Ajker Patrika

রায়পুরায় মেঘনার শাখা নদী থেকে সাবেক ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭: ২০
রায়পুরায় মেঘনার শাখা নদী থেকে সাবেক ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

নরসিংদীর রায়পুরার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম স্বপন মিয়া (৪৫)। আজ শনিবার সকালে উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের মেঘনার শাখা পাগলা নদীর জুরবিলা ঘাটে কচুরিপানার ভেতর থেকে তাঁর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

নিহত স্বপন ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হকের সমর্থক ও বটতলীকান্দি গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির ও সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হকের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। 
 
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত স্বপন মিয়ার নামে রায়পুরা থানায় হত্যা, লুটপাটসহ নানান অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে তিনি রাতে প্রায়ই বাড়িতে থাকতেন না এবং স্থানীয় একটি নদীতে নৌকায় মাছ ধরতে যেতেন। গতকাল শুক্রবার রাতে স্বপনকে মুঠোফোনে ডেকে নেয় স্থানীয় এক ব্যক্তি। সকাল হয়ে গেলেও স্বপন না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। এর মধ্যেই স্থানীয়রা আজ শনিবার সকালে জুরবিলা ঘাট এলাকার নদীতে স্বপন মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর শরীর ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 
 
নিহতের স্ত্রী রীনা বেগম বলেন, ‘রাতে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে স্বপনকে কয়েকজন মুঠোফোনে ডেকে নেয়। এরপর তিনি রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরে সকালে তাঁকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশের বড় ঘাটে কচুরিপানার ভেতর থেকে মরদেহ পাওয়া যায়।’ 

স্বজনেরা আরও জানায়, গত ইউপি নির্বাচনে বাঁশগাড়ির ৮ নং ওয়ার্ড থেকে মোরগ প্রতীক নিয়ে স্বপন মিয়া নির্বাচনে অংশ নেন। তাঁর প্রতিপক্ষ হিসেবে আবেদ আলী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। নির্বাচনের দিন স্বপনের আপন ভাই দুলাল মিয়াসহ পরিবারের দুই সদস্য প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন। ওই ঘটনার পর থেকেই স্বপন মিয়ার আরও পাঁচ ভাই প্রতিপক্ষদের ভয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে অন্যত্র থাকতেন। 

বাঁশগাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির বলেন, ‘আমি গতকাল থেকে ঢাকায় অবস্থান করছি। সকালে স্বপন নিহত ঘটনা শুনে খোঁজ নিয়েছিলাম। কে বা কারা তাঁকে হত্যা করে নদীর পাড়ে ফেলে রেখে চলে গেছে। তাঁর পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে সমস্যা চলছে। এখন প্রতিবেশী জড়িত কিনা বা অন্য কেউ জড়িত কিনা প্রশাসন দেখবেন।’ 

বাঁশগাড়ি তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক মীর মাহবুব বলেন, ‘সকালে স্বপন মেম্বারের মরদেহ জুরবিলা ঘাটে পাওয়া গেছে। রাতে কে বা কারা তাঁকে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। তাঁর মুখ ও মাথায় দুটি আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। আঘাত দুটি সম্ভবত গুলির হতে পারে।’ 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, ‘সকালে স্বপন মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ এলাকায় ছায়া তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য তৎপর রয়েছে।’ 

বিকেল পর্যন্ত নিহতদের পক্ষ থেকে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

বোনের বাড়িতে ‘ধর্ষণের’ শিকার: ২৪ ঘণ্টা পরও অচেতন শিশু, মূর্ছা যাচ্ছেন মা

আওয়ামী লীগ নেতা ‘ব্যাটারি বাবু’ ভবনে ঢুকে হাওয়া!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত