নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘স্যারের হাই জ্যাক। বড় বড় লোকজনের সঙ্গে ওঠাবসা। মন চাইলে অফিসে আসতেন, না হলে নয়। গত সাত মাসে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে মাত্র তিনবার। সাত দিন ধরে তিনি থানায়ই আসেননি। বড় সাহেবদের সঙ্গে ওঠাবসা তো...।
রাজধানীর বনানী থানার একজন পুলিশ সদস্য এটুকু বলেই থেমে যান। তাঁর অভিমত, পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা ছিলেন নিয়ন্ত্রণহীন। কোনো কিছুই তিনি তোয়াক্কা করতেন না। পুলিশ কর্মকর্তারা এসব জেনেও নীরব থাকতেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শেষ যখন তিনি থানায় আসেন, নিজের দামি গাড়িতে আসেন। তাঁর গাড়ি থানার বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল। সবাই জানতেন, তিনি শত শত কোটি টাকার মালিক।
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় গত শুক্রবার ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা। এরপরই তাঁর বিপুল সম্পদের হদিস আর অবৈধ ব্যবসার বিষয়টি আলোচনায় আসতে শুরু করে। কিন্তু তার আগে প্রশ্ন ওঠে, দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা কি নিজেদের কর্মকর্তার এসব অপকর্মের কথা জানতেন না?
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) আনিসুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন ডিসি মিডিয়া। ডিসি মিডিয়া ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। মঙ্গলবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে বেরিয়ে আসবে তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা যিনি ছিলেন তিনি কমিশনারকে কিছু জানিয়েছিলেন কি না। তাঁর তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা ছিলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি)। তদন্তে কার কতটুকু গাফিলতি আছে, সেটা বেরিয়ে আসবে। তদন্তে যদি গাফিলতি পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বনানী থানায় ঢুকেই হাতের বাঁয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়ার কক্ষ। তারপর সোজাসুজি ডিউটি অফিসারের কক্ষ। ডিউটি অফিসারের কক্ষের পাশে বসতেন পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা। কয়েক দিন ধরেই তাঁর কক্ষ বন্ধ। সোমবার পর্যন্ত নতুন পরিদর্শক আসেননি।
সেখানকার একাধিক পুলিশ সদস্য বলেন, সোহেল রানা দিনের বেলায় থানায় আসতেন না, মাঝে মাঝে আসতেন রাতে। থানার কোনো গাড়িও তিনি ব্যবহার করতেন না। সহকারী উপপরিদর্শক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা জানান, আড়াই বছর তিনি এ থানায় আছেন। সোহেল রানার সঙ্গে দেখা হয়েছে তিন-চারবার। কিন্তু কোনো কথা হয়নি। তিনি সব সময় খুব ব্যস্ত থাকতেন।
জানতে চাইলে বনানী থানার ওসি নুরে আজম মিয়া বলেন, সোহেল রানার কাজ তদন্তের বিষয়টি দেখভাল করা। তিনি সেটাই করতেন। গত বৃহস্পতিবার সোহেল রানা অফিস করেছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পরিদর্শক সোহেল রানা ঘুরেফিরে গুলশান এলাকাতেই প্রায় ১০ বছর চাকরি করছেন। বেশির ভাগ সময়েই ছিলেন গুলশান ও বনানী থানায়। মাঝখানে একবার ডিবিতে বদলি হলেও আবার গুলশানে ফিরে আসেন। কূটনৈতিক পাড়ায় দায়িত্ব থাকার সুবাদে ভিসা সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়েন। গুলশান এলাকার অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেও অভিযোগ আছে।
সোহেল রানা গ্রেপ্তারের পর তাঁর শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের বিষয়টি উঠে আসছে। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনেও এসব উল্লেখ রয়েছে। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলশানের শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজরভ্যালির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। এ ছাড়াও তাঁর আরও তিনটি ফ্ল্যাট আছে। নিকেতনের একটি ফ্ল্যাটে সাগর নামে তাঁর এক আত্মীয় থাকেন। একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আছে তাঁর। খাগড়াছড়িতে রিসোর্টের জন্য জায়গা কেনা আছে তাঁর নামে। থাইল্যান্ডের পাতায়াতে জমি ও ফ্ল্যাটের পাশাপাশি হিলটন হোটেলের পাশে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেন। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে প্রায় ৫০০ বিঘা জমির মালিক তিনি।
