নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৭ নেতাকে গুম, নির্যাতন ও পঙ্গু করার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় পৃথকভাবে সাতটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যাদের মধ্যে ৬ জন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তবে একজন এখনো গুম থাকায় তার পক্ষে স্বজনরা অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারীরা হলেন, দেলোয়ার হোসেন মিশু, নুরুল আমিন, মো. আলমগীর হোসেন, আব্দুল করিম, মো. জনি ইসলাম এবং সাইফুল ইসলাম। আর কামরুজ্জামান এখনো নিখোঁজ। অভিযোগ দায়েরর ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও সহকারী আইন সম্পাদক আমানুল্লাহ আদিব।
পৃথক সাতটি ঘটনায় র্যাব, পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৫৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
অভিযোগগুলোতে জানানো হয়, মো. জনি ইসলাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শাখার কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনি ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে পড়াশোনা করার সময় রাত ১১টার দিকে প্রশাসন ও ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন বাড়ির পড়ার টেবিল থেকে উঠিয়ে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে গিয়েই রাত ১২টার পর থেকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে চালানো হয় চরম বর্বরতা। রাত দেড়টার পর তাকে থানা থেকে বের করে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দাঁততলা নামক স্থানের একটি আম বাগানে। সেখানে তাকে বাম পায়ে শটগান ঠেকিয়ে ৩টি গুলি করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকলেও কোনো চিকিৎসা নিতে দেয়নি।
মো. আব্দুল করিম ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার কর্মী ছিলেন। ২০১৩ সালের ৩ মার্চ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে এবং মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আকস্মিকভাবে হামলা ও গুলি চালায়। একপর্যায়ে একটি বুলেট এসে তার মেরুদণ্ডে লাগে। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১১ বছর যাবৎ চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
মো. আলমগীর হোসেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের জনশক্তি ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের প্রতিবাদে মির্জাপুর বাজার থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। মিছিলে পুলিশ, বিজিবি এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গুলি চালাতে থাকে। একটি বুলেট এসে তার ডান কানে লাগে। সে আহত অবস্থায় পড়ে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে ওঠানোর সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাকে ছিনিয়ে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। গত ১১ বছর ধরে তার চিকিৎসা চলছে।
মো. দেলোয়ার হোসেন মিশু নোয়াখালীর মাইজদী থানা সেক্রেটারি ছিলেন। ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নোয়াখালীর মাইজদী পৌর বাজার থেকে শান্তিপূর্ণ মিছিল শুরু হলে পুলিশ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। ওই সময় একটি রাবার বুলেট তার ডান চোখে আঘাত করে। এরপর চিরদিনের জন্য তার এই চোখের আলো নিভে যায়।
মো. সাইফুল ইসলাম তারেক ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্থানীয় থানার কর্মী ছিলেন। ২০১৭ সালের ১৪ জুন সাদা পোশাকে র্যাব তাকে নিজ বাড়ির আঙিনা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের নামে চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। ২০২০ সালের ১৯ জুন ময়মনসিংহে র্যাব-১৫ তে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন তাকে ফুলবাড়িয়া থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হলে ১০ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি মেলে।
মো. নুরুল আমিন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাটারা থানা সভাপতি ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষার্থী ঢাকা থেকে গুম হওয়ার পর তাদের সন্ধানে গুলশান থানায় ২০১৩ সালের ২৬ জুন সাধারণ ডায়েরি করে গুলশান আজাদ মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। মসজিদ থেকে বের হলে সাদা পোশাকে র্যাবের একটি টিম তাকে ও আব্দুস সালাম নামে শিবিরের আরেক নেতাকে ধরে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয় এবং চোখ বেঁধে ফেলে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে নিয়মিতই নির্যাতনের শিকার হতে হতো। ৩ মাস ১৫ দিন পর হঠাৎ একদিন রাত ৩টার দিকে গাড়িতে করে চোখবাধা অবস্থায় নূরুল আমিনকে মানিকগঞ্জের ঘিওর এবং আব্দুস সালামকে সাভারের ফেলে দেওয়া হয়।
মো. কামারুজ্জামান ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঝিনাইদহের তৎকালীন রতনহাট উপজেলার একটি ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০১৭ সালের ৪ মে সে তার বন্ধুর বাসায় যান। হঠাৎ রাত ২টার দিকে সাদা পোশাকে ৮-১০ জন লোক এসে জোরপূর্বক কামারুজ্জামানকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে এখনো পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৭ নেতাকে গুম, নির্যাতন ও পঙ্গু করার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় পৃথকভাবে সাতটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যাদের মধ্যে ৬ জন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তবে একজন এখনো গুম থাকায় তার পক্ষে স্বজনরা অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারীরা হলেন, দেলোয়ার হোসেন মিশু, নুরুল আমিন, মো. আলমগীর হোসেন, আব্দুল করিম, মো. জনি ইসলাম এবং সাইফুল ইসলাম। আর কামরুজ্জামান এখনো নিখোঁজ। অভিযোগ দায়েরর ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও সহকারী আইন সম্পাদক আমানুল্লাহ আদিব।
পৃথক সাতটি ঘটনায় র্যাব, পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৫৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
অভিযোগগুলোতে জানানো হয়, মো. জনি ইসলাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শাখার কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনি ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে পড়াশোনা করার সময় রাত ১১টার দিকে প্রশাসন ও ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন বাড়ির পড়ার টেবিল থেকে উঠিয়ে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে গিয়েই রাত ১২টার পর থেকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে চালানো হয় চরম বর্বরতা। রাত দেড়টার পর তাকে থানা থেকে বের করে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দাঁততলা নামক স্থানের একটি আম বাগানে। সেখানে তাকে বাম পায়ে শটগান ঠেকিয়ে ৩টি গুলি করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকলেও কোনো চিকিৎসা নিতে দেয়নি।
মো. আব্দুল করিম ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার কর্মী ছিলেন। ২০১৩ সালের ৩ মার্চ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে এবং মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আকস্মিকভাবে হামলা ও গুলি চালায়। একপর্যায়ে একটি বুলেট এসে তার মেরুদণ্ডে লাগে। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১১ বছর যাবৎ চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
মো. আলমগীর হোসেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের জনশক্তি ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের প্রতিবাদে মির্জাপুর বাজার থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। মিছিলে পুলিশ, বিজিবি এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গুলি চালাতে থাকে। একটি বুলেট এসে তার ডান কানে লাগে। সে আহত অবস্থায় পড়ে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে ওঠানোর সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাকে ছিনিয়ে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। গত ১১ বছর ধরে তার চিকিৎসা চলছে।
মো. দেলোয়ার হোসেন মিশু নোয়াখালীর মাইজদী থানা সেক্রেটারি ছিলেন। ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নোয়াখালীর মাইজদী পৌর বাজার থেকে শান্তিপূর্ণ মিছিল শুরু হলে পুলিশ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। ওই সময় একটি রাবার বুলেট তার ডান চোখে আঘাত করে। এরপর চিরদিনের জন্য তার এই চোখের আলো নিভে যায়।
মো. সাইফুল ইসলাম তারেক ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্থানীয় থানার কর্মী ছিলেন। ২০১৭ সালের ১৪ জুন সাদা পোশাকে র্যাব তাকে নিজ বাড়ির আঙিনা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের নামে চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। ২০২০ সালের ১৯ জুন ময়মনসিংহে র্যাব-১৫ তে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন তাকে ফুলবাড়িয়া থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হলে ১০ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি মেলে।
মো. নুরুল আমিন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাটারা থানা সভাপতি ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষার্থী ঢাকা থেকে গুম হওয়ার পর তাদের সন্ধানে গুলশান থানায় ২০১৩ সালের ২৬ জুন সাধারণ ডায়েরি করে গুলশান আজাদ মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। মসজিদ থেকে বের হলে সাদা পোশাকে র্যাবের একটি টিম তাকে ও আব্দুস সালাম নামে শিবিরের আরেক নেতাকে ধরে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয় এবং চোখ বেঁধে ফেলে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে নিয়মিতই নির্যাতনের শিকার হতে হতো। ৩ মাস ১৫ দিন পর হঠাৎ একদিন রাত ৩টার দিকে গাড়িতে করে চোখবাধা অবস্থায় নূরুল আমিনকে মানিকগঞ্জের ঘিওর এবং আব্দুস সালামকে সাভারের ফেলে দেওয়া হয়।
মো. কামারুজ্জামান ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঝিনাইদহের তৎকালীন রতনহাট উপজেলার একটি ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০১৭ সালের ৪ মে সে তার বন্ধুর বাসায় যান। হঠাৎ রাত ২টার দিকে সাদা পোশাকে ৮-১০ জন লোক এসে জোরপূর্বক কামারুজ্জামানকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে এখনো পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৩ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৩ ঘণ্টা আগে