অরক্ষিত সাটুরিয়ার গণকবর

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ২৩: ১০

স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও আজও অরক্ষিত ভাবে পরে আছে সাটুরিয়ার গণকবরটি। অধিকাংশ জায়গা বেদখল। বাকি জায়গায় কলাগাছ ও আগাছায় ঢেকে আছে। একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধারা প্রতি বছর ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর আসলেই মোনাজাত করে দোয়া করে তাঁদের দায় সারেন। আজও কোনো স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করতে পারেনি প্রশাসন। সেই ৭১ সালের গণকবরটি এখনো অরক্ষিত। 

আজ বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুটি খুঁটি দিয়ে টানানো আছে একটা সাইনবোর্ড। তাতে লেখা আছে ‘সাটুরিয়া বধ্যভূমি’। গণকবরের পূর্ব পাশ আটকিয়ে বসত বাড়ি নির্মাণ করেছেন এক ব্যক্তি। আর পশ্চিম পাশে একটি এনজিও দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে। বাকি জায়গায় কলাগাছ ও আগাছায় ঢেকে আছে। 

সাটুরিয়া উপজেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে, ৭২ শতাংশ জমির ওপর সাটুরিয়ার গণকবর সংরক্ষণ করার জন্য দুইবার বাজেট আসে। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে টাকাগুলো দুইবারই ফেরত গেছে। সারা দেশে গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ করার নির্দেশ থাকলেও সাটুরিয়ার গণকবর চিহ্নিত করার পরও করা সম্ভব হয়নি বলে জানানো হয়। 

সাটুরিয়া উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ খ ম নূরুল হক বলেন, সাটুরিয়ার গণকবরটি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন বছরে দুইবার কবর জিয়ারত করেই দায় সারেন। কিন্তু দুঃখের সহিত বলতে হয় যারা দেশের জন্য জীবন দিল আর তাঁদের স্মৃতিটুকু রক্ষা করতে পারলাম না। বিষয়টি অতি কষ্টের। দখলকারীরা বহুতল ভবন বানিয়ে গণকবরের বেশির ভাগ জায়গা দখল করে ৫০ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। ওই জায়গা ফেরত আনা সময় সাপেক্ষ। গণকবরের যেটুকু জায়গা এখন আছে সেখানেই একটি স্মৃতি স্তম্ভ করার আহ্বান জানান তিনি। 

এ বিষয়ে সাটুরিয়ার ইউএনও শারমিন আরা বলেন, এত দিন পরে হলেও ১৯ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। খুব শিগগিরই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত