খালেদা জিয়ার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলার শুনানি ২০ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মো. আবু তাহের এই তারিখ ধার্য করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজিরা দেন। অন্য আসামিরাও হাজির ছিলেন। পরে আদালত শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়াউদ্দিন জিয়া বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলাটির অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এই মামলাটি আগে ঢাকার বিশেষ জজ-২ এ বিচারাধীন ছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিশেষ জজ আদালত-৩ এ স্থানান্তর করা হয়েছে। এই আদালতে এটি ছিল শুনানির প্রথম তারিখ। এই কারণে তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছর ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম এবং খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

এ ছাড়া সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, সাবেক মন্ত্রী এম কে আনোয়ার ও এম শামসুল ইসলামের বিরুদ্ধেও অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এদের মধ্যে নিজামী ও মুজাহিদকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি দেওয়া হয় ও অন্য পাঁচজন মারা গেছেন। এখন খালেদাসহ আটজনের বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত