নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সাবেক উপাচার্য, কৃষি অর্থনীতিবিদ ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মণ্ডলের অবসর কাটে শৈশবের বিদ্যালয়ে পাঠদান করে। মাসে অন্তত দুবার ফরিদপুরের নগরকান্দায় গ্রামের বাড়ি যান তিনি। এ সময় তিন-চার দিন থেকে গ্রামের বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কৃষ্ণারডাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস নিতে দেখা গেছে তাঁকে। ড. এম এ সাত্তার এই বিদ্যালয়েই মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল বলেন, ‘আমি এখানে আসি শেকড়ের টানে। এখানে আমার জন্ম। অনেক খেলার সাথিও রয়েছে এই এলাকায়। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তাঁদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারি না ব্যস্ততার কারণে। তবে সময় পেলেই ছুটে আসার চেষ্টা করি এই জন্মস্থানে। এখানকার মানুষকে মন থেকে ভালোবাসি।’
সাত্তার মণ্ডল বলেন, ‘আমি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস নিচ্ছি। আমার উদ্দেশ্য, গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পেয়ে ভালো কলেজে লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাফল্য ও শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ মোল্লা বলেন, ‘ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল স্যার এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তাঁর শিক্ষাদান সত্যিই আমাদের আনন্দিত করছে। শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনায় উৎসাহী হচ্ছে। তিনি আমাদের তথা সারা দেশের গর্ব। আল্লাহ তাআলা তাঁকে যেন দীর্ঘ হায়াত দান করেন।’
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহাদাৎ হোসেন বলে, ‘সাত্তার মণ্ডল স্যার আমাদের দারুণভাবে পাঠ্যপুস্তকসহ অন্যান্য বিষয়ে শেখাচ্ছেন। আমরাও সহজেই বুঝতে পারি। স্যার সত্যিই একজন ভালো মনের মানুষ। আমদের আশা, আমরা উচ্চশিক্ষা লাভ করে স্যারের মতো হব।’
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক বলেন, ‘একুশে পদকপ্রাপ্ত ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল স্যারের মতো একজন ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করছেন—এটা সত্যিই খুশির খবর। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনায় উৎসাহ বাড়বে। স্যারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’
অধ্যাপক এম এ সাত্তার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কৃষি অর্থনীতি বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি গ্র্যাজুয়েট এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম উপাচার্য ছিলেন। বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের অন্যতম সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী ড. সাত্তার মণ্ডল কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন সাত্তার মণ্ডল।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতিতে ১৯৭৯ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন সাত্তার মণ্ডল। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পোস্ট ডক্টরাল স্টাডি সম্পন্ন করেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনসহ দেশে-বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বলকল্পে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সাবেক উপাচার্য, কৃষি অর্থনীতিবিদ ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মণ্ডলের অবসর কাটে শৈশবের বিদ্যালয়ে পাঠদান করে। মাসে অন্তত দুবার ফরিদপুরের নগরকান্দায় গ্রামের বাড়ি যান তিনি। এ সময় তিন-চার দিন থেকে গ্রামের বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কৃষ্ণারডাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস নিতে দেখা গেছে তাঁকে। ড. এম এ সাত্তার এই বিদ্যালয়েই মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল বলেন, ‘আমি এখানে আসি শেকড়ের টানে। এখানে আমার জন্ম। অনেক খেলার সাথিও রয়েছে এই এলাকায়। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তাঁদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারি না ব্যস্ততার কারণে। তবে সময় পেলেই ছুটে আসার চেষ্টা করি এই জন্মস্থানে। এখানকার মানুষকে মন থেকে ভালোবাসি।’
সাত্তার মণ্ডল বলেন, ‘আমি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস নিচ্ছি। আমার উদ্দেশ্য, গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পেয়ে ভালো কলেজে লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাফল্য ও শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ মোল্লা বলেন, ‘ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল স্যার এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তাঁর শিক্ষাদান সত্যিই আমাদের আনন্দিত করছে। শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনায় উৎসাহী হচ্ছে। তিনি আমাদের তথা সারা দেশের গর্ব। আল্লাহ তাআলা তাঁকে যেন দীর্ঘ হায়াত দান করেন।’
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহাদাৎ হোসেন বলে, ‘সাত্তার মণ্ডল স্যার আমাদের দারুণভাবে পাঠ্যপুস্তকসহ অন্যান্য বিষয়ে শেখাচ্ছেন। আমরাও সহজেই বুঝতে পারি। স্যার সত্যিই একজন ভালো মনের মানুষ। আমদের আশা, আমরা উচ্চশিক্ষা লাভ করে স্যারের মতো হব।’
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক বলেন, ‘একুশে পদকপ্রাপ্ত ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল স্যারের মতো একজন ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করছেন—এটা সত্যিই খুশির খবর। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনায় উৎসাহ বাড়বে। স্যারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’
অধ্যাপক এম এ সাত্তার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কৃষি অর্থনীতি বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি গ্র্যাজুয়েট এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম উপাচার্য ছিলেন। বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের অন্যতম সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী ড. সাত্তার মণ্ডল কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন সাত্তার মণ্ডল।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতিতে ১৯৭৯ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন সাত্তার মণ্ডল। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পোস্ট ডক্টরাল স্টাডি সম্পন্ন করেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনসহ দেশে-বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বলকল্পে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা।
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে নিজের তৈরি ‘উড়োজাহাজ’ উড়িয়েছেন জুলহাস মোল্লা (২৮) নামের এক বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি। আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার জাফরগঞ্জ এলাকায় যমুনার চরে উড়োজাহাজটি আকাশে ওড়ান। এ সময় মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন
১১ মিনিট আগেচুয়াডাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাস থেকে ২ কেজি ৪১১ গ্রাম ওজনের ১৮টি সোনার বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় পাচারকারী অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়। জব্দ সোনার বাজারমূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা বলে বিজিবি জানিয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল
৩৪ মিনিট আগেটিনের চাল ও বেড়া দেওয়া কারখানায় থরে থরে সাজানো বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যান্ডের ম্যাঙ্গো জুসের বোতল। পাশে ভর্তি হওয়ার অপেক্ষায় হাজারো খালি বোতল। একটু দূরে বিশাল ড্রাম জুসে পরিপূর্ণ। কিন্তু পুরো কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি কোনো আমের। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা
৩৯ মিনিট আগে১৩৩ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলায় সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনকে আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজাহারুল ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে