নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলাকালে শুধু চাল নয়, প্রতি মাসে প্রত্যেক পরিবারের জন্য কমপক্ষে ৮ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মৎস্য শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা জেলেদের এই দাবির কথা তুলে ধরেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘জেলে কার্ড পাওয়া বিষয়ে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা ও কিছু সুপারিশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে এ-সম্পর্কিত গবেষণার তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়। ২০১৮ সাল থেকে পাথরঘাটা ও মহেশখালীতে চলা এ গবেষণায় সহযোগী হিসেবে রয়েছে বিলস, কোস্ট ফাউন্ডেশন, টেকসই সমুদ্র মানবাধিকার মৎস্য আহরণ ও চাষ, দ্য ড্যানিশ ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান রাইটস ও সুইডেন সারভিজ।
অনুষ্ঠানে গবেষণার তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ প্রকল্প ব্যবস্থাপক শেখ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সরকারি যে চাল সহায়তা দেওয়া হয়, তা একেবারেই অপ্রতুল। চালের বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতি মাসে প্রতিটি জেলে পরিবারের জন্য যদি অন্তত ৮ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়, তাহলে তারা মোটামুটিভাবে চলতে পারে। সমুদ্রে মাছ ধরা ও ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে মোট তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার সময়ে এই সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গবেষণাধীন এলাকায় মাত্র ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ মৎস্যজীবী কার্ডধারী। বাকিরা কার্ড পাননি। ৬৫ দিন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় মাত্র ৪৬ শতাংশ জেলে সরকারি বরাদ্দ থেকে চাল পেয়েছেন। বাকিরা কোনো সহায়তা পাননি। ফলে এ সময় অনেককেই উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে চলতে হয়, যা তাঁদের সারা জীবনের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। গবেষণাধীন এলাকায় অল্পসংখ্যক নারীকেও জেলে হিসেবে তাঁরা পেয়েছেন, যারা জেলে কার্ডধারী।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগী বলেন, ‘মৎস্যজীবীরা যাতে শ্রমিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান, সে বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। এতে শ্রমিক হিসেবে তাঁদের অধিকার নিয়ে কথা বলা যাবে। এসব শ্রমিকের মানবাধিকার, তাঁদের সন্তানদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে সচেতন হতে হবে।’
কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান বাহাদুর বলেন, যখন সরকারি তালিকা করা হয়, তখন অধিকাংশ জেলে সমুদ্রে থাকে। ফলে তারা তালিকার বাইরে থেকে যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা দাদনের কাছ থেকে ১২০ শতাংশ হারে সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হয়। এটা ভয়ানক। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে জেলেদের জন্য আলাদা একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মানতে চান। তবে এ সময় জেলেরা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সে অনুযায়ী তাঁরা তেমন কিছুই পান না। ফলে তাঁদের খুবই মানবেতরভাবে চলতে হয়। তেলের দাম বাড়ায় অনেক জেলে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে সমুদ্রে যাওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। ফলে তাঁরা এখন শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সমাজকল্যাণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের আর্থিক সহায়তা ছাড়া জেলেদের এ অবস্থার উন্নতি সম্ভব নয়। একই সঙ্গে পরিবারপ্রতি চালের সহায়তা ৬০ কেজিতে উন্নীত করা প্রয়োজন। নিষেধাজ্ঞাকালে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে সংকট থেকে অনেকটাই উত্তরণ সম্ভব।
সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলাকালে শুধু চাল নয়, প্রতি মাসে প্রত্যেক পরিবারের জন্য কমপক্ষে ৮ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মৎস্য শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা জেলেদের এই দাবির কথা তুলে ধরেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘জেলে কার্ড পাওয়া বিষয়ে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা ও কিছু সুপারিশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে এ-সম্পর্কিত গবেষণার তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়। ২০১৮ সাল থেকে পাথরঘাটা ও মহেশখালীতে চলা এ গবেষণায় সহযোগী হিসেবে রয়েছে বিলস, কোস্ট ফাউন্ডেশন, টেকসই সমুদ্র মানবাধিকার মৎস্য আহরণ ও চাষ, দ্য ড্যানিশ ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান রাইটস ও সুইডেন সারভিজ।
অনুষ্ঠানে গবেষণার তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ প্রকল্প ব্যবস্থাপক শেখ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সরকারি যে চাল সহায়তা দেওয়া হয়, তা একেবারেই অপ্রতুল। চালের বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতি মাসে প্রতিটি জেলে পরিবারের জন্য যদি অন্তত ৮ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়, তাহলে তারা মোটামুটিভাবে চলতে পারে। সমুদ্রে মাছ ধরা ও ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে মোট তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার সময়ে এই সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গবেষণাধীন এলাকায় মাত্র ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ মৎস্যজীবী কার্ডধারী। বাকিরা কার্ড পাননি। ৬৫ দিন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় মাত্র ৪৬ শতাংশ জেলে সরকারি বরাদ্দ থেকে চাল পেয়েছেন। বাকিরা কোনো সহায়তা পাননি। ফলে এ সময় অনেককেই উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে চলতে হয়, যা তাঁদের সারা জীবনের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। গবেষণাধীন এলাকায় অল্পসংখ্যক নারীকেও জেলে হিসেবে তাঁরা পেয়েছেন, যারা জেলে কার্ডধারী।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগী বলেন, ‘মৎস্যজীবীরা যাতে শ্রমিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান, সে বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। এতে শ্রমিক হিসেবে তাঁদের অধিকার নিয়ে কথা বলা যাবে। এসব শ্রমিকের মানবাধিকার, তাঁদের সন্তানদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে সচেতন হতে হবে।’
কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান বাহাদুর বলেন, যখন সরকারি তালিকা করা হয়, তখন অধিকাংশ জেলে সমুদ্রে থাকে। ফলে তারা তালিকার বাইরে থেকে যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা দাদনের কাছ থেকে ১২০ শতাংশ হারে সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হয়। এটা ভয়ানক। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে জেলেদের জন্য আলাদা একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মানতে চান। তবে এ সময় জেলেরা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সে অনুযায়ী তাঁরা তেমন কিছুই পান না। ফলে তাঁদের খুবই মানবেতরভাবে চলতে হয়। তেলের দাম বাড়ায় অনেক জেলে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে সমুদ্রে যাওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। ফলে তাঁরা এখন শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সমাজকল্যাণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের আর্থিক সহায়তা ছাড়া জেলেদের এ অবস্থার উন্নতি সম্ভব নয়। একই সঙ্গে পরিবারপ্রতি চালের সহায়তা ৬০ কেজিতে উন্নীত করা প্রয়োজন। নিষেধাজ্ঞাকালে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে সংকট থেকে অনেকটাই উত্তরণ সম্ভব।
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৪ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৪ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৪ ঘণ্টা আগে