রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কারণে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা

প্রতিনিধি, ঢাবি
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২১, ২৩: ৪৪
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২১, ১৩: ৪৯

রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কারণে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা উদ্‌যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ এ মন্তব্য করেছেন। আজ বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এক মানববন্ধন নেতারা এ বক্তব্য দেন। 

খুলনার রূপসার শিয়ালি সুনামগঞ্জের শাল্লা, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, কুমিল্লার মুরাদনগর, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, ঢাকার সাভারে অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্ৰ বৰ্মন অপহরণ ও হত্যাসহ দেশের নানাস্থানে সাম্প্রদায়িক উসকানি এবং ধর্মীয় প্রতিগত সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-উপাসনালয়ে অব্যাহত হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ভূমি জবরদখল প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে এ কথা বলেন সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ। 

আজ (বুধবার) বিকেল ৪টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগ থেকে রাজু ভাস্কর্য হয়ে টিএসসি গিয়ে শেষ হয়। 

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর এসব হামলার পেছনে আছে সাম্প্রদায়িক শক্তি। তারা এসব হামলার মাধ্যমে তাদের শক্তির জানান দিতে চায়। এটা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য হুমকি। 

নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, এসব হামলা রুখতে প্রশাসনের ব্যর্থতা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে। হামলা রুখতে সব অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে এক হতে হবে। 

বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে যায় কিন্তু তাঁর কোন বিচার করা হয় না। রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের ভূমিকার প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার না করার কারণে সেগুলো জিইয়ে রাখা হচ্ছে। 

বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, দেশের সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ওপর সাম্প্রতিক হামলা শুভ লক্ষণ নয়। হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রকেই মোকাবিলা করতে হবে। কারণ, তাঁরা রাষ্ট্রবিরোধী। 

এ ছাড়া সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলায় প্রধান অভিযুক্ত স্বাধীন মেম্বারসহ অন্যান্য আসামিরা জামিনে ছাড়া পেলেও নির্দোষ ঝুমন দাস আপন একাধিকবার আদালতে জামিনের আবেদন করলেও অদৃশ্য কারণে এখনো জামিন না পাওয়ায় নেতৃবৃন্দ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান নেতারা। 

এ মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রী কাজল দেবনাথ, শ্রী তে. এল ভৌমিক, শ্রী মণীন্দ্র কুমার নাথ, অ্যাড. তাপস কুমার পাল, অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অ্যাড কিশোর রঞ্জন মণ্ডল, শ্রী শুভাশীষ বিশ্বাস সাধন প্রমুখ। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত