জাতীয় সম্মেলনে বক্তারা

ইমাম ও খতিবদের বাদ দিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯: ২১
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯: ৪০
জাতীয় ইমাম ও খতিব সংস্থা বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হলেও দেশের ইমাম ও খতিবরা স্বাধীনভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এখনো তাঁরা বেতন-ভাতাসহ নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। দেশের ইমাম ও খতিবদের বাদ দিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ইমাম ও খতিব সংস্থা বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনে ইমাম ও খতিবদের করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবরা বলেন, বাংলাদেশে জনসাধারণের কাছে ইমাম ও খতিবদের সামাজিক সম্মান এবং মর্যাদা অনেক বেশি থাকলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁরা অবহেলার শিকার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনীতিবিদদের নোংরা রাজনীতির শিকারও হতে হয় অনেক ইমাম-খতিবকে।

সভায় খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, ‘ইমামদের যে সম্মান থাকার কথা, সেটা এ সমাজে নেই। তবে অনেকে তাঁদের যোগ্যতার ভিত্তিতে সম্মান অর্জন করেছেন।’

তিনি ইমামদের বেতন বাড়ানো উচিত উল্লেখ করে আরও বলেন, ‘আজকের যুগে একজন রিকশাওয়ালাও ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করে। কিন্তু ইমামদের বেতন এর চেয়েও কম।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইমামদের সব বিভক্তি বাদ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইমামদের নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। বাদ দিতে হলেও সিস্টেম অনুযায়ী বাদ দিতে হবে।’

খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদী বলেন, মসজিদ হচ্ছে সবকিছুর কেন্দ্র। মসজিদ থেকে ইমাম-খতিবরা সমাজের মানুষকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। সে জন্য ইমাম-খতিবদের স্বাধীনভাবে থাকার সুযোগ করে দিতে হবে।

বর্তমানে সন্ত্রাসীরা মসজিদ কমিটির সদস্য হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের যদি কমিটিতে না রাখা হয় তারা সমাজে ফিতনা করা শুরু করে দেয়। মসজিদ কমিটির সভাপতি-সেক্রেটারি হতে হলে অবশ্যই বিশেষ গুণাবলি থাকতে হবে। মসজিদ কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারিসহ সদস্যদের কী ধরনের গুণাবলি থাকতে হবে—সেটা সরকারকে নির্ধারণ করে দিতে হবে।

আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ তৈয়ব বলেন, মসজিদের মধ্যে আবারও মক্তব চালু করতে হবে। লাইব্রেরি রাখতে হবে।

জাতীয় ইমাম ও খতিব সংস্থা বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মু. আতাউর রহমান সফিউল্লাহ বলেন, সমাজের ইমাম-খতিবরা সর্বোচ্চ ব্যক্তি। কিন্তু তাঁরা বৈষম্যের শিকার। সে জন্য ইমাম খতিবের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় ইমাম ও খতিব সংস্থা বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি আবু তাহের আল মাদানী বলেন, ‘আমরা আমাদের কথাগুলো বলতে পারছি না। আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বাধার সম্মুখীন হই। যেহেতু বৈষম্যবিরোধী একটা রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়া চলছে, তাই আমরা চাই ইমাম-খতিবদের স্বাধীনভাবে কথা বলতে দিতে হবে।’

ইমাম-খতিবদের সম্মানজনক বেতনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইমাম-খতিবরা বৈষম্যের শিকার। মসজিদ যাঁরা পরিচালনা করেন তাদের মাদক, ঘুষমুক্ত করতে হবে। আওয়ামী লীগ এলে আওয়ামী লীগের লোক, বিএনপি এলে বিএনপির লোক দিয়ে মসজিদ কমিটি করা হয়। এখানে যাঁরা থাকবেন তাঁদের মধ্যে আল্লাহর ভয় থাকতে হবে। চাঁদাবাজ, ঘুষখোর কেউ মসজিদ কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হতে পারবে না।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত