ই-অরেঞ্জের সোহেল রানাসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ২২: ১৯
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯: ৫৯

প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য তিনজন হলেন ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান এবং এর কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ।

আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার বাদী ও বাংলাদেশ ই-কমার্স কনজিউমারস সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ বেলাল হোসেন জুবায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোহেল রানা, সোনিয়া মেহজাবিন, মাসুকুর রহমান ও কাউসার আহমেদ পরস্পর যোগসাজশে ই-অরেঞ্জ শপ তৈরি করে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সুপরিকল্পিতভাবে প্রতারণার উদ্দেশ্যে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে দিয়ে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন করিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা হয়েছে। তাঁরা ৭ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার কথা থাকলেও ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে পণ্য সরবরাহ করেননি। আদালত আমার করা মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আমি আশা করি তাঁদের শাস্তি হবে এবং তাঁদের সম্পত্তি বিক্রি করে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী এইচ এম রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২১-এর বিচারক আরফাতুল রাকিবের আদালত আমাদের মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের প্রতি সমন জারি করেন। কিন্তু আসামিরা নিজেরা অথবা তাঁদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে যাননি। এরপর আমরা আসামিদের প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করি। বৃহস্পতিবার আদালত তা মঞ্জুর করেন এবং পরোয়ানা জারি করেন।

উল্লেখ্য, সোনিয়া মেহজাবিন, মাসুকুর রহমান ও কাউসার আহমেদ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। আর সোহেল রানা পলাতক অবস্থায় আছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত