নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির ফলে চা-শিল্পের ওপর চাপ বাড়বে বলে মনে করছে বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)। চায়ের ভরা মৌসুমে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকেরা তিন সপ্তাহ ধরে যে কর্মবিরতি পালন করেছে, এর ক্ষতি চলতি মৌসুমে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না বলও আশঙ্কা করছে সংগঠনটি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিএর চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, ‘এক কাপ চা থেকে গড়ে আমরা মাত্র ৪৫ পয়সা পাই। চা শিল্প অন্যান্য শিল্পের চেয়ে আলাদা। অন্যান্য শিল্পের সঙ্গে এর তুলনা করলে চলবে না। মজুরি বৃদ্ধির ফলে এই শিল্পের ওপর চাপ বাড়বে। তবে শিল্প টিকিয়ে রাখতে আমরা মজুরি বাড়াতে সম্মত হয়েছি।’
মজুরি বৃদ্ধির চাপ সামাল দিতে উৎপাদন বাড়াতে হবে বলে জানান শাহ আলম। এ জন্য সরকারের সহযোগিতা দরকার বলেও মনে করেন বিটিএ নেতারা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিটিএ সদস্য ওয়াহিদুল হক বলেন, ‘শ্রমিকদের আন্দোলনকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। শ্রমিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে ফিরে গেছে। কেউ তাদের জোর করেনি। বরং আমরা জিম্মি হয়েছিলাম।’
সংবাদ সম্মেলনে বিটিএ নেতারা জানান, শ্রমিকদের ২ টাকা কেজি মূল্যে চাল দেওয়া হয়। তাদের সন্তানরা বিনা মূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ পান। এ ছাড়া প্রত্যেক শ্রমিক বিনা মূল্যে গৃহায়ণ, স্বাস্থ্যসেবা, পশুপালন ও কৃষিকাজের সুযোগ পান। এ সবকিছু হিসেব করলে তাদের মজুরি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার কাছাকাছি দাঁড়ায় বলে জানান চা বাগান মালিকেরা।
বিটিএ সদস্য নাহিদ কবীর বলেন, ‘চা উৎপাদনের ভরা মৌসুমে টানা তিন সপ্তাহ আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে এটা মেকআপ হবে না। এটাকে পুষিয়ে আনতে সময় লাগবে। অর্থনৈতিকভাবেও আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। এ বছর চা আমদানিও করতে হতে পারে।’
বর্তমানে চা শিল্পের আকার ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। জিডিপির ১ শতাংশ চা শিল্পের অবদান। চা বাগান মালিকেরা জানান, বাগানের অর্ধেকের বেশি নারী শ্রমিক। সত্তরের দশকে চা বাগানে নারী-পুরুষ বেতন সমান যা আর কোনো শিল্পে নেই। ১৯৩৯ সাল থেকে নারী শ্রমিকেরা মাতৃত্বকালীন ছুটি পান।
বিটিএ সদস্য সালেক আহমেদ আবুল মাশরুর জানান, শ্রমিকদের ধর্মঘটের সময়টাতেও স্বাস্থ্যসেবা চালু ছিল। কখনই এই সেবা বন্ধ হয় না। ধর্মঘটের সময়ের মজুরি শ্রমিকেরা পাবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিটিএ নেতারা দাবি করেন—গত দশ বছরে চায়ের প্রতি কেজি নিলাম মূল্য বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ। অথচ এই একই সময়ে মজুরি বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। অন্যান্য খরচ বেড়েছে ৭৪ শতাংশ।
শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির ফলে চা-শিল্পের ওপর চাপ বাড়বে বলে মনে করছে বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)। চায়ের ভরা মৌসুমে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকেরা তিন সপ্তাহ ধরে যে কর্মবিরতি পালন করেছে, এর ক্ষতি চলতি মৌসুমে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না বলও আশঙ্কা করছে সংগঠনটি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিএর চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, ‘এক কাপ চা থেকে গড়ে আমরা মাত্র ৪৫ পয়সা পাই। চা শিল্প অন্যান্য শিল্পের চেয়ে আলাদা। অন্যান্য শিল্পের সঙ্গে এর তুলনা করলে চলবে না। মজুরি বৃদ্ধির ফলে এই শিল্পের ওপর চাপ বাড়বে। তবে শিল্প টিকিয়ে রাখতে আমরা মজুরি বাড়াতে সম্মত হয়েছি।’
মজুরি বৃদ্ধির চাপ সামাল দিতে উৎপাদন বাড়াতে হবে বলে জানান শাহ আলম। এ জন্য সরকারের সহযোগিতা দরকার বলেও মনে করেন বিটিএ নেতারা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিটিএ সদস্য ওয়াহিদুল হক বলেন, ‘শ্রমিকদের আন্দোলনকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। শ্রমিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে ফিরে গেছে। কেউ তাদের জোর করেনি। বরং আমরা জিম্মি হয়েছিলাম।’
সংবাদ সম্মেলনে বিটিএ নেতারা জানান, শ্রমিকদের ২ টাকা কেজি মূল্যে চাল দেওয়া হয়। তাদের সন্তানরা বিনা মূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ পান। এ ছাড়া প্রত্যেক শ্রমিক বিনা মূল্যে গৃহায়ণ, স্বাস্থ্যসেবা, পশুপালন ও কৃষিকাজের সুযোগ পান। এ সবকিছু হিসেব করলে তাদের মজুরি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার কাছাকাছি দাঁড়ায় বলে জানান চা বাগান মালিকেরা।
বিটিএ সদস্য নাহিদ কবীর বলেন, ‘চা উৎপাদনের ভরা মৌসুমে টানা তিন সপ্তাহ আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে এটা মেকআপ হবে না। এটাকে পুষিয়ে আনতে সময় লাগবে। অর্থনৈতিকভাবেও আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। এ বছর চা আমদানিও করতে হতে পারে।’
বর্তমানে চা শিল্পের আকার ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। জিডিপির ১ শতাংশ চা শিল্পের অবদান। চা বাগান মালিকেরা জানান, বাগানের অর্ধেকের বেশি নারী শ্রমিক। সত্তরের দশকে চা বাগানে নারী-পুরুষ বেতন সমান যা আর কোনো শিল্পে নেই। ১৯৩৯ সাল থেকে নারী শ্রমিকেরা মাতৃত্বকালীন ছুটি পান।
বিটিএ সদস্য সালেক আহমেদ আবুল মাশরুর জানান, শ্রমিকদের ধর্মঘটের সময়টাতেও স্বাস্থ্যসেবা চালু ছিল। কখনই এই সেবা বন্ধ হয় না। ধর্মঘটের সময়ের মজুরি শ্রমিকেরা পাবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিটিএ নেতারা দাবি করেন—গত দশ বছরে চায়ের প্রতি কেজি নিলাম মূল্য বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ। অথচ এই একই সময়ে মজুরি বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। অন্যান্য খরচ বেড়েছে ৭৪ শতাংশ।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
২ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৩ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে