সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরেছে, প্রফেশনাল আন্দোলনকারীরা রাজপথে রয়েছে: সাদ্দাম 

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৪, ২০: ২৪
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৪, ২১: ০৭

প্রফেশনাল আন্দোলনকারীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য রাজপথে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা শঙ্কার সঙ্গে লক্ষ করছি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি যৌক্তিক ইস্যুতে আন্দোলন করেছে, শান্তিপূর্ণ উপায় বেছে নিয়েছে এবং তারা ঘরে ফিরে গেছে। কিন্তু “প্রফেশনাল আন্দোলনকারীরা” ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য রাজপথে রয়েছে।’ 

আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যানটিনে সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুর ‘যৌক্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ সমাধানের লক্ষ্যে ‘পলিসি অ্যাডভোকেসি’ ও ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইন উদ্বোধনের সময় ‘মিট দ্য প্রেসে’ এ মন্তব্য করেন সাদ্দাম। 

সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, ‘আজকে তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, ব্লকেড-ব্লকেড খেলা খেলছে, সাধারণ মানুষ দুর্বিষহ যন্ত্রণায় পড়ছে। যারা দিনের পর দিন নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়, ছাত্রসমাজকে যারা গণমানুষের প্রতিপক্ষ বানাতে চায়, বাংলাদেশের নারী সমাজের অগ্রগতি ও উন্নতিকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।’ 

প্রশ্ন রেখে সাদ্দাম বলেন, ‘এটি একটি পলিসি ডিসকাশনের বিষয়। তাৎক্ষণিক যে সমাধানের প্রয়োজন ছিল, আদালতের নির্দেশের মাধ্যমে এই তাৎক্ষণিক সমাধান হয়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের কোথাও কোটা নেই। তাহলে তারা কি সরকারি চাকরিজীবী হতে চায়, না কি আন্দোলনজীবী হতে চায়?’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি যৌক্তিক-অন্তর্ভুক্তিমূলক-সাংবিধানিক ও যুগোপযোগী সুরাহা চাই। সে জন্য বিচার বিভাগীয় পর্যবেক্ষণের আলোকে নির্বাহী বিভাগ সময় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত নিয়ে, বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে, পার্বত্য চট্টগ্রাম-নারী, প্রতিবন্ধী গোষ্ঠী, আমাদের প্রান্তীয় জনগোষ্ঠী, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতামত সার্বিক বিষয়ের আলোকেই একটি নির্বাহী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’ 

সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে যারা আন্দোলন করেছে, যে কোরাম তারা গঠন করেছিল, আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে—আন্দোলনকারীদের একজনও বিসিএস প্রিলি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। আজ থেকে ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইন এবং পলিসি অ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করব। যৌক্তিক সংস্কারের অংশ হিসেবে কোটার আনুপাতিক হার কেমন হতে পারে তার জন্য আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করব। সেটির আলোকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথভাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত তুলে ধরব।’ 

 এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাবি ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত