‘কর্মচারীদের ঝগড়ায় ছাত্ররা কেন আসবে? তাদের আত্মসম্মানবোধ থাকা উচিত’

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২২, ১৭: ৪২
Thumbnail image

‘দোকানের কর্মচারীদের ঝগড়ায় ছাত্ররা কেন আসবে? তাদের আত্মসম্মানবোধ থাকা উচিত। তারা তো পুলিশ না; সাংবাদিক না; গোয়েন্দা সংস্থার কেউ না; ছাত্ররা পড়াশোনা করবে। জাতীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’ 

আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে এমনটিই বলেছেন নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিষয়ে ঝামেলা হলে তা দেখার জন্য ব্যবসায়ী সমিতি রয়েছে। ছাত্ররা কেন আসবে তা আমার বুঝে আসে না।’ 

ক্রেতাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ মনিটরিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিজ নিজ মার্কেটে মনিটরিং চলছে। ক্রেতাদের কোনো অভিযোগ থাকলে ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে গিয়ে জানালে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাসের বিষয়ে জানতে চাইলে দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন বলেন, ‘আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার খাতিরে ক্ষতিপূরণের যে আশ্বাস দিয়েছি, তা চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু করেছি।’ 

এদিকে দুপুরে নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুরোদমে চলছে বেচাবিক্রি। মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ভিড় দেখে মনে হয় না কয়েক দিন আগেও এই এলাকা রণক্ষেত্র ছিল। তবে ঢাকা কলেজের অবস্থা পুরোটাই ভিন্ন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। 

ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বড় ভাইয়েরা আমাদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।’ 

ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফুয়াদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের যে তিনজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত ছিল, তাদের দায়িত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়েছেন। বাকিদের চিকিৎসার ব্যাপারে ব্যবসায়ী সমিতির কাছে যে দাবি ছিল, তা তারা ইতিমধ্যে পূরণ করতে শুরু করেছে। তবে হতাহতের সময় আমরা তাৎক্ষণিক অনেকের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।’ 

‘দোকানের কর্মচারীদের ঝগড়ায় ছাত্ররা কেন আসবে? তাদের আত্মসম্মানবোধ থাকা উচিত’—ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘ব্যবসানগরী আর শিক্ষানগরী পাশাপাশি রয়েছে, সে হিসেবে সম্পর্কের খাতিরে একজন আরেকজনের বিপদাপদে আসাটা অস্বাভাবিক নয়।’ 

‘পুলিশের মামলায় যেন কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হয়, এর জন্য কলেজ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে’—শিক্ষার্থীদের এই দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেন বলেন, ‘আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তবে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি।’ 

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স. ম কাইয়ুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়।’ 

ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ক্ষেত্রে দোষটা কার জানতে চাইলে স. ম কাইয়ুম বলেন, ‘এ বিষয়টিও তদন্তের মাধ্যমে বলতে পারব। তদন্তের কাজ চলছে। তদন্ত শেষ হলে আমরা সবকিছু স্পষ্ট বলতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত