নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে অন্যতম প্রধান ভূমিকায় ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তিনি আজীবন কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিপরীতে সাধারণ শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি মানুষের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসন অবসানে তার রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ আমাদের পথ দেখায়।
আজ রোববার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সেমিনারে হলে নিউক্লিয়াস ও বিএলএফের প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থার প্রভাব এবং আমাদের সচেতনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
যুব বাঙালি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুব বাঙালির সংগঠক মশিউর রহমান দীপু।
আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি আন্দোলনমুখী করে তোলার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সিরাজুল আলম খানের। একক প্রচেষ্টায় ছাত্রলীগকে মুক্তিযুদ্ধের আগেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। তিনি ছাত্রদের পাশাপাশি শ্রমিক এবং কৃষকদেরও সংগঠিত করেছিলেন।’
আওয়ামী লীগের হাতে দেশের স্বাধীনতা কখনো নিরাপদ নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর দেখলাম, যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধে গেলাম তা পূরণ হলো না। শুধু পাকিস্তানের নাম বদলে বাংলাদেশ আর মুসলিম লীগের নাম বদলে আওয়ামী লীগ হলো। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হলো না।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তি সৃষ্টি হয়েছিল সেই ঐক্যের সূত্র ধরে জাতীয় সরকার করতে চেয়েছিলেন সিরাজুল আলম খান। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা চায়নি। যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হতো তাহলে আওয়ামী লীগ কখনোই যুদ্ধের পর ক্ষমতায় আসতে পারত না। যুদ্ধকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা দেওয়ার জন্য।’
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘এখন অবসরপ্রাপ্ত আজিজ, অবসরপ্রাপ্ত বেনজির দেখতে পাচ্ছেন। এস কে সিনহা রানিং বিচারপতি ছিলেন। তিনি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে ফাউন্ডিং ফাদার নিয়ে বলেছিলেন। তাই তাকে দেশছাড়া করা হয়েছিল। সিরাজুল আলম খান বাংলাদেশের অন্যতম ফাউন্ডিং ফাদার।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘একাত্তরে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা–কর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল না। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। কিন্তু যুদ্ধের পর যারা যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না তাদের হাতেই প্রশাসনিক ক্ষমতা তুলে দেওয়া হলো। ঔপনিবেশিক শাসন, লুণ্ঠনের ব্যবস্থাকে বহাল রেখেই বাহাত্তরে একটা সংবিধান করা হলো। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচারের সংবিধান আমরা পাইনি।’
পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে তখনকার তরুণদের স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন ছিল না জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রথমে স্বায়ত্তশাসন এবং পরে স্বাধীনতার দাবিকে জোরদার করেছে এ দেশের তরুণেরা। ৫৭ সালে স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে আওয়ামী ভেঙে গেলেও ৬৬ তে আওয়ামী লীগকে আবারও স্বায়ত্তশাসনের দাবি নিয়েই রাজপথে নামতে হয়েছিল। এর পেছনে প্রধান প্রভাবক ছিলেন সিরাজুল আলম খান।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের মধ্যে যে প্রগতিশীল ধারা সেই ধারার উজ্জ্বলতম নক্ষত্র ছিলেন সিরাজুল আলম খান। অথচ তার মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের বিশেষ কেউ শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি। শোক-বিবৃতি দেওয়ার যে সাধারণ রাজনৈতিক সৌজন্য সেটাও আওয়ামী লীগ বোধ করে নাই। এর মধ্য দিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে এবং নিজেদের দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করেছে।’
যুব বাঙালির সভাপতি রায়হান তানভীরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, প্যালেস্টাইন প্রত্যাগত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু, যুব বাঙালির উপদেষ্টা কাজী তানসেন প্রমুখ।

বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে অন্যতম প্রধান ভূমিকায় ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তিনি আজীবন কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিপরীতে সাধারণ শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি মানুষের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসন অবসানে তার রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ আমাদের পথ দেখায়।
আজ রোববার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সেমিনারে হলে নিউক্লিয়াস ও বিএলএফের প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থার প্রভাব এবং আমাদের সচেতনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
যুব বাঙালি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুব বাঙালির সংগঠক মশিউর রহমান দীপু।
আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি আন্দোলনমুখী করে তোলার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সিরাজুল আলম খানের। একক প্রচেষ্টায় ছাত্রলীগকে মুক্তিযুদ্ধের আগেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। তিনি ছাত্রদের পাশাপাশি শ্রমিক এবং কৃষকদেরও সংগঠিত করেছিলেন।’
আওয়ামী লীগের হাতে দেশের স্বাধীনতা কখনো নিরাপদ নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর দেখলাম, যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধে গেলাম তা পূরণ হলো না। শুধু পাকিস্তানের নাম বদলে বাংলাদেশ আর মুসলিম লীগের নাম বদলে আওয়ামী লীগ হলো। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হলো না।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তি সৃষ্টি হয়েছিল সেই ঐক্যের সূত্র ধরে জাতীয় সরকার করতে চেয়েছিলেন সিরাজুল আলম খান। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা চায়নি। যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হতো তাহলে আওয়ামী লীগ কখনোই যুদ্ধের পর ক্ষমতায় আসতে পারত না। যুদ্ধকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা দেওয়ার জন্য।’
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘এখন অবসরপ্রাপ্ত আজিজ, অবসরপ্রাপ্ত বেনজির দেখতে পাচ্ছেন। এস কে সিনহা রানিং বিচারপতি ছিলেন। তিনি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে ফাউন্ডিং ফাদার নিয়ে বলেছিলেন। তাই তাকে দেশছাড়া করা হয়েছিল। সিরাজুল আলম খান বাংলাদেশের অন্যতম ফাউন্ডিং ফাদার।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘একাত্তরে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা–কর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল না। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। কিন্তু যুদ্ধের পর যারা যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না তাদের হাতেই প্রশাসনিক ক্ষমতা তুলে দেওয়া হলো। ঔপনিবেশিক শাসন, লুণ্ঠনের ব্যবস্থাকে বহাল রেখেই বাহাত্তরে একটা সংবিধান করা হলো। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচারের সংবিধান আমরা পাইনি।’
পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে তখনকার তরুণদের স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন ছিল না জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রথমে স্বায়ত্তশাসন এবং পরে স্বাধীনতার দাবিকে জোরদার করেছে এ দেশের তরুণেরা। ৫৭ সালে স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে আওয়ামী ভেঙে গেলেও ৬৬ তে আওয়ামী লীগকে আবারও স্বায়ত্তশাসনের দাবি নিয়েই রাজপথে নামতে হয়েছিল। এর পেছনে প্রধান প্রভাবক ছিলেন সিরাজুল আলম খান।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের মধ্যে যে প্রগতিশীল ধারা সেই ধারার উজ্জ্বলতম নক্ষত্র ছিলেন সিরাজুল আলম খান। অথচ তার মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের বিশেষ কেউ শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি। শোক-বিবৃতি দেওয়ার যে সাধারণ রাজনৈতিক সৌজন্য সেটাও আওয়ামী লীগ বোধ করে নাই। এর মধ্য দিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে এবং নিজেদের দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করেছে।’
যুব বাঙালির সভাপতি রায়হান তানভীরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, প্যালেস্টাইন প্রত্যাগত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু, যুব বাঙালির উপদেষ্টা কাজী তানসেন প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে অন্যতম প্রধান ভূমিকায় ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তিনি আজীবন কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিপরীতে সাধারণ শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি মানুষের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসন অবসানে তার রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ আমাদের পথ দেখায়।
আজ রোববার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সেমিনারে হলে নিউক্লিয়াস ও বিএলএফের প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থার প্রভাব এবং আমাদের সচেতনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
যুব বাঙালি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুব বাঙালির সংগঠক মশিউর রহমান দীপু।
আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি আন্দোলনমুখী করে তোলার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সিরাজুল আলম খানের। একক প্রচেষ্টায় ছাত্রলীগকে মুক্তিযুদ্ধের আগেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। তিনি ছাত্রদের পাশাপাশি শ্রমিক এবং কৃষকদেরও সংগঠিত করেছিলেন।’
আওয়ামী লীগের হাতে দেশের স্বাধীনতা কখনো নিরাপদ নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর দেখলাম, যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধে গেলাম তা পূরণ হলো না। শুধু পাকিস্তানের নাম বদলে বাংলাদেশ আর মুসলিম লীগের নাম বদলে আওয়ামী লীগ হলো। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হলো না।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তি সৃষ্টি হয়েছিল সেই ঐক্যের সূত্র ধরে জাতীয় সরকার করতে চেয়েছিলেন সিরাজুল আলম খান। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা চায়নি। যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হতো তাহলে আওয়ামী লীগ কখনোই যুদ্ধের পর ক্ষমতায় আসতে পারত না। যুদ্ধকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা দেওয়ার জন্য।’
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘এখন অবসরপ্রাপ্ত আজিজ, অবসরপ্রাপ্ত বেনজির দেখতে পাচ্ছেন। এস কে সিনহা রানিং বিচারপতি ছিলেন। তিনি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে ফাউন্ডিং ফাদার নিয়ে বলেছিলেন। তাই তাকে দেশছাড়া করা হয়েছিল। সিরাজুল আলম খান বাংলাদেশের অন্যতম ফাউন্ডিং ফাদার।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘একাত্তরে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা–কর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল না। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। কিন্তু যুদ্ধের পর যারা যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না তাদের হাতেই প্রশাসনিক ক্ষমতা তুলে দেওয়া হলো। ঔপনিবেশিক শাসন, লুণ্ঠনের ব্যবস্থাকে বহাল রেখেই বাহাত্তরে একটা সংবিধান করা হলো। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচারের সংবিধান আমরা পাইনি।’
পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে তখনকার তরুণদের স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন ছিল না জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রথমে স্বায়ত্তশাসন এবং পরে স্বাধীনতার দাবিকে জোরদার করেছে এ দেশের তরুণেরা। ৫৭ সালে স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে আওয়ামী ভেঙে গেলেও ৬৬ তে আওয়ামী লীগকে আবারও স্বায়ত্তশাসনের দাবি নিয়েই রাজপথে নামতে হয়েছিল। এর পেছনে প্রধান প্রভাবক ছিলেন সিরাজুল আলম খান।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের মধ্যে যে প্রগতিশীল ধারা সেই ধারার উজ্জ্বলতম নক্ষত্র ছিলেন সিরাজুল আলম খান। অথচ তার মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের বিশেষ কেউ শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি। শোক-বিবৃতি দেওয়ার যে সাধারণ রাজনৈতিক সৌজন্য সেটাও আওয়ামী লীগ বোধ করে নাই। এর মধ্য দিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে এবং নিজেদের দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করেছে।’
যুব বাঙালির সভাপতি রায়হান তানভীরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, প্যালেস্টাইন প্রত্যাগত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু, যুব বাঙালির উপদেষ্টা কাজী তানসেন প্রমুখ।

বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে অন্যতম প্রধান ভূমিকায় ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তিনি আজীবন কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিপরীতে সাধারণ শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি মানুষের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসন অবসানে তার রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ আমাদের পথ দেখায়।
আজ রোববার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সেমিনারে হলে নিউক্লিয়াস ও বিএলএফের প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থার প্রভাব এবং আমাদের সচেতনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
যুব বাঙালি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুব বাঙালির সংগঠক মশিউর রহমান দীপু।
আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি আন্দোলনমুখী করে তোলার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সিরাজুল আলম খানের। একক প্রচেষ্টায় ছাত্রলীগকে মুক্তিযুদ্ধের আগেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। তিনি ছাত্রদের পাশাপাশি শ্রমিক এবং কৃষকদেরও সংগঠিত করেছিলেন।’
আওয়ামী লীগের হাতে দেশের স্বাধীনতা কখনো নিরাপদ নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর দেখলাম, যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধে গেলাম তা পূরণ হলো না। শুধু পাকিস্তানের নাম বদলে বাংলাদেশ আর মুসলিম লীগের নাম বদলে আওয়ামী লীগ হলো। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হলো না।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তি সৃষ্টি হয়েছিল সেই ঐক্যের সূত্র ধরে জাতীয় সরকার করতে চেয়েছিলেন সিরাজুল আলম খান। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা চায়নি। যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হতো তাহলে আওয়ামী লীগ কখনোই যুদ্ধের পর ক্ষমতায় আসতে পারত না। যুদ্ধকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা দেওয়ার জন্য।’
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘এখন অবসরপ্রাপ্ত আজিজ, অবসরপ্রাপ্ত বেনজির দেখতে পাচ্ছেন। এস কে সিনহা রানিং বিচারপতি ছিলেন। তিনি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে ফাউন্ডিং ফাদার নিয়ে বলেছিলেন। তাই তাকে দেশছাড়া করা হয়েছিল। সিরাজুল আলম খান বাংলাদেশের অন্যতম ফাউন্ডিং ফাদার।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘একাত্তরে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা–কর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল না। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। কিন্তু যুদ্ধের পর যারা যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না তাদের হাতেই প্রশাসনিক ক্ষমতা তুলে দেওয়া হলো। ঔপনিবেশিক শাসন, লুণ্ঠনের ব্যবস্থাকে বহাল রেখেই বাহাত্তরে একটা সংবিধান করা হলো। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচারের সংবিধান আমরা পাইনি।’
পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে তখনকার তরুণদের স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন ছিল না জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রথমে স্বায়ত্তশাসন এবং পরে স্বাধীনতার দাবিকে জোরদার করেছে এ দেশের তরুণেরা। ৫৭ সালে স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে আওয়ামী ভেঙে গেলেও ৬৬ তে আওয়ামী লীগকে আবারও স্বায়ত্তশাসনের দাবি নিয়েই রাজপথে নামতে হয়েছিল। এর পেছনে প্রধান প্রভাবক ছিলেন সিরাজুল আলম খান।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের মধ্যে যে প্রগতিশীল ধারা সেই ধারার উজ্জ্বলতম নক্ষত্র ছিলেন সিরাজুল আলম খান। অথচ তার মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের বিশেষ কেউ শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি। শোক-বিবৃতি দেওয়ার যে সাধারণ রাজনৈতিক সৌজন্য সেটাও আওয়ামী লীগ বোধ করে নাই। এর মধ্য দিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে এবং নিজেদের দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করেছে।’
যুব বাঙালির সভাপতি রায়হান তানভীরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, প্যালেস্টাইন প্রত্যাগত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু, যুব বাঙালির উপদেষ্টা কাজী তানসেন প্রমুখ।

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৭ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে অন্যতম প্রধান ভূমিকায় ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তিনি আজীবন কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিপরীতে সাধারণ শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি মানুষের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসন অবসানে তার রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ আমা
০৯ জুন ২০২৪
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে অন্যতম প্রধান ভূমিকায় ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তিনি আজীবন কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিপরীতে সাধারণ শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি মানুষের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসন অবসানে তার রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ আমা
০৯ জুন ২০২৪
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৭ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহ আলম উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা শাহ আলমের বাসার বেলকনিতে একটি হত্যার হুমকি দেওয়া চিরকুট রেখে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাহ আলম ও তাঁর পরিবার।
শাহ আলম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসার বেলকনিতে একটি চিরকুট দেখতে পায়। সেই চিরকুটে ইংরেজিতে লাল রং দিয়ে “আই কিল ইউ” লেখা ছিল। আমি তখন বন্ধুদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ইজতেমায় যাচ্ছিলাম। নাগেশ্বরীতে পৌঁছলে আমার স্ত্রী চিরকুটটির বিষয়ে জানায়। তখন ইজতেমায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পরে রাতেই থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিরকুটের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহ আলম উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা শাহ আলমের বাসার বেলকনিতে একটি হত্যার হুমকি দেওয়া চিরকুট রেখে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাহ আলম ও তাঁর পরিবার।
শাহ আলম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসার বেলকনিতে একটি চিরকুট দেখতে পায়। সেই চিরকুটে ইংরেজিতে লাল রং দিয়ে “আই কিল ইউ” লেখা ছিল। আমি তখন বন্ধুদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ইজতেমায় যাচ্ছিলাম। নাগেশ্বরীতে পৌঁছলে আমার স্ত্রী চিরকুটটির বিষয়ে জানায়। তখন ইজতেমায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পরে রাতেই থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিরকুটের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে অন্যতম প্রধান ভূমিকায় ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তিনি আজীবন কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিপরীতে সাধারণ শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি মানুষের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসন অবসানে তার রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ আমা
০৯ জুন ২০২৪
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৭ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে অন্যতম প্রধান ভূমিকায় ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তিনি আজীবন কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিপরীতে সাধারণ শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি মানুষের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসন অবসানে তার রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ আমা
০৯ জুন ২০২৪
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৭ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে