নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে অন্যতম প্রধান ভূমিকায় ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তিনি আজীবন কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিপরীতে সাধারণ শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি মানুষের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসন অবসানে তার রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ আমাদের পথ দেখায়।
আজ রোববার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সেমিনারে হলে নিউক্লিয়াস ও বিএলএফের প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থার প্রভাব এবং আমাদের সচেতনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
যুব বাঙালি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুব বাঙালির সংগঠক মশিউর রহমান দীপু।
আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি আন্দোলনমুখী করে তোলার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সিরাজুল আলম খানের। একক প্রচেষ্টায় ছাত্রলীগকে মুক্তিযুদ্ধের আগেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। তিনি ছাত্রদের পাশাপাশি শ্রমিক এবং কৃষকদেরও সংগঠিত করেছিলেন।’
আওয়ামী লীগের হাতে দেশের স্বাধীনতা কখনো নিরাপদ নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর দেখলাম, যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধে গেলাম তা পূরণ হলো না। শুধু পাকিস্তানের নাম বদলে বাংলাদেশ আর মুসলিম লীগের নাম বদলে আওয়ামী লীগ হলো। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হলো না।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তি সৃষ্টি হয়েছিল সেই ঐক্যের সূত্র ধরে জাতীয় সরকার করতে চেয়েছিলেন সিরাজুল আলম খান। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা চায়নি। যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হতো তাহলে আওয়ামী লীগ কখনোই যুদ্ধের পর ক্ষমতায় আসতে পারত না। যুদ্ধকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা দেওয়ার জন্য।’
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘এখন অবসরপ্রাপ্ত আজিজ, অবসরপ্রাপ্ত বেনজির দেখতে পাচ্ছেন। এস কে সিনহা রানিং বিচারপতি ছিলেন। তিনি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে ফাউন্ডিং ফাদার নিয়ে বলেছিলেন। তাই তাকে দেশছাড়া করা হয়েছিল। সিরাজুল আলম খান বাংলাদেশের অন্যতম ফাউন্ডিং ফাদার।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘একাত্তরে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা–কর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল না। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। কিন্তু যুদ্ধের পর যারা যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না তাদের হাতেই প্রশাসনিক ক্ষমতা তুলে দেওয়া হলো। ঔপনিবেশিক শাসন, লুণ্ঠনের ব্যবস্থাকে বহাল রেখেই বাহাত্তরে একটা সংবিধান করা হলো। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচারের সংবিধান আমরা পাইনি।’
পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে তখনকার তরুণদের স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন ছিল না জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রথমে স্বায়ত্তশাসন এবং পরে স্বাধীনতার দাবিকে জোরদার করেছে এ দেশের তরুণেরা। ৫৭ সালে স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে আওয়ামী ভেঙে গেলেও ৬৬ তে আওয়ামী লীগকে আবারও স্বায়ত্তশাসনের দাবি নিয়েই রাজপথে নামতে হয়েছিল। এর পেছনে প্রধান প্রভাবক ছিলেন সিরাজুল আলম খান।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের মধ্যে যে প্রগতিশীল ধারা সেই ধারার উজ্জ্বলতম নক্ষত্র ছিলেন সিরাজুল আলম খান। অথচ তার মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের বিশেষ কেউ শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি। শোক-বিবৃতি দেওয়ার যে সাধারণ রাজনৈতিক সৌজন্য সেটাও আওয়ামী লীগ বোধ করে নাই। এর মধ্য দিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে এবং নিজেদের দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করেছে।’
যুব বাঙালির সভাপতি রায়হান তানভীরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, প্যালেস্টাইন প্রত্যাগত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু, যুব বাঙালির উপদেষ্টা কাজী তানসেন প্রমুখ।
বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে অন্যতম প্রধান ভূমিকায় ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তিনি আজীবন কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিপরীতে সাধারণ শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি মানুষের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসন অবসানে তার রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ আমাদের পথ দেখায়।
আজ রোববার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সেমিনারে হলে নিউক্লিয়াস ও বিএলএফের প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থার প্রভাব এবং আমাদের সচেতনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
যুব বাঙালি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুব বাঙালির সংগঠক মশিউর রহমান দীপু।
আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি আন্দোলনমুখী করে তোলার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সিরাজুল আলম খানের। একক প্রচেষ্টায় ছাত্রলীগকে মুক্তিযুদ্ধের আগেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। তিনি ছাত্রদের পাশাপাশি শ্রমিক এবং কৃষকদেরও সংগঠিত করেছিলেন।’
আওয়ামী লীগের হাতে দেশের স্বাধীনতা কখনো নিরাপদ নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর দেখলাম, যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধে গেলাম তা পূরণ হলো না। শুধু পাকিস্তানের নাম বদলে বাংলাদেশ আর মুসলিম লীগের নাম বদলে আওয়ামী লীগ হলো। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হলো না।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তি সৃষ্টি হয়েছিল সেই ঐক্যের সূত্র ধরে জাতীয় সরকার করতে চেয়েছিলেন সিরাজুল আলম খান। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা চায়নি। যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হতো তাহলে আওয়ামী লীগ কখনোই যুদ্ধের পর ক্ষমতায় আসতে পারত না। যুদ্ধকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা দেওয়ার জন্য।’
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘এখন অবসরপ্রাপ্ত আজিজ, অবসরপ্রাপ্ত বেনজির দেখতে পাচ্ছেন। এস কে সিনহা রানিং বিচারপতি ছিলেন। তিনি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে ফাউন্ডিং ফাদার নিয়ে বলেছিলেন। তাই তাকে দেশছাড়া করা হয়েছিল। সিরাজুল আলম খান বাংলাদেশের অন্যতম ফাউন্ডিং ফাদার।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘একাত্তরে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা–কর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল না। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। কিন্তু যুদ্ধের পর যারা যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না তাদের হাতেই প্রশাসনিক ক্ষমতা তুলে দেওয়া হলো। ঔপনিবেশিক শাসন, লুণ্ঠনের ব্যবস্থাকে বহাল রেখেই বাহাত্তরে একটা সংবিধান করা হলো। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচারের সংবিধান আমরা পাইনি।’
পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে তখনকার তরুণদের স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন ছিল না জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রথমে স্বায়ত্তশাসন এবং পরে স্বাধীনতার দাবিকে জোরদার করেছে এ দেশের তরুণেরা। ৫৭ সালে স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে আওয়ামী ভেঙে গেলেও ৬৬ তে আওয়ামী লীগকে আবারও স্বায়ত্তশাসনের দাবি নিয়েই রাজপথে নামতে হয়েছিল। এর পেছনে প্রধান প্রভাবক ছিলেন সিরাজুল আলম খান।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের মধ্যে যে প্রগতিশীল ধারা সেই ধারার উজ্জ্বলতম নক্ষত্র ছিলেন সিরাজুল আলম খান। অথচ তার মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের বিশেষ কেউ শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি। শোক-বিবৃতি দেওয়ার যে সাধারণ রাজনৈতিক সৌজন্য সেটাও আওয়ামী লীগ বোধ করে নাই। এর মধ্য দিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে এবং নিজেদের দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করেছে।’
যুব বাঙালির সভাপতি রায়হান তানভীরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, প্যালেস্টাইন প্রত্যাগত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু, যুব বাঙালির উপদেষ্টা কাজী তানসেন প্রমুখ।
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে এক যুবক দৌড়ে গিয়ে কিল-ঘুষি মারেন। তা ছাড়া এ সময় তাঁকে ডিম ছুড়ে মারে ছাত্র-জনতা। তাঁকে হাতকড়া না পরানোয় ক্ষোভ দেখিয়ে পুলিশের গাড়ি আটকে দেন উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দো
২০ মিনিট আগেমাদারীপুরের কালকিনিতে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা পৌর বাস টার্মিনাল চালু হয়নি পাঁচ বছরেও। ফলে সন্ধ্যা হলে সেখানে বসে মাদকসেবী আর বখাটেদের আড্ডা। অন্যদিকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। তাঁদের ব্যস্ততম ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ওপর গাড়ি থামিয়ে ওঠানামা করতে হচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতিহত করতে সোচ্চার ছিলেন ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলের নেতারাও। তবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) গত চার মাসে এ ধরনের কোনো তৎপরতা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে ববিতে মামলা, হামলা, মারধরের শিকার..
৮ ঘণ্টা আগেফলজাতীয় পণ্যের ওপর আরোপ করা অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক আগামী চার দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন যশোরের ব্যবসায়ীরা। দাবি পূরণ না হলে তাঁরা বিদেশ থেকে ফল আমদানি বন্ধ করে দেবেন।
৮ ঘণ্টা আগে