নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। সংক্রমণের লাগাম টানতে তিন সপ্তাহ ধরে চলছে লকডাউন। যদিও কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও চলছে গণপরিবহন। ঈদ সামনে রেখে দোকানপাট ও শপিং মলে লেগেই আছে উপচে পড়া ভিড়। সেখানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। যেভাবে মানুষ চলাফেরা করছে তাতে শিগগিরই করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তৃতীয় ঢেউ এড়াতে বারবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ করে যাচ্ছে করোনা মোকাবিলা–সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কিন্তু তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। কখনো দোকান মালিক, আবার কখনো পরিবহন মালিকদের চাপে বাস্তবায়ন করা যায়নি সরকার–ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন। স্থল ও আকাশপথে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা হলেও বিশেষ ব্যবস্থায় ফিরতে পারছেন দেশটিতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা। ফিরে আসা এসব বাংলাদেশির অনেকের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের নতুন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। প্রাণহানিও অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
জানতে চাইলে রিউমাটোলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা যে ভয়ংকর অবস্থা পার করছি, তাতে তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা প্রবলভাবেই আছে। বলা যেতে পারে, এটা হবে মহাতরঙ্গ, যার শুরুটা হবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে। এটি অনেক বেশি সংক্রমণশীল। টিকা নিয়েও তা থেকে মুক্তি পাওয়া দুষ্কর। এই মুহূর্তে ভারত থেকে কেউ যাতে দেশে ঢুকতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। অন্তত যত দিন ভারতের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তত দিন এটি আমাদের মানতেই হবে।
শপিং মলগুলোতে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. আতিকুল হক। তিনি বলেন, সরকারকে এসব বিষয় কঠোরভাবে দেখভাল করতে হবে। গার্মেন্টসগুলো আপাতত খোলা রাখাই ভালো। বলপ্রয়োগ করে হলেও অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলো লকডাউন করে দেওয়া উচিত। জেলা ও বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ডেলিভারি দেওয়া জরুরি।
ঈদ সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গত ২৫ এপ্রিল খুলে দেওয়া হয় শপিং মল। শর্ত ছিল, সেখানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কিন্তু বাস্তবে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজধানীর প্রতিটি শপিং মলে। বিশেষ করে কাপড়ের দোকানগুলোয় তিলধারণের ঠাঁই নেই। দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে, জরিমানা ও শাস্তি দিয়েও ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাচ্ছে না। এতে করে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের চিত্র দেখলে বোঝার উপায় নেই যে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার থেকে চালু হয়েছে গণপরিবহনও। শুধু অপেক্ষা দূরপাল্লার যান চলাচল শুরুর। সে ঈঙ্গিতও মিলেছে সরকারি কর্তাব্যক্তিদের কথায়।
গত বছরের জুলাই মাসে ঈদে ঘরমুখী মানুষের স্রোত ঠেকাতে না পারায় চরম বেপরোয়া রূপ নিয়েছিল করোনা। এবারও সেই শঙ্কা রয়েছে। এতে করে দেশে তৃতীয় ঢেউ প্রবেশ করতে পারে বলে মনে করছেন করোনা–সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লাহ।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই আছি। তবে যেকোনো মুহূর্তে তৃতীয় ঢেউ প্রবেশ করতে পারে। বিধিনিষেধ জারি থাকলেও ধীরে ধীরে দোকান, শপিং মলসহ সবকিছু খোলা রয়েছে। এর ফল আমরা দেখতে পারব ঈদের পর। গণপরিবহনের ক্ষেত্রেও বলা হয়েছে, ইন্টার ডিস্ট্রিক্ট চালাতে পারবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে। কিন্তু বাস্তবে কতটা এটি পালন হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারপরও যদি এটাকে ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা যেত, তাহলেও সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হতো।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে ইতিমধ্যে তৃতীয় ঢেউ প্রবেশ করার মুখে। তার মানে, আমরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে এখন। দ্রুতই হয়তো বাংলাদেশে সেটি প্রবেশ করবে। এ জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য সীমান্তপথে প্রবেশ বন্ধ করে দিতে হবে। নতুবা এর ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বাঁচা সম্ভব হবে না।’
৩৬ দিন পর দিনে পঞ্চাশের কম মৃত্যু: দেশে এক দিনে করোনাভাইরাস শনাক্ত এপ্রিলের চেয়ে কমার পর এবার কমল মৃত্যুও। এর মধ্য দিয়ে টানা ৩৬ দিন করোনায় এক দিনে মৃত্যু পঞ্চাশের বেশি থাকার পর গতকাল তা পঞ্চাশের নিচে নেমে এল। শনাক্তের সংখ্যাও ছিল দুই হাজারের কম।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার করোনা আপডেট জানানো হয়।
নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮২২ জনের। এর মধ্য দিয়ে টানা ৬ দিন এক দিনে দুই হাজারের কম শনাক্ত হলো। এপ্রিলের চিত্রের ভয়াবহতা কাটিয়ে মে মাস আশার বার্তা দিচ্ছে। চলতি মাসে এ পর্যন্ত কখনো করোনায় এক দিনে শনাক্ত দুই হাজার পেরোয়নি।
করোনায় এক দিনে মৃত্যুতেও ছিল নিম্নমুখী প্রবণতা। নতুন করে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪১ জন। এর মধ্য দিয়ে টানা ৩৬ দিন এক দিনে মৃত্যুর সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি থাকার পর গতকাল তা কমল। এর আগে গত ৩০ মার্চ এক দিনে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়।
এক দিনের হিসাবে গতকালের চেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল গত ২৮ মার্চ। সেদিন ৩৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর গত ৩৭ দিনে তা এর নিচে নামেনি।
করোনা থেকেই মুক্তি লাভ করার সংখ্যা পেরিয়েছে ৭ লাখ। গতকাল নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হারও ছিল কম। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
ঢাকা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। সংক্রমণের লাগাম টানতে তিন সপ্তাহ ধরে চলছে লকডাউন। যদিও কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও চলছে গণপরিবহন। ঈদ সামনে রেখে দোকানপাট ও শপিং মলে লেগেই আছে উপচে পড়া ভিড়। সেখানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। যেভাবে মানুষ চলাফেরা করছে তাতে শিগগিরই করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তৃতীয় ঢেউ এড়াতে বারবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ করে যাচ্ছে করোনা মোকাবিলা–সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কিন্তু তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। কখনো দোকান মালিক, আবার কখনো পরিবহন মালিকদের চাপে বাস্তবায়ন করা যায়নি সরকার–ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন। স্থল ও আকাশপথে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা হলেও বিশেষ ব্যবস্থায় ফিরতে পারছেন দেশটিতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা। ফিরে আসা এসব বাংলাদেশির অনেকের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের নতুন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। প্রাণহানিও অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
জানতে চাইলে রিউমাটোলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা যে ভয়ংকর অবস্থা পার করছি, তাতে তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা প্রবলভাবেই আছে। বলা যেতে পারে, এটা হবে মহাতরঙ্গ, যার শুরুটা হবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে। এটি অনেক বেশি সংক্রমণশীল। টিকা নিয়েও তা থেকে মুক্তি পাওয়া দুষ্কর। এই মুহূর্তে ভারত থেকে কেউ যাতে দেশে ঢুকতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। অন্তত যত দিন ভারতের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তত দিন এটি আমাদের মানতেই হবে।
শপিং মলগুলোতে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. আতিকুল হক। তিনি বলেন, সরকারকে এসব বিষয় কঠোরভাবে দেখভাল করতে হবে। গার্মেন্টসগুলো আপাতত খোলা রাখাই ভালো। বলপ্রয়োগ করে হলেও অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলো লকডাউন করে দেওয়া উচিত। জেলা ও বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ডেলিভারি দেওয়া জরুরি।
ঈদ সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গত ২৫ এপ্রিল খুলে দেওয়া হয় শপিং মল। শর্ত ছিল, সেখানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কিন্তু বাস্তবে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজধানীর প্রতিটি শপিং মলে। বিশেষ করে কাপড়ের দোকানগুলোয় তিলধারণের ঠাঁই নেই। দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে, জরিমানা ও শাস্তি দিয়েও ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাচ্ছে না। এতে করে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের চিত্র দেখলে বোঝার উপায় নেই যে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার থেকে চালু হয়েছে গণপরিবহনও। শুধু অপেক্ষা দূরপাল্লার যান চলাচল শুরুর। সে ঈঙ্গিতও মিলেছে সরকারি কর্তাব্যক্তিদের কথায়।
গত বছরের জুলাই মাসে ঈদে ঘরমুখী মানুষের স্রোত ঠেকাতে না পারায় চরম বেপরোয়া রূপ নিয়েছিল করোনা। এবারও সেই শঙ্কা রয়েছে। এতে করে দেশে তৃতীয় ঢেউ প্রবেশ করতে পারে বলে মনে করছেন করোনা–সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লাহ।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই আছি। তবে যেকোনো মুহূর্তে তৃতীয় ঢেউ প্রবেশ করতে পারে। বিধিনিষেধ জারি থাকলেও ধীরে ধীরে দোকান, শপিং মলসহ সবকিছু খোলা রয়েছে। এর ফল আমরা দেখতে পারব ঈদের পর। গণপরিবহনের ক্ষেত্রেও বলা হয়েছে, ইন্টার ডিস্ট্রিক্ট চালাতে পারবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে। কিন্তু বাস্তবে কতটা এটি পালন হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারপরও যদি এটাকে ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা যেত, তাহলেও সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হতো।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে ইতিমধ্যে তৃতীয় ঢেউ প্রবেশ করার মুখে। তার মানে, আমরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে এখন। দ্রুতই হয়তো বাংলাদেশে সেটি প্রবেশ করবে। এ জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য সীমান্তপথে প্রবেশ বন্ধ করে দিতে হবে। নতুবা এর ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বাঁচা সম্ভব হবে না।’
৩৬ দিন পর দিনে পঞ্চাশের কম মৃত্যু: দেশে এক দিনে করোনাভাইরাস শনাক্ত এপ্রিলের চেয়ে কমার পর এবার কমল মৃত্যুও। এর মধ্য দিয়ে টানা ৩৬ দিন করোনায় এক দিনে মৃত্যু পঞ্চাশের বেশি থাকার পর গতকাল তা পঞ্চাশের নিচে নেমে এল। শনাক্তের সংখ্যাও ছিল দুই হাজারের কম।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার করোনা আপডেট জানানো হয়।
নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮২২ জনের। এর মধ্য দিয়ে টানা ৬ দিন এক দিনে দুই হাজারের কম শনাক্ত হলো। এপ্রিলের চিত্রের ভয়াবহতা কাটিয়ে মে মাস আশার বার্তা দিচ্ছে। চলতি মাসে এ পর্যন্ত কখনো করোনায় এক দিনে শনাক্ত দুই হাজার পেরোয়নি।
করোনায় এক দিনে মৃত্যুতেও ছিল নিম্নমুখী প্রবণতা। নতুন করে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪১ জন। এর মধ্য দিয়ে টানা ৩৬ দিন এক দিনে মৃত্যুর সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি থাকার পর গতকাল তা কমল। এর আগে গত ৩০ মার্চ এক দিনে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়।
এক দিনের হিসাবে গতকালের চেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল গত ২৮ মার্চ। সেদিন ৩৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর গত ৩৭ দিনে তা এর নিচে নামেনি।
করোনা থেকেই মুক্তি লাভ করার সংখ্যা পেরিয়েছে ৭ লাখ। গতকাল নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হারও ছিল কম। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
অবৈধ লেভেল ক্রসিং দিয়ে পারাপারের সময় ঢাকা–চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লার বুড়িচংয়ে প্রাণ হারিয়েছে অটোরিকশার ৬ আরোহী। এ ঘটনায় নিহতের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল।
২৯ মিনিট আগেস্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে রাস্তা অবরোধ না করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে। কিংবা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে। আমরা চাই শান্তিপ্রিয় সমাধান।’
১ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর ডিমলায় তৃতীয় বিয়ে করায় যুবকের বিশেষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে দ্বিতীয় স্ত্রী। আজ মঙ্গলবার সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত স্ত্রী।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দ্রুত গতির মাইক্রোবাসের ধাক্কায় আতর বানু (৭৭) নামের এক নারী নিহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ডের কড়াইতালা এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
১ ঘণ্টা আগে