ফজলুল কবির

মুখ ভার করা আকাশের নিচে এ যেন এক বিজন শহর। বাস–গাড়ির হর্নের যন্ত্রণায় যে শহর মুখ ব্যাদান করে থাকে, সে শহরে কী ভয়ানক কবরের নিস্তব্ধতা! আরেকটু হলেই বলা যেত—কোথাও কেউ নেই। কিন্তু বলা যাচ্ছে না। কারণ, জনশূন্য এই শহরের প্রতিটি পথেই একটু পরপর সজাগ চোখ মেলে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। চোখে পড়ছে সেনাবাহিনীর গাড়ির টহল। সবাই সতর্ক–সজাগ।
না, কোনো জটিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে নয়। কোথাও কোনো বোমা ফোটেনি। নতুন কোনো জঙ্গি হামলা বা এমন কোনো ছকের কথাও শোনা যায়নি। তবে? করোনা। হ্যাঁ, করোনার কারণেই শহরের পথগুলো আর প্রিয় চেনারূপে ফিরছে না। বারবার আশা জাগছে, এবার বুঝি হবে। তারপর আবার সেই আগের মতো আগল তুলে দিতে হয় দরজায়। সরকার থেকে শুরু করে সুধীজন—সবাইকে বাধ্য হয়ে অনুরোধ করতে হয়, ‘ঘরে থাকুন’ বলে।
করোনার কারণেই কাঁচাবাজার বা মাছবাজারে নোংরা পানি ছলকে দিয়ে অসাবধানে কেউ হেঁটে যাচ্ছে না গটগট করে। চরম বিরক্তিতে ভ্রু কুঞ্চিত হচ্ছে না আর। পথে দীর্ঘ জ্যামের দেখা নেই। জ্যামহীন রাস্তাও যে একটা হাহাকারের জন্ম দিতে পারে, তা এখনকার এই শহর না দেখলে বোঝার উপায় নেই।
এই শহরের মানুষ রাস্তায় বা ফুটপাতে হাজারটা কসরত করে চলতে অভ্যস্ত। একে পাশ কাটিয়ে, তাকে ডিঙিয়ে কায়দা করে চলাটা এখানে রপ্ত করতে হয়। বর্ষায় বা শীত—একেক মৌসুমে চলার ধারায় আনতে হয় নানা পরিবর্তন। অথচ, এই করোনাকাল সবই সমতলে নিয়ে এসেছে। না, ঋতুবদল এখন আগের চেয়ে ভালো বোঝা যাচ্ছে। প্রকৃতি জেগে উঠেছে নবযৌবনে—এসবই সত্য। কিন্তু এই ঋতুবদলের কারণে জীবনের নানা ভাঁজে যে বদল আসে বা আসার কথা, তেমনটি ঠিক আসছে না। গত শীতে যেমন লকডাউন ছিল, এই বর্ষায়ও তেমনি।
করোনা মোকাবিলার অংশ হিসেবে কঠোর বিধিনিষেধ মানতে হচ্ছে মানুষকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরোনো বারণ। মানুষকে দরজায় খিল দিয়ে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বসে থাকতে হচ্ছে। ফলে বাইরে ধুলা নাকি বৃষ্টি, কাদার সাম্রাজ্য, তা ঘরে বসে টের পাওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। একটা আস্ত জগৎ হাত-পা গুটিয়ে যেন ঢুকে পড়েছে কোনো এক গোপন গুহায়। রাস্তা থেকে শিশুরা তো সেই কবেই উধাও হয়ে গেছে। এই কদমকালেও পথে পথে থোকা থোকা কদম হাতে তাদের ছুটে আসা আর দেখা যাচ্ছে না। তারা তবে সব গেল কই?
ঈদ গেল। কোরবানি নাকি মানুষ এবার কম দিয়েছে। করোনায় অর্থনীতির ওপর যে প্রভাব পড়েছে, তাতে তো এটাই স্বাভাবিক। ঈদের আগে মানুষের চলাচল সহজ করতে কিছুদিনের জন্য যে লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল, তার মেয়াদও শেষ হয়েছে ২৩ জুলাই থেকে। ফলে অল্প কয়েক দিনের জন্য খোলা জানালা দিয়ে ঢোকা স্বস্তির হাওয়া গায়ে মেখে রাস্তায় বেরিয়ে পড়া গণপরিবহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহন আবার উধাও হয়ে গেছে। যেন কোনো এক জাদুকর আলগোছে তার রুমালটি ঝেড়ে গেছে। আর সব উধাও হয়ে গেছে পথ থেকে।
এই শূন্য পথে পাহারা দিয়ে দিয়ে ক্লান্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। কত দিন ছুটি পান না তাঁরা? কত দিন এই নির্জীব, নীরব শহর পাহারা দেবেন তাঁরা? ছুটি পাননি বলে যে পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেল ঈদের সময়টাতে, তা তো এ বিষয়টি নিয়ে জরুরিভাবে ভাবার দাবি নিয়ে হাজির। কিন্তু উপায় কী? এদিকে মানুষ তো পারছে না আর। বিশেষত, নিম্ন আয়ের মানুষেরা বাঁচার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না। বিভিন্ন ব্যক্তিপর্যায়ের সহযোগিতাও ফুরিয়ে এসেছে। এখনো যাঁরা টিকে আছেন, তাঁরাও এই কর্মসূচি কত দিন চালাতে পারবেন, বলা মুশকিল।
বহু মানুষ শহর ছেড়ে গেছে আগেই। সুযোগের শহর ঢাকা, দুর্বার আকর্ষণের ঢাকা এখন আর মানুষকে আশ্রয় দিতে পারছে না। কারণ, এই শহরের ফুটপাতে থাকতে হলেও কড়ি গুনতে হয়। ফলে শহরের সবচেয়ে মুখর অঞ্চল ফুটপাতগুলোও ফাঁকা হয়ে গেছে। চলতি পথে যে ফুটপাতের মানুষগুলোকে উপদ্রব বলে মনে হতো, এখন তাদের অনুপস্থিতি যে কী বিষণ্নতা টেনে আনছে, তা বলবার নয়। রাতের ঢাকা আরও বুক ভার করা। পথে পথে শিশুদের দেখা মেলে তখন। রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া বিভিন্ন সরঞ্জাম বহুমূল্য ধনের মতো ধরে হাঁটে তারা। তাদের চোখ ঘোলাটে। হাতে ধরে থাকা পলিথিনে নতুন করে সয়লাব হওয়া নেশার আকর। সেই পলিথিনে একটু পরপর দম নিয়ে তারা কী যেন ভুলতে চায়। কী ভুলতে চায়? এই নীরব বিষণ্ন শহর, মানুষের পীড়ন, নাকি নিজেকেই? সব সজাগ প্রহরার চোখ এড়িয়ে তারা ঠিক জেগে থাকে রাতে শহরে ঢুলুঢুলু ঘোলাটে চোখে, অন্যদের দিকে ছুড়ে দিয়ে ভীষণ তির্যক প্রশ্নমালা।
আরও পড়ুন

মুখ ভার করা আকাশের নিচে এ যেন এক বিজন শহর। বাস–গাড়ির হর্নের যন্ত্রণায় যে শহর মুখ ব্যাদান করে থাকে, সে শহরে কী ভয়ানক কবরের নিস্তব্ধতা! আরেকটু হলেই বলা যেত—কোথাও কেউ নেই। কিন্তু বলা যাচ্ছে না। কারণ, জনশূন্য এই শহরের প্রতিটি পথেই একটু পরপর সজাগ চোখ মেলে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। চোখে পড়ছে সেনাবাহিনীর গাড়ির টহল। সবাই সতর্ক–সজাগ।
না, কোনো জটিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে নয়। কোথাও কোনো বোমা ফোটেনি। নতুন কোনো জঙ্গি হামলা বা এমন কোনো ছকের কথাও শোনা যায়নি। তবে? করোনা। হ্যাঁ, করোনার কারণেই শহরের পথগুলো আর প্রিয় চেনারূপে ফিরছে না। বারবার আশা জাগছে, এবার বুঝি হবে। তারপর আবার সেই আগের মতো আগল তুলে দিতে হয় দরজায়। সরকার থেকে শুরু করে সুধীজন—সবাইকে বাধ্য হয়ে অনুরোধ করতে হয়, ‘ঘরে থাকুন’ বলে।
করোনার কারণেই কাঁচাবাজার বা মাছবাজারে নোংরা পানি ছলকে দিয়ে অসাবধানে কেউ হেঁটে যাচ্ছে না গটগট করে। চরম বিরক্তিতে ভ্রু কুঞ্চিত হচ্ছে না আর। পথে দীর্ঘ জ্যামের দেখা নেই। জ্যামহীন রাস্তাও যে একটা হাহাকারের জন্ম দিতে পারে, তা এখনকার এই শহর না দেখলে বোঝার উপায় নেই।
এই শহরের মানুষ রাস্তায় বা ফুটপাতে হাজারটা কসরত করে চলতে অভ্যস্ত। একে পাশ কাটিয়ে, তাকে ডিঙিয়ে কায়দা করে চলাটা এখানে রপ্ত করতে হয়। বর্ষায় বা শীত—একেক মৌসুমে চলার ধারায় আনতে হয় নানা পরিবর্তন। অথচ, এই করোনাকাল সবই সমতলে নিয়ে এসেছে। না, ঋতুবদল এখন আগের চেয়ে ভালো বোঝা যাচ্ছে। প্রকৃতি জেগে উঠেছে নবযৌবনে—এসবই সত্য। কিন্তু এই ঋতুবদলের কারণে জীবনের নানা ভাঁজে যে বদল আসে বা আসার কথা, তেমনটি ঠিক আসছে না। গত শীতে যেমন লকডাউন ছিল, এই বর্ষায়ও তেমনি।
করোনা মোকাবিলার অংশ হিসেবে কঠোর বিধিনিষেধ মানতে হচ্ছে মানুষকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরোনো বারণ। মানুষকে দরজায় খিল দিয়ে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বসে থাকতে হচ্ছে। ফলে বাইরে ধুলা নাকি বৃষ্টি, কাদার সাম্রাজ্য, তা ঘরে বসে টের পাওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। একটা আস্ত জগৎ হাত-পা গুটিয়ে যেন ঢুকে পড়েছে কোনো এক গোপন গুহায়। রাস্তা থেকে শিশুরা তো সেই কবেই উধাও হয়ে গেছে। এই কদমকালেও পথে পথে থোকা থোকা কদম হাতে তাদের ছুটে আসা আর দেখা যাচ্ছে না। তারা তবে সব গেল কই?
ঈদ গেল। কোরবানি নাকি মানুষ এবার কম দিয়েছে। করোনায় অর্থনীতির ওপর যে প্রভাব পড়েছে, তাতে তো এটাই স্বাভাবিক। ঈদের আগে মানুষের চলাচল সহজ করতে কিছুদিনের জন্য যে লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল, তার মেয়াদও শেষ হয়েছে ২৩ জুলাই থেকে। ফলে অল্প কয়েক দিনের জন্য খোলা জানালা দিয়ে ঢোকা স্বস্তির হাওয়া গায়ে মেখে রাস্তায় বেরিয়ে পড়া গণপরিবহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহন আবার উধাও হয়ে গেছে। যেন কোনো এক জাদুকর আলগোছে তার রুমালটি ঝেড়ে গেছে। আর সব উধাও হয়ে গেছে পথ থেকে।
এই শূন্য পথে পাহারা দিয়ে দিয়ে ক্লান্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। কত দিন ছুটি পান না তাঁরা? কত দিন এই নির্জীব, নীরব শহর পাহারা দেবেন তাঁরা? ছুটি পাননি বলে যে পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেল ঈদের সময়টাতে, তা তো এ বিষয়টি নিয়ে জরুরিভাবে ভাবার দাবি নিয়ে হাজির। কিন্তু উপায় কী? এদিকে মানুষ তো পারছে না আর। বিশেষত, নিম্ন আয়ের মানুষেরা বাঁচার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না। বিভিন্ন ব্যক্তিপর্যায়ের সহযোগিতাও ফুরিয়ে এসেছে। এখনো যাঁরা টিকে আছেন, তাঁরাও এই কর্মসূচি কত দিন চালাতে পারবেন, বলা মুশকিল।
বহু মানুষ শহর ছেড়ে গেছে আগেই। সুযোগের শহর ঢাকা, দুর্বার আকর্ষণের ঢাকা এখন আর মানুষকে আশ্রয় দিতে পারছে না। কারণ, এই শহরের ফুটপাতে থাকতে হলেও কড়ি গুনতে হয়। ফলে শহরের সবচেয়ে মুখর অঞ্চল ফুটপাতগুলোও ফাঁকা হয়ে গেছে। চলতি পথে যে ফুটপাতের মানুষগুলোকে উপদ্রব বলে মনে হতো, এখন তাদের অনুপস্থিতি যে কী বিষণ্নতা টেনে আনছে, তা বলবার নয়। রাতের ঢাকা আরও বুক ভার করা। পথে পথে শিশুদের দেখা মেলে তখন। রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া বিভিন্ন সরঞ্জাম বহুমূল্য ধনের মতো ধরে হাঁটে তারা। তাদের চোখ ঘোলাটে। হাতে ধরে থাকা পলিথিনে নতুন করে সয়লাব হওয়া নেশার আকর। সেই পলিথিনে একটু পরপর দম নিয়ে তারা কী যেন ভুলতে চায়। কী ভুলতে চায়? এই নীরব বিষণ্ন শহর, মানুষের পীড়ন, নাকি নিজেকেই? সব সজাগ প্রহরার চোখ এড়িয়ে তারা ঠিক জেগে থাকে রাতে শহরে ঢুলুঢুলু ঘোলাটে চোখে, অন্যদের দিকে ছুড়ে দিয়ে ভীষণ তির্যক প্রশ্নমালা।
আরও পড়ুন

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩৭ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

মুখ ভার করা আকাশের নিচে এ যেন এক বিজন শহর। বাস–গাড়ির হর্নের যন্ত্রণায় যে শহর মুখ ব্যাদান করে থাকে, সে শহরে কী ভয়ানক কবরের নিস্তব্ধতা! আরেকটু হলেই বলা যেত—কোথাও কেউ নেই। কিন্তু বলা যাচ্ছে না। কারণ, জনশূন্য এই শহরের প্রতিটি পথেই একটু পরপর সজাগ চোখ মেলে রয়েছেন আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যেরা। চো
২৫ জুলাই ২০২১
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩৭ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
১ ঘণ্টা আগেমিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত দীপন উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে দীপন একটি গোডাউন থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ভ্যানে করে কমলদহ এলাকা থেকে বড় দারোগার হাটের দিকে যাচ্ছিলেন। কমলদহ এলাকায় মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁর রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খান এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত এক পথচারীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
এ বিষয়ে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জাকির রাব্বানি বলেন, কমলদহ এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত ভ্যান ও মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত দীপন উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে দীপন একটি গোডাউন থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ভ্যানে করে কমলদহ এলাকা থেকে বড় দারোগার হাটের দিকে যাচ্ছিলেন। কমলদহ এলাকায় মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁর রিকশাভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খান এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত এক পথচারীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
এ বিষয়ে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জাকির রাব্বানি বলেন, কমলদহ এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত ভ্যান ও মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মুখ ভার করা আকাশের নিচে এ যেন এক বিজন শহর। বাস–গাড়ির হর্নের যন্ত্রণায় যে শহর মুখ ব্যাদান করে থাকে, সে শহরে কী ভয়ানক কবরের নিস্তব্ধতা! আরেকটু হলেই বলা যেত—কোথাও কেউ নেই। কিন্তু বলা যাচ্ছে না। কারণ, জনশূন্য এই শহরের প্রতিটি পথেই একটু পরপর সজাগ চোখ মেলে রয়েছেন আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যেরা। চো
২৫ জুলাই ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১৪ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় সোহান ও তাঁর মা তহুরুন্নেছাকে (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মা তহুরুন্নেছা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। আর আহত নানি আবেজান বেগম (৬৫) ও বড় ভাই মাহমুদুল হাসান রোহানকে (১৩) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে নিহত সোহানের খালা রুনা বেগম জানান, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার পুলঘাট গ্রামে। দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁরা। সোহানের বাবা রওনক হাসান আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। সোহান ও রোহান এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাদের মা অন্যের বাসায় কাজ করে।
রুনা বেগম আরও জানান, গত সোমবার তাঁর মা, বোন ও বোনের দুই ছেলে তুরাগের নয়ানগর এলাকায় তাঁর বাসায় বেড়াতে আসে। শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। উত্তরা বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাদের প্রথমে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শিশু সোহান ও তার মাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে সেখানে শিশুটির মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি উত্তরা পূর্ব থানায় অবগত করা হয়েছে।

রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় সোহান ও তাঁর মা তহুরুন্নেছাকে (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মা তহুরুন্নেছা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। আর আহত নানি আবেজান বেগম (৬৫) ও বড় ভাই মাহমুদুল হাসান রোহানকে (১৩) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে নিহত সোহানের খালা রুনা বেগম জানান, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার পুলঘাট গ্রামে। দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁরা। সোহানের বাবা রওনক হাসান আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। সোহান ও রোহান এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাদের মা অন্যের বাসায় কাজ করে।
রুনা বেগম আরও জানান, গত সোমবার তাঁর মা, বোন ও বোনের দুই ছেলে তুরাগের নয়ানগর এলাকায় তাঁর বাসায় বেড়াতে আসে। শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। উত্তরা বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাদের প্রথমে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শিশু সোহান ও তার মাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে সেখানে শিশুটির মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি উত্তরা পূর্ব থানায় অবগত করা হয়েছে।

মুখ ভার করা আকাশের নিচে এ যেন এক বিজন শহর। বাস–গাড়ির হর্নের যন্ত্রণায় যে শহর মুখ ব্যাদান করে থাকে, সে শহরে কী ভয়ানক কবরের নিস্তব্ধতা! আরেকটু হলেই বলা যেত—কোথাও কেউ নেই। কিন্তু বলা যাচ্ছে না। কারণ, জনশূন্য এই শহরের প্রতিটি পথেই একটু পরপর সজাগ চোখ মেলে রয়েছেন আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যেরা। চো
২৫ জুলাই ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। আজ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
কনকচাঁপা জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য।
ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা লেখেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না। ওসমান হাদি বারবার বলেছেন, “আমি আমার শত্রুর সাথেও ইনসাফ করতে চাই।” তা ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভালো সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে আহ্বান জানাতেন। শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ যারা করেছে, তারা কখনো শান্তিপূর্ণ দেশপ্রেমিক হতে পারে না।’
ফেসবুক পোস্টে ময়মনসিংহে সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে হত্যার বিষয়েও কথা বলেছেন কনকচাঁপা। তিনি লেখেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু দাস নামের একজন সনাতন ভাইকে একটা গোষ্ঠী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। যদি তিনি সত্যিই এমন কিছু করে থাকেন, তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার ন্যায়বিচার হওয়া উচিত ছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কখনো ধার্মিক মানুষের কাজ হতে পারে না। দেশের সর্বস্তরের সকল ধর্ম, মত ও আদর্শের মানুষের প্রতি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে বিনীত অনুরোধ করছি। কোনো ষড়যন্ত্রকারীর উসকানি, গুজব ও ইন্ধনে দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি করবেন না।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। আজ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
কনকচাঁপা জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য।
ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা লেখেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না। ওসমান হাদি বারবার বলেছেন, “আমি আমার শত্রুর সাথেও ইনসাফ করতে চাই।” তা ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভালো সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে আহ্বান জানাতেন। শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ যারা করেছে, তারা কখনো শান্তিপূর্ণ দেশপ্রেমিক হতে পারে না।’
ফেসবুক পোস্টে ময়মনসিংহে সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে হত্যার বিষয়েও কথা বলেছেন কনকচাঁপা। তিনি লেখেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু দাস নামের একজন সনাতন ভাইকে একটা গোষ্ঠী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। যদি তিনি সত্যিই এমন কিছু করে থাকেন, তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার ন্যায়বিচার হওয়া উচিত ছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কখনো ধার্মিক মানুষের কাজ হতে পারে না। দেশের সর্বস্তরের সকল ধর্ম, মত ও আদর্শের মানুষের প্রতি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে বিনীত অনুরোধ করছি। কোনো ষড়যন্ত্রকারীর উসকানি, গুজব ও ইন্ধনে দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি করবেন না।’

মুখ ভার করা আকাশের নিচে এ যেন এক বিজন শহর। বাস–গাড়ির হর্নের যন্ত্রণায় যে শহর মুখ ব্যাদান করে থাকে, সে শহরে কী ভয়ানক কবরের নিস্তব্ধতা! আরেকটু হলেই বলা যেত—কোথাও কেউ নেই। কিন্তু বলা যাচ্ছে না। কারণ, জনশূন্য এই শহরের প্রতিটি পথেই একটু পরপর সজাগ চোখ মেলে রয়েছেন আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যেরা। চো
২৫ জুলাই ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় দীপন চন্দ্র নাথ (৪২) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩৭ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে