কালিগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দ্বারা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে দেশ পুনরায় স্বাভাবিক গতিতে চলতে শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সড়কে যানবাহনের চাপ না থাকলেও ধীরে ধীরে তা বাড়ছে। কিছুক্ষণ পরপর ব্যস্ততম মোড়গুলোতে দেখা যাচ্ছে স্বল্প আকারের যানজট। আর এই যানজট নিপুণ দক্ষতায় নিরসন করে যাচ্ছেন কলেজ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গাজীপুর কালীগঞ্জের টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় কলেজ শিক্ষার্থীরা সড়কের মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে যানজট নিরসনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই দায়িত্বে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই সড়কের ব্যস্ততম তিনটি পয়েন্টে যানজট নিরসনে কাজ করছেন। দেশ যত দিন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসবে তত দিন শিক্ষার্থীরা তাদের এই সেবা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার কালীগঞ্জ পৌর বাজার বাসস্ট্যান্ডের বটতলা এলাকা, পুরাতন ব্যাংকের মোড় এবং কাপাসিয়া মোড়ে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট ১৫ জন শিক্ষার্থী এই দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে। এ সময় বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকেরা কর্মরত শিক্ষার্থীদের কোমল পানীয় বিতরণ করেন।
কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজের শিক্ষার্থী এবং ওই কলেজের রোভার স্কাউটের অধিনায়ক নাদিমুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা দেশ থেকে অন্যায়, অপরাধ ও জুলুমবাজদের বিদায় করেছি। সেই সঙ্গে আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে নিয়েছি। ঘটে যাওয়া সহিংসতায় সারা দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন এগুলোকে আমাদেরই বিনির্মাণ করতে হবে। দেশ যত দিন ঠিক না হচ্ছে আমরা আমাদের এই সেবা চালিয়ে যাব।’
ট্রাকচালক জয়নাল বলেন, ‘ছাত্ররা যেভাবে সড়ক নিয়ন্ত্রণ করছে, এটা সত্যিই অসাধারণ। সারা দিনে কোথাও কোনো রকমের চাঁদা দিতে হয় নাই। এই ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে।’
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক শহিদুল ইসলাম জানান, আগে তাঁরা যখন গাড়ি চালাত, তখন কালীগঞ্জ ও উলুখালো স্ট্যান্ডে মোট ৬০ টাকা চাঁদা দিতে হতো। সড়কে যানজট যেমন নেই তেমনি দিতে হয়নি কোনো ধরনের চাঁদা। এতে করে তাঁরা অনেক খুশি।
অপর শিক্ষার্থী লামিয়া জানান, তিনি স্বেচ্ছায়, আনন্দে ট্রাফিক পুলিশিংয়ের কাজ করছেন। তার আরও কিছু সহপাঠী রয়েছে যারা আগামীকাল থেকে এই কাজে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি এটা নিশ্চিত করতে চান সড়কে যেন আর কোনো ধরনের চাঁদাবাজি না হয়।
শিক্ষার্থী হাদিউল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘দেশের জন্য যদি আরও কিছু করা লাগে আমরা সেটাও করতে প্রস্তুত রয়েছি। এখন সময় পরিবর্তন নিয়ে আসার। ভালো কিছু করার এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ দেওয়ার। আমরা আমাদের এই কাজগুলোকে নিদর্শন হিসেবে রেখে যেতে চাই। পরবর্তীকালে যাঁরা দেশ শাসন করবেন, তাঁরা যেন আমাদের এই কাজগুলোকে মাথায় রেখে সততার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করেন।’
উপজেলার ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শাহ পরান জানান, উপজেলার বিভিন্ন কলেজ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় এই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরাও তাঁদের জায়গা থেকে আরও ভালো কিছু সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন। তিনি স্থানীয়দের কাছে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম ইমাম রাজি টুলু বলেন, ‘ছাত্রদের এই উদ্যোগে স্বাগত জানাই। তারা যে পরিশ্রম করছে সততার সঙ্গে এটা দেশবাসীর কাছে অনন্য নিদর্শন হয়ে থাকবে। আমরা এই সেবামূলক কাজকে স্বাগত জানাই।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দ্বারা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে দেশ পুনরায় স্বাভাবিক গতিতে চলতে শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সড়কে যানবাহনের চাপ না থাকলেও ধীরে ধীরে তা বাড়ছে। কিছুক্ষণ পরপর ব্যস্ততম মোড়গুলোতে দেখা যাচ্ছে স্বল্প আকারের যানজট। আর এই যানজট নিপুণ দক্ষতায় নিরসন করে যাচ্ছেন কলেজ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গাজীপুর কালীগঞ্জের টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় কলেজ শিক্ষার্থীরা সড়কের মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে যানজট নিরসনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই দায়িত্বে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই সড়কের ব্যস্ততম তিনটি পয়েন্টে যানজট নিরসনে কাজ করছেন। দেশ যত দিন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসবে তত দিন শিক্ষার্থীরা তাদের এই সেবা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার কালীগঞ্জ পৌর বাজার বাসস্ট্যান্ডের বটতলা এলাকা, পুরাতন ব্যাংকের মোড় এবং কাপাসিয়া মোড়ে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট ১৫ জন শিক্ষার্থী এই দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে। এ সময় বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকেরা কর্মরত শিক্ষার্থীদের কোমল পানীয় বিতরণ করেন।
কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজের শিক্ষার্থী এবং ওই কলেজের রোভার স্কাউটের অধিনায়ক নাদিমুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা দেশ থেকে অন্যায়, অপরাধ ও জুলুমবাজদের বিদায় করেছি। সেই সঙ্গে আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে নিয়েছি। ঘটে যাওয়া সহিংসতায় সারা দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন এগুলোকে আমাদেরই বিনির্মাণ করতে হবে। দেশ যত দিন ঠিক না হচ্ছে আমরা আমাদের এই সেবা চালিয়ে যাব।’
ট্রাকচালক জয়নাল বলেন, ‘ছাত্ররা যেভাবে সড়ক নিয়ন্ত্রণ করছে, এটা সত্যিই অসাধারণ। সারা দিনে কোথাও কোনো রকমের চাঁদা দিতে হয় নাই। এই ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে।’
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক শহিদুল ইসলাম জানান, আগে তাঁরা যখন গাড়ি চালাত, তখন কালীগঞ্জ ও উলুখালো স্ট্যান্ডে মোট ৬০ টাকা চাঁদা দিতে হতো। সড়কে যানজট যেমন নেই তেমনি দিতে হয়নি কোনো ধরনের চাঁদা। এতে করে তাঁরা অনেক খুশি।
অপর শিক্ষার্থী লামিয়া জানান, তিনি স্বেচ্ছায়, আনন্দে ট্রাফিক পুলিশিংয়ের কাজ করছেন। তার আরও কিছু সহপাঠী রয়েছে যারা আগামীকাল থেকে এই কাজে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি এটা নিশ্চিত করতে চান সড়কে যেন আর কোনো ধরনের চাঁদাবাজি না হয়।
শিক্ষার্থী হাদিউল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘দেশের জন্য যদি আরও কিছু করা লাগে আমরা সেটাও করতে প্রস্তুত রয়েছি। এখন সময় পরিবর্তন নিয়ে আসার। ভালো কিছু করার এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ দেওয়ার। আমরা আমাদের এই কাজগুলোকে নিদর্শন হিসেবে রেখে যেতে চাই। পরবর্তীকালে যাঁরা দেশ শাসন করবেন, তাঁরা যেন আমাদের এই কাজগুলোকে মাথায় রেখে সততার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করেন।’
উপজেলার ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শাহ পরান জানান, উপজেলার বিভিন্ন কলেজ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় এই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরাও তাঁদের জায়গা থেকে আরও ভালো কিছু সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন। তিনি স্থানীয়দের কাছে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম ইমাম রাজি টুলু বলেন, ‘ছাত্রদের এই উদ্যোগে স্বাগত জানাই। তারা যে পরিশ্রম করছে সততার সঙ্গে এটা দেশবাসীর কাছে অনন্য নিদর্শন হয়ে থাকবে। আমরা এই সেবামূলক কাজকে স্বাগত জানাই।’
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৭ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৭ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৮ ঘণ্টা আগে