আজকের পত্রিকার টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধি জানান, সাড়ে তিন বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার পর সোহেল রানা গ্রামে আসেন। গ্রামে তিনি খুব বেশি আসতেন না। তাঁর গ্রামের বাড়িতে সৎমা থাকেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার গোপালপুর ইউনিয়নের জোয়ালিয়া স্কুলের পেছনে ১২ বিঘা জমির ওপর তাঁর একটি মাছের ঘের রয়েছে। আছে বেনামে আরও কিছু জমিজমা।
একজন পুলিশ সদস্যের বেপরোয়া চলাফেরা ও অবৈধ সম্পদের হদিস কি পুলিশ জানত না? এ প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কাজ চলছে। তাঁকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই সব জানা যাবে।
দুদকের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ই-অরেঞ্জের অভিযুক্তদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করা হবে বলে জানান। গতকাল সোমবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথ্য দিলে অনুসন্ধান করবে দুদক।
এদিকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ছয়জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এই নিষেধাজ্ঞা দেন। সোহেল রানা ছাড়া অন্যরা হলেন নাজনিন নাহার বিথী, কামরুল হাসান, আব্দুল কাদের, নূরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খান। গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ৩১ আগস্ট আদালতে মামলা করা হয়। রোববার মামলাটি গুলশান থানায় নিবন্ধন করা হয়।
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পরিচালক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা। প্রতারণার ঘটনায় গুলশান ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় পৃথক দুটি মামলায় সোহেল রানার বোন মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
সোহেল রানার নানা কর্মকাণ্ড ও প্রকাশ্য ব্যবসা করা নিয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে কথা বলা হয় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুলিশের একজন কর্মকর্তা এভাবে ব্যবসা করতে পারেন না। তাঁর আয়-ব্যয় সরকারকে জানাতে হয়। তিনি অফিসে কতটুকু কীভাবে কাজ করেন, তার তত্ত্বাবধান করেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সঠিকভাবে তত্ত্বাবধান করেননি। সোহেল রানা অপরাধ করেছেন। কিন্তু এ ধরনের ঘটনায় তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তাদেরও গাফিলতি কম নেই।’

‘স্যারের হাই জ্যাক। বড় বড় লোকজনের সঙ্গে ওঠাবসা। মন চাইলে অফিসে আসতেন, না হলে নয়। গত সাত মাসে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে মাত্র তিনবার। সাত দিন ধরে তিনি থানায়ই আসেননি। বড় সাহেবদের সঙ্গে ওঠাবসা তো...।
রাজধানীর বনানী থানার একজন পুলিশ সদস্য এটুকু বলেই থেমে যান। তাঁর অভিমত, পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা ছিলেন নিয়ন্ত্রণহীন। কোনো কিছুই তিনি তোয়াক্কা করতেন না। পুলিশ কর্মকর্তারা এসব জেনেও নীরব থাকতেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শেষ যখন তিনি থানায় আসেন, নিজের দামি গাড়িতে আসেন। তাঁর গাড়ি থানার বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল। সবাই জানতেন, তিনি শত শত কোটি টাকার মালিক।
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় গত শুক্রবার ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা। এরপরই তাঁর বিপুল সম্পদের হদিস আর অবৈধ ব্যবসার বিষয়টি আলোচনায় আসতে শুরু করে। কিন্তু তার আগে প্রশ্ন ওঠে, দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা কি নিজেদের কর্মকর্তার এসব অপকর্মের কথা জানতেন না?
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) আনিসুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন ডিসি মিডিয়া। ডিসি মিডিয়া ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। মঙ্গলবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে বেরিয়ে আসবে তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা যিনি ছিলেন তিনি কমিশনারকে কিছু জানিয়েছিলেন কি না। তাঁর তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা ছিলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি)। তদন্তে কার কতটুকু গাফিলতি আছে, সেটা বেরিয়ে আসবে। তদন্তে যদি গাফিলতি পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বনানী থানায় ঢুকেই হাতের বাঁয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়ার কক্ষ। তারপর সোজাসুজি ডিউটি অফিসারের কক্ষ। ডিউটি অফিসারের কক্ষের পাশে বসতেন পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা। কয়েক দিন ধরেই তাঁর কক্ষ বন্ধ। সোমবার পর্যন্ত নতুন পরিদর্শক আসেননি।
সেখানকার একাধিক পুলিশ সদস্য বলেন, সোহেল রানা দিনের বেলায় থানায় আসতেন না, মাঝে মাঝে আসতেন রাতে। থানার কোনো গাড়িও তিনি ব্যবহার করতেন না। সহকারী উপপরিদর্শক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা জানান, আড়াই বছর তিনি এ থানায় আছেন। সোহেল রানার সঙ্গে দেখা হয়েছে তিন-চারবার। কিন্তু কোনো কথা হয়নি। তিনি সব সময় খুব ব্যস্ত থাকতেন।
জানতে চাইলে বনানী থানার ওসি নুরে আজম মিয়া বলেন, সোহেল রানার কাজ তদন্তের বিষয়টি দেখভাল করা। তিনি সেটাই করতেন। গত বৃহস্পতিবার সোহেল রানা অফিস করেছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পরিদর্শক সোহেল রানা ঘুরেফিরে গুলশান এলাকাতেই প্রায় ১০ বছর চাকরি করছেন। বেশির ভাগ সময়েই ছিলেন গুলশান ও বনানী থানায়। মাঝখানে একবার ডিবিতে বদলি হলেও আবার গুলশানে ফিরে আসেন। কূটনৈতিক পাড়ায় দায়িত্ব থাকার সুবাদে ভিসা সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়েন। গুলশান এলাকার অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেও অভিযোগ আছে।
সোহেল রানা গ্রেপ্তারের পর তাঁর শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের বিষয়টি উঠে আসছে। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনেও এসব উল্লেখ রয়েছে। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলশানের শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজরভ্যালির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। এ ছাড়াও তাঁর আরও তিনটি ফ্ল্যাট আছে। নিকেতনের একটি ফ্ল্যাটে সাগর নামে তাঁর এক আত্মীয় থাকেন। একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আছে তাঁর। খাগড়াছড়িতে রিসোর্টের জন্য জায়গা কেনা আছে তাঁর নামে। থাইল্যান্ডের পাতায়াতে জমি ও ফ্ল্যাটের পাশাপাশি হিলটন হোটেলের পাশে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেন। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে প্রায় ৫০০ বিঘা জমির মালিক তিনি।
আজকের পত্রিকার টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধি জানান, সাড়ে তিন বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার পর সোহেল রানা গ্রামে আসেন। গ্রামে তিনি খুব বেশি আসতেন না। তাঁর গ্রামের বাড়িতে সৎমা থাকেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার গোপালপুর ইউনিয়নের জোয়ালিয়া স্কুলের পেছনে ১২ বিঘা জমির ওপর তাঁর একটি মাছের ঘের রয়েছে। আছে বেনামে আরও কিছু জমিজমা।
একজন পুলিশ সদস্যের বেপরোয়া চলাফেরা ও অবৈধ সম্পদের হদিস কি পুলিশ জানত না? এ প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কাজ চলছে। তাঁকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই সব জানা যাবে।
দুদকের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ই-অরেঞ্জের অভিযুক্তদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করা হবে বলে জানান। গতকাল সোমবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথ্য দিলে অনুসন্ধান করবে দুদক।
এদিকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ছয়জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এই নিষেধাজ্ঞা দেন। সোহেল রানা ছাড়া অন্যরা হলেন নাজনিন নাহার বিথী, কামরুল হাসান, আব্দুল কাদের, নূরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খান। গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ৩১ আগস্ট আদালতে মামলা করা হয়। রোববার মামলাটি গুলশান থানায় নিবন্ধন করা হয়।
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পরিচালক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা। প্রতারণার ঘটনায় গুলশান ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় পৃথক দুটি মামলায় সোহেল রানার বোন মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
সোহেল রানার নানা কর্মকাণ্ড ও প্রকাশ্য ব্যবসা করা নিয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে কথা বলা হয় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুলিশের একজন কর্মকর্তা এভাবে ব্যবসা করতে পারেন না। তাঁর আয়-ব্যয় সরকারকে জানাতে হয়। তিনি অফিসে কতটুকু কীভাবে কাজ করেন, তার তত্ত্বাবধান করেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সঠিকভাবে তত্ত্বাবধান করেননি। সোহেল রানা অপরাধ করেছেন। কিন্তু এ ধরনের ঘটনায় তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তাদেরও গাফিলতি কম নেই।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘স্যারের হাই জ্যাক। বড় বড় লোকজনের সঙ্গে ওঠাবসা। মন চাইলে অফিসে আসতেন, না হলে নয়। গত সাত মাসে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে মাত্র তিনবার। সাত দিন ধরে তিনি থানায়ই আসেননি। বড় সাহেবদের সঙ্গে ওঠাবসা তো...।
রাজধানীর বনানী থানার একজন পুলিশ সদস্য এটুকু বলেই থেমে যান। তাঁর অভিমত, পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা ছিলেন নিয়ন্ত্রণহীন। কোনো কিছুই তিনি তোয়াক্কা করতেন না। পুলিশ কর্মকর্তারা এসব জেনেও নীরব থাকতেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শেষ যখন তিনি থানায় আসেন, নিজের দামি গাড়িতে আসেন। তাঁর গাড়ি থানার বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল। সবাই জানতেন, তিনি শত শত কোটি টাকার মালিক।
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় গত শুক্রবার ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা। এরপরই তাঁর বিপুল সম্পদের হদিস আর অবৈধ ব্যবসার বিষয়টি আলোচনায় আসতে শুরু করে। কিন্তু তার আগে প্রশ্ন ওঠে, দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা কি নিজেদের কর্মকর্তার এসব অপকর্মের কথা জানতেন না?
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) আনিসুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন ডিসি মিডিয়া। ডিসি মিডিয়া ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। মঙ্গলবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে বেরিয়ে আসবে তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা যিনি ছিলেন তিনি কমিশনারকে কিছু জানিয়েছিলেন কি না। তাঁর তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা ছিলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি)। তদন্তে কার কতটুকু গাফিলতি আছে, সেটা বেরিয়ে আসবে। তদন্তে যদি গাফিলতি পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বনানী থানায় ঢুকেই হাতের বাঁয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়ার কক্ষ। তারপর সোজাসুজি ডিউটি অফিসারের কক্ষ। ডিউটি অফিসারের কক্ষের পাশে বসতেন পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা। কয়েক দিন ধরেই তাঁর কক্ষ বন্ধ। সোমবার পর্যন্ত নতুন পরিদর্শক আসেননি।
সেখানকার একাধিক পুলিশ সদস্য বলেন, সোহেল রানা দিনের বেলায় থানায় আসতেন না, মাঝে মাঝে আসতেন রাতে। থানার কোনো গাড়িও তিনি ব্যবহার করতেন না। সহকারী উপপরিদর্শক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা জানান, আড়াই বছর তিনি এ থানায় আছেন। সোহেল রানার সঙ্গে দেখা হয়েছে তিন-চারবার। কিন্তু কোনো কথা হয়নি। তিনি সব সময় খুব ব্যস্ত থাকতেন।
জানতে চাইলে বনানী থানার ওসি নুরে আজম মিয়া বলেন, সোহেল রানার কাজ তদন্তের বিষয়টি দেখভাল করা। তিনি সেটাই করতেন। গত বৃহস্পতিবার সোহেল রানা অফিস করেছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পরিদর্শক সোহেল রানা ঘুরেফিরে গুলশান এলাকাতেই প্রায় ১০ বছর চাকরি করছেন। বেশির ভাগ সময়েই ছিলেন গুলশান ও বনানী থানায়। মাঝখানে একবার ডিবিতে বদলি হলেও আবার গুলশানে ফিরে আসেন। কূটনৈতিক পাড়ায় দায়িত্ব থাকার সুবাদে ভিসা সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়েন। গুলশান এলাকার অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেও অভিযোগ আছে।
সোহেল রানা গ্রেপ্তারের পর তাঁর শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের বিষয়টি উঠে আসছে। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনেও এসব উল্লেখ রয়েছে। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলশানের শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজরভ্যালির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। এ ছাড়াও তাঁর আরও তিনটি ফ্ল্যাট আছে। নিকেতনের একটি ফ্ল্যাটে সাগর নামে তাঁর এক আত্মীয় থাকেন। একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আছে তাঁর। খাগড়াছড়িতে রিসোর্টের জন্য জায়গা কেনা আছে তাঁর নামে। থাইল্যান্ডের পাতায়াতে জমি ও ফ্ল্যাটের পাশাপাশি হিলটন হোটেলের পাশে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেন। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে প্রায় ৫০০ বিঘা জমির মালিক তিনি।
আজকের পত্রিকার টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধি জানান, সাড়ে তিন বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার পর সোহেল রানা গ্রামে আসেন। গ্রামে তিনি খুব বেশি আসতেন না। তাঁর গ্রামের বাড়িতে সৎমা থাকেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার গোপালপুর ইউনিয়নের জোয়ালিয়া স্কুলের পেছনে ১২ বিঘা জমির ওপর তাঁর একটি মাছের ঘের রয়েছে। আছে বেনামে আরও কিছু জমিজমা।
একজন পুলিশ সদস্যের বেপরোয়া চলাফেরা ও অবৈধ সম্পদের হদিস কি পুলিশ জানত না? এ প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কাজ চলছে। তাঁকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই সব জানা যাবে।
দুদকের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ই-অরেঞ্জের অভিযুক্তদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করা হবে বলে জানান। গতকাল সোমবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথ্য দিলে অনুসন্ধান করবে দুদক।
এদিকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ছয়জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এই নিষেধাজ্ঞা দেন। সোহেল রানা ছাড়া অন্যরা হলেন নাজনিন নাহার বিথী, কামরুল হাসান, আব্দুল কাদের, নূরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খান। গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ৩১ আগস্ট আদালতে মামলা করা হয়। রোববার মামলাটি গুলশান থানায় নিবন্ধন করা হয়।
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পরিচালক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা। প্রতারণার ঘটনায় গুলশান ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় পৃথক দুটি মামলায় সোহেল রানার বোন মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
সোহেল রানার নানা কর্মকাণ্ড ও প্রকাশ্য ব্যবসা করা নিয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে কথা বলা হয় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুলিশের একজন কর্মকর্তা এভাবে ব্যবসা করতে পারেন না। তাঁর আয়-ব্যয় সরকারকে জানাতে হয়। তিনি অফিসে কতটুকু কীভাবে কাজ করেন, তার তত্ত্বাবধান করেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সঠিকভাবে তত্ত্বাবধান করেননি। সোহেল রানা অপরাধ করেছেন। কিন্তু এ ধরনের ঘটনায় তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তাদেরও গাফিলতি কম নেই।’

‘স্যারের হাই জ্যাক। বড় বড় লোকজনের সঙ্গে ওঠাবসা। মন চাইলে অফিসে আসতেন, না হলে নয়। গত সাত মাসে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে মাত্র তিনবার। সাত দিন ধরে তিনি থানায়ই আসেননি। বড় সাহেবদের সঙ্গে ওঠাবসা তো...।
রাজধানীর বনানী থানার একজন পুলিশ সদস্য এটুকু বলেই থেমে যান। তাঁর অভিমত, পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা ছিলেন নিয়ন্ত্রণহীন। কোনো কিছুই তিনি তোয়াক্কা করতেন না। পুলিশ কর্মকর্তারা এসব জেনেও নীরব থাকতেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শেষ যখন তিনি থানায় আসেন, নিজের দামি গাড়িতে আসেন। তাঁর গাড়ি থানার বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল। সবাই জানতেন, তিনি শত শত কোটি টাকার মালিক।
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় গত শুক্রবার ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা। এরপরই তাঁর বিপুল সম্পদের হদিস আর অবৈধ ব্যবসার বিষয়টি আলোচনায় আসতে শুরু করে। কিন্তু তার আগে প্রশ্ন ওঠে, দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা কি নিজেদের কর্মকর্তার এসব অপকর্মের কথা জানতেন না?
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) আনিসুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন ডিসি মিডিয়া। ডিসি মিডিয়া ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। মঙ্গলবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে বেরিয়ে আসবে তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা যিনি ছিলেন তিনি কমিশনারকে কিছু জানিয়েছিলেন কি না। তাঁর তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা ছিলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি)। তদন্তে কার কতটুকু গাফিলতি আছে, সেটা বেরিয়ে আসবে। তদন্তে যদি গাফিলতি পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বনানী থানায় ঢুকেই হাতের বাঁয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়ার কক্ষ। তারপর সোজাসুজি ডিউটি অফিসারের কক্ষ। ডিউটি অফিসারের কক্ষের পাশে বসতেন পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা। কয়েক দিন ধরেই তাঁর কক্ষ বন্ধ। সোমবার পর্যন্ত নতুন পরিদর্শক আসেননি।
সেখানকার একাধিক পুলিশ সদস্য বলেন, সোহেল রানা দিনের বেলায় থানায় আসতেন না, মাঝে মাঝে আসতেন রাতে। থানার কোনো গাড়িও তিনি ব্যবহার করতেন না। সহকারী উপপরিদর্শক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা জানান, আড়াই বছর তিনি এ থানায় আছেন। সোহেল রানার সঙ্গে দেখা হয়েছে তিন-চারবার। কিন্তু কোনো কথা হয়নি। তিনি সব সময় খুব ব্যস্ত থাকতেন।
জানতে চাইলে বনানী থানার ওসি নুরে আজম মিয়া বলেন, সোহেল রানার কাজ তদন্তের বিষয়টি দেখভাল করা। তিনি সেটাই করতেন। গত বৃহস্পতিবার সোহেল রানা অফিস করেছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পরিদর্শক সোহেল রানা ঘুরেফিরে গুলশান এলাকাতেই প্রায় ১০ বছর চাকরি করছেন। বেশির ভাগ সময়েই ছিলেন গুলশান ও বনানী থানায়। মাঝখানে একবার ডিবিতে বদলি হলেও আবার গুলশানে ফিরে আসেন। কূটনৈতিক পাড়ায় দায়িত্ব থাকার সুবাদে ভিসা সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়েন। গুলশান এলাকার অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেও অভিযোগ আছে।
সোহেল রানা গ্রেপ্তারের পর তাঁর শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের বিষয়টি উঠে আসছে। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনেও এসব উল্লেখ রয়েছে। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলশানের শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজরভ্যালির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। এ ছাড়াও তাঁর আরও তিনটি ফ্ল্যাট আছে। নিকেতনের একটি ফ্ল্যাটে সাগর নামে তাঁর এক আত্মীয় থাকেন। একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আছে তাঁর। খাগড়াছড়িতে রিসোর্টের জন্য জায়গা কেনা আছে তাঁর নামে। থাইল্যান্ডের পাতায়াতে জমি ও ফ্ল্যাটের পাশাপাশি হিলটন হোটেলের পাশে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেন। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে প্রায় ৫০০ বিঘা জমির মালিক তিনি।
আজকের পত্রিকার টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধি জানান, সাড়ে তিন বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার পর সোহেল রানা গ্রামে আসেন। গ্রামে তিনি খুব বেশি আসতেন না। তাঁর গ্রামের বাড়িতে সৎমা থাকেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার গোপালপুর ইউনিয়নের জোয়ালিয়া স্কুলের পেছনে ১২ বিঘা জমির ওপর তাঁর একটি মাছের ঘের রয়েছে। আছে বেনামে আরও কিছু জমিজমা।
একজন পুলিশ সদস্যের বেপরোয়া চলাফেরা ও অবৈধ সম্পদের হদিস কি পুলিশ জানত না? এ প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কাজ চলছে। তাঁকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই সব জানা যাবে।
দুদকের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ই-অরেঞ্জের অভিযুক্তদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করা হবে বলে জানান। গতকাল সোমবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথ্য দিলে অনুসন্ধান করবে দুদক।
এদিকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ছয়জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এই নিষেধাজ্ঞা দেন। সোহেল রানা ছাড়া অন্যরা হলেন নাজনিন নাহার বিথী, কামরুল হাসান, আব্দুল কাদের, নূরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খান। গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ৩১ আগস্ট আদালতে মামলা করা হয়। রোববার মামলাটি গুলশান থানায় নিবন্ধন করা হয়।
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পরিচালক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা। প্রতারণার ঘটনায় গুলশান ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় পৃথক দুটি মামলায় সোহেল রানার বোন মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
সোহেল রানার নানা কর্মকাণ্ড ও প্রকাশ্য ব্যবসা করা নিয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে কথা বলা হয় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুলিশের একজন কর্মকর্তা এভাবে ব্যবসা করতে পারেন না। তাঁর আয়-ব্যয় সরকারকে জানাতে হয়। তিনি অফিসে কতটুকু কীভাবে কাজ করেন, তার তত্ত্বাবধান করেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সঠিকভাবে তত্ত্বাবধান করেননি। সোহেল রানা অপরাধ করেছেন। কিন্তু এ ধরনের ঘটনায় তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তাদেরও গাফিলতি কম নেই।’

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৩ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

‘স্যারের হাই জ্যাক। বড় বড় লোকজনের সঙ্গে ওঠাবসা। মন চাইলে অফিসে আসতেন, না হলে নয়। গত সাত মাসে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে মাত্র তিনবার। সাত দিন ধরে তিনি থানায়ই আসেননি। বড় সাহেবদের সঙ্গে ওঠাবসা তো...।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৩ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

‘স্যারের হাই জ্যাক। বড় বড় লোকজনের সঙ্গে ওঠাবসা। মন চাইলে অফিসে আসতেন, না হলে নয়। গত সাত মাসে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে মাত্র তিনবার। সাত দিন ধরে তিনি থানায়ই আসেননি। বড় সাহেবদের সঙ্গে ওঠাবসা তো...।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৩ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

‘স্যারের হাই জ্যাক। বড় বড় লোকজনের সঙ্গে ওঠাবসা। মন চাইলে অফিসে আসতেন, না হলে নয়। গত সাত মাসে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে মাত্র তিনবার। সাত দিন ধরে তিনি থানায়ই আসেননি। বড় সাহেবদের সঙ্গে ওঠাবসা তো...।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

‘স্যারের হাই জ্যাক। বড় বড় লোকজনের সঙ্গে ওঠাবসা। মন চাইলে অফিসে আসতেন, না হলে নয়। গত সাত মাসে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে মাত্র তিনবার। সাত দিন ধরে তিনি থানায়ই আসেননি। বড় সাহেবদের সঙ্গে ওঠাবসা তো...।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে