গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক স্কুল শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শিক্ষার্থী হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইবাড়ী এলাকার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রফেসর এমইএইচ আরিফ সেকেন্ডারি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল আহাদ (১৮)। 

স্কুল শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। 

জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলার পর প্রতিদিনই স্কুলে যেত আহাদ। তাঁর চোখে মুখে ছিল উচ্ছ্বাস এর ছাপ। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হল তিন দিন পর থেকেই ঠান্ডা, জ্বর শুরু হয় তাঁর। একপর্যায়ে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গত ১৯ সেপ্টেম্বর নমুনা পরীক্ষা করলে ২০ সেপ্টেম্বর করোনা শনাক্ত হয়। পরে নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় আহাদকে। ঘটনাটি জানার পরপরই ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

অভিভাবক মাসুম রেজা বলেন, আমরা খুবই চিন্তিত আছি। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা স্কুলে যদি আরও বাড়তে থাকে তাহলে বাচ্চাদের স্কুলে দেব না। সরকারকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি। 

এ বিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামীম মিয়া বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে অন্য কোনো শিক্ষার্থীর মাঝে করোনার লক্ষণ নেই। তবে দশম শ্রেণির এক পরীক্ষার্থীর করোনা পজিটিভ হয়েছে। আমাদের ধারণা সেটা অন্য স্থান থেকেও হতে পারে। তাঁকে স্কুলে আসতে মানা করা হয়েছে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আল বেলাল বলেন, স্কুল-কলেজে স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো পালন না করলে বাচ্চারা চরম ঝুঁকিতে পড়বে। তাই সকল শিক্ষার্থীর সতর্কতার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, এ বিষয়ে জানা নেই। তবে দ্রুত বিষয়টি দেখছি। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিয়ত হুঁশিয়ারি করে দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা বিধিনিষেধ মেনে চলে। তবু যদি তারা কথা না শুনে তাহলে তো সমস্যা হবেই। শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে পড়তেই পারে। তারপরও স্বাস্থ্য বিধি মানার বিষয়টি অনেক গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।