তারকা রূপবিশেষজ্ঞের পারলারে গোপন ক্যামেরা, জামিনে মুক্ত সব আসামি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮: ২০
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮: ২৪

রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ‘উইমেন্স ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি বিউটি পারলারের বিভিন্ন কক্ষে গোপনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে ভিডিও ধারণের অভিযোগে করা পর্নোগ্রাফি মামলায় জামিন পেয়েছেন সব আসামি। 

আজ রোববার এই মামলার প্রধান আসামি পারলারের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসলিমা চৌধুরী কণা আলমকেও জামিন দেওয়া হয়েছে। 

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশেক ইমাম আসামি তাসলিমা চৌধুরী কনা আলমকে জামিন দেন। তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত জামিন দেন। 

আদালত জামিন আদেশে উল্লেখ করেন, আসামি একজন নারী ও ৬৩ বছর বয়স্ক। নারী ও বয়স্ক বিবেচনায় এবং মামলার অন্যান্য আসামি জামিনে আছেন বিবেচনায় তাকে জামিন দেওয়া হল। 

এর আগে গতকাল শনিবার পারলারের পরিচালক তারকা রূপবিশেষজ্ঞ ও মেকওভার আর্টিস্ট ফারনাজ আলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার পর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ তাকে জামিন দেন। জামিন আদেশে ওইদিন আদালত উল্লেখ করেন আসামি একজন নারী এবং তিনি সন্তান সম্ভবা এই বিবেচনায় জামিন দেওয়া হল। 

এখন আর এই মামলায় কোনো আসামি গ্রেপ্তার হতে বাকি থাকল না। গত ২৬ ডিসেম্বর পার্লার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই তিনজন হলেন এমদাদুল হাসান (৫৩), তসলিম আরিফ ইলিয়াস (৫২) ও এইচ এম জুয়েল খন্দকার (৩৩)। আদালত সূত্রে জানা গেছে কয়েকদিনের মধ্যেই এই তিনজনও জামিন পান। 

সব আসামির জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতে ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মাহফুজ। তিনি বলেন, ‘আজ রোববার পারলারের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসলিমা চৌধুরী কণা আলমকে আত্মসমর্পণের পর জামিন দেওয়া হয়। এ নিয়ে এই মামলার পাঁচ আসামির সবাই জামিন পেলেন।’ 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ উইমেন্স ওয়ার্ল্ড বিউটি পারলারে অভিযান চালায়। এরপর পারলারের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ৮টি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডিং (ডিভিআর) মেশিন জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. একরামুল হক বাদী হয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ড পারলারের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসলিমা চৌধুরী কণা আলম এবং তাঁর মেয়ে পরিচালক ফারনাজ আলমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর তিন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশের একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেপ্তার কর্মচারীরা স্বীকার করেছেন, পারলারে আগত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীদের পোশাক পরিবর্তন ও ম্যাসেজ রুমে আপত্তিকর এবং স্পর্শকাতর ভিডিও অসৎ উদ্দেশ্যে ধারণ করা হয়েছে। 

সম্প্রতি এক নারী ওই পারলারে যান। তিনি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। পারলারের মধ্যে গোপন সিসি ক্যামেরা থাকার বিষয়টি প্রথম তাঁর নজরে আসে। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে সিসি ক্যামেরা জব্দ এবং তিনজনকে আটক করে। পরে এ ঘটনায় মামলা করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত