পলাতক পুলিশ সদস্যদের ধরতে তথ্য সহযোগিতা চান ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৬: ৩৩

পলাতক পুলিশ সদস্যদের ধরতে জনগণের সহযোগিতা চাইলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। তিনি বলেন, ‘পুলিশের অনেকে আত্মগোপনে আছেন। আমরা চাই সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আমাদেরকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করবে, এসব পলাতক ব্যক্তিরা কোথায় আছে। তাদের খুঁজে পেতে আমরা চেষ্টা করছি, আপনারাও সহযোগিতা করুন। আমাদেরকে গোয়েন্দা তথ্য আপনারা দেবেন।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ডিএমপির নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশের যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাদেরকে আমরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’

পুলিশ কর্মকর্তারা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ গোপন পথে পালিয়ে যেতে পারে। হতে পারে এমন ঘটনা।’

কমিশনার বলেন, ‘পুলিশের খুব খারাপ অবস্থা থেকে আমরা আজকের এই পর্যায়ে উঠে এসেছি। আমরা নিয়মিত চেষ্টা করছি, মনোবল বৃদ্ধি করার জন্য। এ ক্ষেত্রে আমরা আমাদের জনগণের সহযোগিতা চাই। এতে করে পুলিশের যারা অপরাধে যুক্ত হয়েছেন এবং অন্যান্য যারা অপরাধী আছে, তাদেরকে যেন আমরা আইনের আওতায় আনতে পারি।’

পুলিশ সদস্যদের মনোবল ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আগস্টের ৫-৬ তারিখের সময় পুলিশের কার্যক্রম দেখেন, অনুরূপ আজ (৮ অক্টোবর) পুলিশের কার্যক্রম দেখলে আপনারাই বুঝতে পারবেন পুলিশ কতটুকু মনোবল ফিরে পেয়েছে। যারা কর্মবিরতি দিয়েছিল তারাও পুরোদমে কাজে ফিরে আসছে। পূজার অনুষ্ঠানে দৃঢ় মনোবল নিয়ে পূজার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশের প্রতিটি সদস্য। এতে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।’

ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৫৩টি পূজামণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩১টি এবং উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩১টি মণ্ডপ রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রতিটি পূজামণ্ডপে ফিক্সড পুলিশ মোতায়েন থাকবে। থানা-পুলিশ কর্তৃক অধিক টহল ও চেকপোস্ট স্থাপন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং ব্যবস্থা থাকবে। সাদা পেশাকে ডিবি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি প্রতিটি পূজামণ্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ র‍্যাবের সদস্যরা টহল ও অন্যান্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।’

তিনি বলেন, ‘পূজা চলাকালীন যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যানজট এড়াতে পূজা কমিটিকে অনুরোধ করেছি-মণ্ডপের আশপাশে কোনো মেলা যাতে না হয়।’

প্রতিমা বিসর্জনে ঢাকা মহানগরীতে ১৫টি স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। বিসর্জন শোভাযাত্রায় ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বিসর্জনের জন্য সব পূজা কমিটি ও ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান।

ঢাকায় পূজাকে ঘিরে কোনো হুমকি আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের জানামতে এমন কোনো থ্রেট নেই, কোনো ঝুঁকিও দেখছি না। শারদীয় দুর্গাপূজায় মণ্ডপ এলাকা, বিসর্জন শোভাযাত্রা ও বিসর্জনের সময় সব ধরনের মাদকদ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। বিসর্জনের সময় উচ্চ স্বরে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত