শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম নৌরুট মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া। গত ৩মে এই নৌরুটে স্পিডবোটে একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর সব বোট চলাচল বন্ধ রাখে প্রশাসন। অবৈধ নৌযানের নিবন্ধন, সার্ভে সনদ প্রাপ্তি, চালকদের পরীক্ষার মাধ্যমে সনদ গ্রহণ, মাদকাসক্ত চালকদের চাকুরিচ্যুতসহ নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর গত ৫ অক্টোবর থেকে নৌরুটে চলাচলের অনুমতি পায় স্পিডবোট।
নৌরুটে শুধু রেজিস্ট্রেশন ও সার্ভে সনদ পাওয়া স্পিডবোটগুলোই বর্তমানে চলছে। একই সঙ্গে স্পিডবোট ঘাটের সব ভোগান্তি ও বিশৃঙ্খলা দূর হয়ে বর্তমানে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে এবং এই শৃঙ্খলা যাতে সব সময় থাকে, সেদিকে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি প্রত্যাশা যাত্রীদের।
সরেজমিন শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাবাজার, মাঝিকান্দি ও শিমুলিয়া ঘাটে ১০১টি স্পিডবোট চলাচলের অনুমতি রয়েছে। এর মধ্যে শুধু বাংলাবাজার ঘাটের রেজিস্ট্রেশন ও সার্ভে সনদপ্রাপ্ত স্পিডবোট রয়েছে ৪৫টি। ঘাটে এসে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে স্পিডবোটে উঠতে দেখা গেছে। প্রতিটি বোটে সর্বোচ্চ ১২ জন যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হচ্ছে। ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় না থাকলেও বোটের সংখ্যা কম থাকায় অনেক সময় যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে পন্টুনে।
স্পিডবোট ঘাটের সুপারভাইজার মো. দাদন মিয়া বলেন, 'এই নৌরুটে গত ৩মে থেকে টানা ১৫৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৫ অক্টোবর থেকে স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়। তবে শুধু রেজিস্ট্রেশন ও সার্ভে সনদ এবং যেসব চালকের সনদ রয়েছে, তাঁরাই বোট চালাতে পারছেন। এ ছাড়া সরকারি নিয়মানুযায়ী বর্তমানে প্রতিটি স্পিডবোটে মাত্র ১২ জন করে যাত্রী পার করা হচ্ছে। ঘাটে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে পারাপার হচ্ছে।'
স্পিডবোট ঘাটসংশ্লিষ্টরা জানান, নৌরুটে ছোট ও বড় সব স্পিডবোটেই ১২ জন করে যাত্রী পার করা হচ্ছে। তবে ২০০ সিসি স্পিডবোটে ১২ জন করে যাত্রী পার করা হলে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। ২০০ সিসির বোটে যাত্রী ধারণক্ষমতা রয়েছে ২৮ থেকে ৩০ জন। এতে করে বোট মালিকেরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে চালক ও সংশ্লিষ্টরা জানান।
যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করলে তাঁরা জানান, 'কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে নতুন করে স্পিডবোট চলাচল শুরু করার পর ঘাটে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আগে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার নিয়মে পরিণত করেছিলেন চালকেরা। ছিল চালকদের দৌরাত্ম্য, খামখেয়ালিপনাও। তবে বর্তমানে স্পিডবোটে পার হতে কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না। প্রতিটি বোটে গুনে গুনে ১০ থেকে ১২ জন করে যাত্রী ওঠাচ্ছেন। চালকদের মধ্যেও কোনো উদ্ধত আচরণ নেই। ভাড়া আগের মতো ১৫০ টাকাই নিচ্ছে। বেশ পরিবর্তন এসেছে স্পিডবোট ঘাটে।'
মাদারীপুরের কালকিনিগামী যাত্রী নাদিম মাহমুদ বলেন, 'আগের নৈরাজ্য এখন স্পিডবোট ঘাটে নেই। সিরিয়াল অনুযায়ী নির্বিঘ্নেই বোটে উঠে বাংলাবাজার ঘাটে এসেছি। মানে, শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে স্পিডবোট ঘাটে।'
স্পিডবোট ঘাট মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, বর্তমানে নৌরুটে নিবন্ধিত বোটগুলোই চলছে। সরকারি নিয়ম মেনে সকাল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত বোট চলাচল করছে। চালকও সনদপ্রাপ্ত।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান জানান, 'বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে চালু হয়েছে স্পিডবোট। বোট চলাচলের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা শতভাগ মানতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ধ্যার পরে কোনো বোট নৌরুটে চলতে পারবে না। প্রশাসনের সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকছে ঘাটে।'
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম নৌরুট মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া। গত ৩মে এই নৌরুটে স্পিডবোটে একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর সব বোট চলাচল বন্ধ রাখে প্রশাসন। অবৈধ নৌযানের নিবন্ধন, সার্ভে সনদ প্রাপ্তি, চালকদের পরীক্ষার মাধ্যমে সনদ গ্রহণ, মাদকাসক্ত চালকদের চাকুরিচ্যুতসহ নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর গত ৫ অক্টোবর থেকে নৌরুটে চলাচলের অনুমতি পায় স্পিডবোট।
নৌরুটে শুধু রেজিস্ট্রেশন ও সার্ভে সনদ পাওয়া স্পিডবোটগুলোই বর্তমানে চলছে। একই সঙ্গে স্পিডবোট ঘাটের সব ভোগান্তি ও বিশৃঙ্খলা দূর হয়ে বর্তমানে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে এবং এই শৃঙ্খলা যাতে সব সময় থাকে, সেদিকে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি প্রত্যাশা যাত্রীদের।
সরেজমিন শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাবাজার, মাঝিকান্দি ও শিমুলিয়া ঘাটে ১০১টি স্পিডবোট চলাচলের অনুমতি রয়েছে। এর মধ্যে শুধু বাংলাবাজার ঘাটের রেজিস্ট্রেশন ও সার্ভে সনদপ্রাপ্ত স্পিডবোট রয়েছে ৪৫টি। ঘাটে এসে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে স্পিডবোটে উঠতে দেখা গেছে। প্রতিটি বোটে সর্বোচ্চ ১২ জন যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হচ্ছে। ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় না থাকলেও বোটের সংখ্যা কম থাকায় অনেক সময় যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে পন্টুনে।
স্পিডবোট ঘাটের সুপারভাইজার মো. দাদন মিয়া বলেন, 'এই নৌরুটে গত ৩মে থেকে টানা ১৫৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৫ অক্টোবর থেকে স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়। তবে শুধু রেজিস্ট্রেশন ও সার্ভে সনদ এবং যেসব চালকের সনদ রয়েছে, তাঁরাই বোট চালাতে পারছেন। এ ছাড়া সরকারি নিয়মানুযায়ী বর্তমানে প্রতিটি স্পিডবোটে মাত্র ১২ জন করে যাত্রী পার করা হচ্ছে। ঘাটে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে পারাপার হচ্ছে।'
স্পিডবোট ঘাটসংশ্লিষ্টরা জানান, নৌরুটে ছোট ও বড় সব স্পিডবোটেই ১২ জন করে যাত্রী পার করা হচ্ছে। তবে ২০০ সিসি স্পিডবোটে ১২ জন করে যাত্রী পার করা হলে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। ২০০ সিসির বোটে যাত্রী ধারণক্ষমতা রয়েছে ২৮ থেকে ৩০ জন। এতে করে বোট মালিকেরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে চালক ও সংশ্লিষ্টরা জানান।
যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করলে তাঁরা জানান, 'কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে নতুন করে স্পিডবোট চলাচল শুরু করার পর ঘাটে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আগে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার নিয়মে পরিণত করেছিলেন চালকেরা। ছিল চালকদের দৌরাত্ম্য, খামখেয়ালিপনাও। তবে বর্তমানে স্পিডবোটে পার হতে কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না। প্রতিটি বোটে গুনে গুনে ১০ থেকে ১২ জন করে যাত্রী ওঠাচ্ছেন। চালকদের মধ্যেও কোনো উদ্ধত আচরণ নেই। ভাড়া আগের মতো ১৫০ টাকাই নিচ্ছে। বেশ পরিবর্তন এসেছে স্পিডবোট ঘাটে।'
মাদারীপুরের কালকিনিগামী যাত্রী নাদিম মাহমুদ বলেন, 'আগের নৈরাজ্য এখন স্পিডবোট ঘাটে নেই। সিরিয়াল অনুযায়ী নির্বিঘ্নেই বোটে উঠে বাংলাবাজার ঘাটে এসেছি। মানে, শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে স্পিডবোট ঘাটে।'
স্পিডবোট ঘাট মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, বর্তমানে নৌরুটে নিবন্ধিত বোটগুলোই চলছে। সরকারি নিয়ম মেনে সকাল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত বোট চলাচল করছে। চালকও সনদপ্রাপ্ত।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান জানান, 'বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে চালু হয়েছে স্পিডবোট। বোট চলাচলের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা শতভাগ মানতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ধ্যার পরে কোনো বোট নৌরুটে চলতে পারবে না। প্রশাসনের সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকছে ঘাটে।'
সিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
৫ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরে আত্মীয়ের বাসা থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর মনছুরাবাদ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডাবলমুরিং থানা-পুলিশ।
৯ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জে সাবেক জেলা প্রশাসক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে ছোট ভাইকে পারিবারিক বাসাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার শহরের গৌরাঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলেন ছোট ভাই আ. করিম মোল্লা।
২১ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে কৃষক স্বপন মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. বিল্লাল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার ভোরে রাজধানীর হাজী ক্যাম্প রোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২২ মিনিট আগে