নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে গাজী আনিসের চাঞ্চল্যকর নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় প্ররোচনার মামলায় হেনোলাক্স ও আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. নুরুল আমিন ও পরিচালক ফাতেমা আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গত ৪ জুলাই গায়ে আগুন দিয়ে গাজী আনিসের নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে নুরুল আমিন-ফাতেমা দম্পতি রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে অন্যত্র আত্মগোপন করেন।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আলম মঈন।
খন্দকার আলম মঈন বলেন, গত ৪ জুলাই বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় গাজী আনিস নিজের শরীরে পেট্রলজাতীয় দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন লাগিয়ে মৃত্যুর চেষ্টা করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
গাজী আনিস তাঁর শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল সোয়া ৬টায় মৃত্যুবরণ করেন।
ওই ঘটনায় নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন, যার নম্বর ৯। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৩ রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরুল আমিন (৫৫) ও ফাতেমা আমিনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে।
মামলা ও অন্যান্য সূত্রের বরাতে কমান্ডার মঈন বলেন, ২০১৭ সালে আমিন গ্রুপের কর্ণধার নুরুল আমিন ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আমিনের সঙ্গে গাজী আনিসের পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাঁদের সঙ্গে সখ্য ও আন্তরিকতা গড়ে ওঠে। গ্রেপ্তারকৃতরা ২০১৮ সালে চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী একটি দেশে গেলে সেখানে স্থানীয় একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থানকালে গাজী আনিসকে হেনোলাক্স কোম্পানিতে বিনিয়োগের জন্য প্ররোচিত করেন। প্রথমে অসম্মতি জ্ঞাপন করলেও পরে রাজি হন এবং প্রাথমিকভাবে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। পরে তাঁদের প্ররোচনায় তিনি আরও ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন।
অধিকাংশ টাকাই গাজী আনিস ঋণ হিসেবে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে ধার নিয়েছিলেন। বিনিয়োগ করার সময় পরস্পরের প্রতি সম্মান ও বিশ্বাসের কারণে তাঁদের মধ্যে কোনো চুক্তিনামা হয়নি। বিনিয়োগ-পরবর্তী চূড়ান্ত রেজিস্ট্রি চুক্তিপত্র সম্পাদনে গড়িমসি করতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রতি মাসে লভ্যাংশ প্রদানও বন্ধ করে দেন। কয়েকবার গাজী আনিসকে হেনস্তা-ভয়ভীতিও প্রদর্শন করা হয়।
ওই টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন গাজী আনিস। এ ছাড়া ওই টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য গত ২৯ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। গত ৩১ মে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে পাওনা টাকা আদায়সংক্রান্তে মামলা দায়েরের বিষয়টি পোস্ট করে বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে সহায়তা চান।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, গত ৪ জুলাই পাওনা টাকা পরিশোধের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিকেল গড়ালেও তাঁরা গাজী আনিসকে টাকা দেননি। এরপর শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
নিহত গাজী আনিস কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ঠিকাদারি ব্যবসার পাশাপাশি একটি টেলিকম কোম্পানিতে চাকরি করতেন। পরে চাকরি ছেড়ে কুষ্টিয়ায় গাড়ির ব্যবসা শুরু করেন। তিনি সাহিত্যচর্চা করতেন এবং তাঁর বেশ কয়েকটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে।
আসামি নুরুল আমিন ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় কাদের হোমিও হল নামের হোমিও হলে ১৫ বছর চাকরি করেন। ওই সময় তাঁর একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার কথা মাথায় এলে ১৯৯১ সালে হেনোলাক্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা শুরু করেন। পরে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি নামে নামকরণ করেন। ওই কোম্পানির অধীনে হেনোলাক্স কসমেটিকস্ যেমন—হেনোলাক্স কমপ্লেকশন ক্রিম, হেনোলাক্স স্পট ক্রিম, হেনোলাক্স মেছতা আউট ক্রিম ও হেনোলাক্স হেয়ার অয়েল এবং পোলট্রি ফার্মের ব্যবসা করেন।
পরে বাজারে হেনোলাক্সের চাহিদা কমে গেলে ২০০৯ সালে তিনি আমিন হারবাল নামে আরেকটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা শুরু করেন এবং ২০১৬ সালে হেনোলাক্সের ব্যবসাও বন্ধ করে দেন। তাঁদের কাকরাইলে একটি ফ্ল্যাট, পুরানা পল্টনে স্কাই ভিউ হেনোলাক্স সেন্টার নামে একটি ১০ তলা ভবন, পিংক সিটিতে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি, মেরাজনগর কদমতলীতে হেনোলাক্স নামে চারতলা ভবন এবং মোহাম্মদবাগ কদমতলী এলাকায় হেনোলাক্স ফ্যাক্টরি রয়েছে। বর্তমানে ওই ফ্যাক্টরিতে খান ফুড প্রোডাক্টস, বন্যা ফুড প্রোডাক্টস এবং জে কে এগ্রো ফুড নামে তিনটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাড়ায় তাদের উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে।
গ্রেপ্তার ফাতেমা আমিন একটি বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ থেকে ডিএইচএমএস সম্পন্ন করে তাঁর স্বামীর আমিন হোমিও হলে প্রথমে এক বছর হোমিও চিকিৎসা করেন। তিনি তাঁর স্বামীর প্রতিষ্ঠিত আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি তাঁর স্বামীর আমিন হারবাল কোম্পানি দেখাশোনা করেন।
গাজী আনিস ছাড়াও অন্য কেউ আসামিদের কাছ থেকে টাকা পান কি না, জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাইনি।’
পাওনা টাকা প্রকৃতপক্ষে কত, কেনই-বা পরিশোধ করা হচ্ছিল না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গাজী আনিসের সঙ্গে লেনদেনে টাকার পরিমাণ নিয়ে আসামিদের আপত্তি আছে। বিভিন্ন সময়ে চেকে ও নগদে ৭৬ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে গাজী আনিসের লভ্যাংশসহ ন্যায্য পাওনা ৩ কোটি টাকা। এটা নিয়েই মূলত তাঁদের মধ্যে একাধিকবার বাগ্বিতণ্ডাও হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে গাজী আনিসের চাঞ্চল্যকর নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় প্ররোচনার মামলায় হেনোলাক্স ও আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. নুরুল আমিন ও পরিচালক ফাতেমা আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গত ৪ জুলাই গায়ে আগুন দিয়ে গাজী আনিসের নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে নুরুল আমিন-ফাতেমা দম্পতি রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে অন্যত্র আত্মগোপন করেন।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আলম মঈন।
খন্দকার আলম মঈন বলেন, গত ৪ জুলাই বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় গাজী আনিস নিজের শরীরে পেট্রলজাতীয় দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন লাগিয়ে মৃত্যুর চেষ্টা করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
গাজী আনিস তাঁর শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল সোয়া ৬টায় মৃত্যুবরণ করেন।
ওই ঘটনায় নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন, যার নম্বর ৯। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৩ রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরুল আমিন (৫৫) ও ফাতেমা আমিনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে।
মামলা ও অন্যান্য সূত্রের বরাতে কমান্ডার মঈন বলেন, ২০১৭ সালে আমিন গ্রুপের কর্ণধার নুরুল আমিন ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আমিনের সঙ্গে গাজী আনিসের পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাঁদের সঙ্গে সখ্য ও আন্তরিকতা গড়ে ওঠে। গ্রেপ্তারকৃতরা ২০১৮ সালে চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী একটি দেশে গেলে সেখানে স্থানীয় একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থানকালে গাজী আনিসকে হেনোলাক্স কোম্পানিতে বিনিয়োগের জন্য প্ররোচিত করেন। প্রথমে অসম্মতি জ্ঞাপন করলেও পরে রাজি হন এবং প্রাথমিকভাবে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। পরে তাঁদের প্ররোচনায় তিনি আরও ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন।
অধিকাংশ টাকাই গাজী আনিস ঋণ হিসেবে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে ধার নিয়েছিলেন। বিনিয়োগ করার সময় পরস্পরের প্রতি সম্মান ও বিশ্বাসের কারণে তাঁদের মধ্যে কোনো চুক্তিনামা হয়নি। বিনিয়োগ-পরবর্তী চূড়ান্ত রেজিস্ট্রি চুক্তিপত্র সম্পাদনে গড়িমসি করতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রতি মাসে লভ্যাংশ প্রদানও বন্ধ করে দেন। কয়েকবার গাজী আনিসকে হেনস্তা-ভয়ভীতিও প্রদর্শন করা হয়।
ওই টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন গাজী আনিস। এ ছাড়া ওই টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য গত ২৯ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। গত ৩১ মে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে পাওনা টাকা আদায়সংক্রান্তে মামলা দায়েরের বিষয়টি পোস্ট করে বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে সহায়তা চান।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, গত ৪ জুলাই পাওনা টাকা পরিশোধের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিকেল গড়ালেও তাঁরা গাজী আনিসকে টাকা দেননি। এরপর শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
নিহত গাজী আনিস কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ঠিকাদারি ব্যবসার পাশাপাশি একটি টেলিকম কোম্পানিতে চাকরি করতেন। পরে চাকরি ছেড়ে কুষ্টিয়ায় গাড়ির ব্যবসা শুরু করেন। তিনি সাহিত্যচর্চা করতেন এবং তাঁর বেশ কয়েকটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে।
আসামি নুরুল আমিন ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় কাদের হোমিও হল নামের হোমিও হলে ১৫ বছর চাকরি করেন। ওই সময় তাঁর একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার কথা মাথায় এলে ১৯৯১ সালে হেনোলাক্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা শুরু করেন। পরে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি নামে নামকরণ করেন। ওই কোম্পানির অধীনে হেনোলাক্স কসমেটিকস্ যেমন—হেনোলাক্স কমপ্লেকশন ক্রিম, হেনোলাক্স স্পট ক্রিম, হেনোলাক্স মেছতা আউট ক্রিম ও হেনোলাক্স হেয়ার অয়েল এবং পোলট্রি ফার্মের ব্যবসা করেন।
পরে বাজারে হেনোলাক্সের চাহিদা কমে গেলে ২০০৯ সালে তিনি আমিন হারবাল নামে আরেকটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা শুরু করেন এবং ২০১৬ সালে হেনোলাক্সের ব্যবসাও বন্ধ করে দেন। তাঁদের কাকরাইলে একটি ফ্ল্যাট, পুরানা পল্টনে স্কাই ভিউ হেনোলাক্স সেন্টার নামে একটি ১০ তলা ভবন, পিংক সিটিতে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি, মেরাজনগর কদমতলীতে হেনোলাক্স নামে চারতলা ভবন এবং মোহাম্মদবাগ কদমতলী এলাকায় হেনোলাক্স ফ্যাক্টরি রয়েছে। বর্তমানে ওই ফ্যাক্টরিতে খান ফুড প্রোডাক্টস, বন্যা ফুড প্রোডাক্টস এবং জে কে এগ্রো ফুড নামে তিনটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাড়ায় তাদের উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে।
গ্রেপ্তার ফাতেমা আমিন একটি বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ থেকে ডিএইচএমএস সম্পন্ন করে তাঁর স্বামীর আমিন হোমিও হলে প্রথমে এক বছর হোমিও চিকিৎসা করেন। তিনি তাঁর স্বামীর প্রতিষ্ঠিত আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি তাঁর স্বামীর আমিন হারবাল কোম্পানি দেখাশোনা করেন।
গাজী আনিস ছাড়াও অন্য কেউ আসামিদের কাছ থেকে টাকা পান কি না, জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাইনি।’
পাওনা টাকা প্রকৃতপক্ষে কত, কেনই-বা পরিশোধ করা হচ্ছিল না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গাজী আনিসের সঙ্গে লেনদেনে টাকার পরিমাণ নিয়ে আসামিদের আপত্তি আছে। বিভিন্ন সময়ে চেকে ও নগদে ৭৬ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে গাজী আনিসের লভ্যাংশসহ ন্যায্য পাওনা ৩ কোটি টাকা। এটা নিয়েই মূলত তাঁদের মধ্যে একাধিকবার বাগ্বিতণ্ডাও হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
লক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৬ মিনিট আগেবগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪০ মিনিট আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই সাংবাদিককে জিম্মি করে বেধড়ক মারধরের পর মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে সড়কের পাশে তাঁদের ফেলে রেখে যায়।
১ ঘণ্টা আগে