ওষুধ ক্রয়ে অনিয়ম: ৬ চিকিৎসকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিলেন আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ৩৩
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ৫০

ঢাকার আজিমপুরে মা ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ওষুধ ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ছয় চিকিৎসকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আস সামছ জগলুল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

আসামিরা হলেন মোনার্ক এস্টাব্লিশমেন্টের স্বত্বাধিকারী ফতেনুর ইসলাম; নাফিসা বিজনেস কর্নারের মালিক শেখ ইদ্রিস উদ্দিন চঞ্চল; আজিমপুর মা ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক এবং দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি ডা. ইসরাত জাহান, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সাবেক সিনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) এবং মার্কেট প্রাইস ভেরিফিকেশন কমিটির সভাপতি ডা. রওশন হোসেন জাহান, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সাবেক সহকারী সমন্বয়ক (প্রশিক্ষণ ও গবেষণা) ডা. মো. লুৎফুল কবির খান,  প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সাবেক মেডিকেল অফিসার ডা. রওশন জাহান, ইনস্টিটিউটের মেডিকেল অফিসার (শিশু) ও বাজার মূল্য যাচাই কমিটির সদস্য ও মূল্যায়ন কমিটির সদস্যসচিব ডা. বেগম মাহফুজা দিলারা আক্তার, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. আমির হোসেন এবং সমাজকল্যাণ অফিসের সাবেক সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা রাইসা খাতুন।

মামলার পর সব আসামি বিভিন্ন আদালত থেকে জামিন নেন। আজকের শুনানির সময় তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের ১৩ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক (বিশেষ তদন্ত ও তদন্ত-২) মো. আতাউর রহমান সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্র থেকে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. জেবুন্নেসা হোসেন ও সাবেক সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ, তাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক ১ কোটি ১২ লাখ ১৫ হাজার ৩০৬ টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাতের অভিযোগে ডা. ইসরাত জাহানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, অভিযুক্তরা জালিয়াতি ও দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধি লঙ্ঘন করেছেন এবং এমআরপি ও ওষুধ প্রশাসন বিভাগের মূল্যতালিকা এবং এমএসআর মূল্যতালিকা মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁরা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই বাজার রেট যাচাইকরণ কমিটির সুপারিশকৃত যথেচ্ছ হারে জিনিসপত্র ক্রয় করেছেন, যার ফলে যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত