Ajker Patrika

ইমতিয়াজের খোঁজ মেলেনি, পুলিশ পরিচয়ে ফোন করে কিশোরগঞ্জে উদ্ধারের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৩, ০১: ৩৪
ইমতিয়াজের খোঁজ মেলেনি, পুলিশ পরিচয়ে ফোন করে কিশোরগঞ্জে উদ্ধারের খবর

সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিখোঁজদের তালিকায় নাম আছে ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার। তাঁর পরিবার নিশ্চিত নয়, তিনি বিস্ফোরণের ঘটনাতেই নিখোঁজ কি না। এখনো তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। জীবিত ও মৃত মিলিয়ে ১৭২ জনকে উদ্ধারের পর ফায়ার সার্ভিসও জানিয়েছে, সিদ্দিকবাজারের ওই ভবনে আর কেউ নেই। 

এদিকে ইমতিয়াজকে কিশোরগঞ্জে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে দাবি করে পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয়ে তাঁর ভাই মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে ঘটনার দিন ফোনকল করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। 

মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইকে কিশোরগঞ্জ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। নিজেকে পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে একজন এমন তথ্য দিয়ে ফোন করে। বলা হয়, তাঁকে নাকি ধানমন্ডি থেকে তুলে নিয়ে কে বা কারা কিশোরগঞ্জে নিয়ে মারধর করেছে।’

শুক্রবার (১০ মার্চ) রাতে মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়ার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইকে এখনো পাওয়া যায়নি। সেদিন এক প্রতারক আমাদের ফোন দিয়ে ইমতিয়াজকে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিল। আসলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। যে ফোন দিয়েছিল সে একজন চিটার। টাকা পয়সা পাওয়ার ধান্দা ছিল।’ এ নিয়ে এর বেশি আর কথা বলতে চাননি মোশাররফ হোসেন। 

বিস্ফোরণের পর থেকে মালেক নামে এক কিশোরের নিখোঁজ হওয়ার খবর আসে গণমাধ্যমে। তাকেও পাওয়া গেছে শুক্রবার সন্ধ্যায়। মালেককে ফিরে পাওয়ার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন তার বাবা রতন মিয়া। তিনি বলেন, ‘বিক্রমপুর টঙ্গিবাড়িতে মালেকের মা কাজ করে। আমি কাজ করি উত্তরার আব্দুলাহপুর। ঘটনার দিন মালেক মায়ের কাছ থেকে সাভারের হেমায়েতপুর যাচ্ছিল। সেখানে সে ইটভাটায় কাজ করে। ঘটনার সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় মালেক যে বাসে ছিল সেটি অন্য পথে যায়। মালেক রাস্তা ভুলে মোহাম্মদপুর যায়। সেখান থেকে আবার আবদুল্লাহপুর যায়। আমি আবদুল্লাহপুরে থাকলেও মালেক এখানে কোনো দিন আসেনি। তাই চেনে না। এরপর দুই দিন মালেক আবদুল্লাহপুরে একটি হোটেলে কাজ করে। সেখান থেকে হোটেল মালিকের সহায়তায় সে বিক্রমপুর টঙ্গিবাড়িতে মায়ের কাছে পৌঁছায়। তার মা আমাকে ফোন করে জানিয়েছে।’ 

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মোট ১৭২ জনকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে নিহত ২৩ জনও রয়েছেন। বার্ন ইনস্টিটিউট আর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীনেরা বাদে বাকিরা বাড়ি ফিরে গেছেন অথবা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত