ের কথা বলে সড়ক বাদে ভরাট করা অংশ ব্যবসায়ীদের কাছে বরাদ্দ দিয়ে বিভিন্ন হারে টাকা আদায় করা হয়। পরে ব্যবসায়ীরা সেখানে পাকা ও আধা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। এসব স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি নদীর জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে উপজেলা প্রশাসন থেকে তাঁদের নোটিশ দেওয়া হয়, যাতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫৩ জনের নাম ছিল। ওই বছর ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁদের সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরেও তাঁরা দখল ছাড়েননি। পরে নজরে আনা হলে উচ্চ আদালত এসব স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে গতকাল রোববার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। 

পাথালিয়া ইউপির চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান বলেন, ‘আমি জনস্বার্থে নদীর জায়গায় দোকান বসিয়ে সড়ক নির্মাণ করেছিলাম। আমার নিজেরও একটা দোকান ছিল, যা আমি উচ্ছেদের আগেই সরিয়ে নিয়েছি। আদালতের নির্দেশে প্রশাসন অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে, এ জন্য কোনো প্রতিবাদ করিনি।’ 

আশুলিয়া থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শরীফুল আলম বলেন, ‘আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত বংশী নদী ও এর তীর অনেক বছর ধরে দখল হয়ে আসছে। নয়ারহাট বাজারের পেছনে নির্মিত বিকল্প সড়কের দুই পাশেই অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। আজ অভিযান চালিয়ে পশ্চিম পাশের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে আমারও একটি দ্বিতল ভবন রয়েছে।’ 

জানতে চাইলে ব্যারিস্টার মো. বাকির হোসেন মৃধা বলেন, ‘হাইকোর্টে দায়ের করা আমার একটি রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাভারে বংশী নদী ও এর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চলছে। তবে প্রশাসনের নজরদারির অভাবে আবার তা দখল হয়ে যাচ্ছে।’ 
 
ইউএনও মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্ছেদের পর যারা সরকারি জমি পুনরায় দখল করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত