শ্যামলীর ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, রোগীদের ঠাঁই রাস্তায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৩, ০২: ৪৩
আপডেট : ০২ জুন ২০২৩, ১২: ৩৭

কয়েক দিন আগে এক ভবন থেকে ইট পড়ে পা ভাঙ আলম মিয়ার। অবস্থা দিনকে দিন খারাপের দিকে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এনে ভর্তি করা হয় শ্যামলীর ট্রমা সেন্টার ও হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা পরার্মশ দেন অপারেশন করতে। গত বুধবার ভাঙা পায়ের অপারেশন করা হয় আলমের। জ্ঞান ফেরার পর বৃহস্পতিবারই বেডে আনা হয়েছে তাঁকে।

রাতে যখন হাসপাতালের ভবনটিতে আগুন লাগে, খবর পেয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন রোগী ও স্বজনেরা। ছেলে ও স্ত্রী মিলে আলমকে কোলে তুলে চতুর্থ তলা থেকে নিচে নামান। আহত হন স্ত্রী ও ছেলে। অপারেশন করা পায়ে আঘাত পান আলম। 
রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভবনটিতে আগুন যখন দাউ দাউ করে জ্বলছিল, তখন আলমকে রাস্তায় বসিয়ে রাখা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলমের স্ত্রী বলেন, ‘হয়তো একেই বলে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। আমাদের মতো অসহায় এখন আর কেউ নেই!’

আগুনের খবরে স্বজনেরা ধরাধরি করে নামিয়ে এনেছেন রোগীদের। ছবি: আজকের পত্রিকাশুধু আলম নন, তাঁর মতো আরও রোগীরই ঠাঁই হয়েছে রাস্তায়। তাঁদের মধ্যে বয়স্ক রোগীও রয়েছেন। এমন অনেক রোগী রয়েছেন, যাঁরা বিছানাগত। তাঁদের নড়ানো-সরানোই কঠিন।

রোগীদের সহায়তায় এখনো কেউ পদক্ষেপ নেয়নি। ছবি: আজকের পত্রিকাএদিকে শ্যামলীর মিরপুর রোডে ২০ তলা রূপায়ণ শেলটেক ভবনে আগুন লাগার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাজাহান শিকদার বলেন, ‘রাত ২টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কাজ করতে হয়েছে ১৮টি ইউনিট।’

এভাবে ফুটপাতে কতক্ষণ থাকতে পারবেন জানেন না রোগীর স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকাবৃহস্পতিবার (১ জুন) রাত ১১টা ২৫ মিনিটে ভবনটির সপ্তম তলায় আগুন লাগে।  ১১টা ৩৫-এ ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

ভবনের কয়েকটি তলায় খুঁজে চার নারীসহ অন্তত ২৩ জনকে নিরাপদে নামিয়ে এনেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে এখনো বেশ কয়েকজন ভেতরে আটকা রয়েছেন। তাঁরা ভবনের সামনের গ্লাস ভেঙে নিজেদের উদ্ধারের জন্য হাত নাড়াচ্ছেন। কেউ কেউ মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে উদ্ধারের জন্য চিৎকার করছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত