নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রায় ১৯ বছর আগে আলোচিত মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম। বুধবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি। এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম সাক্ষ্য দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেদিন সাক্ষ্য সমাপ্ত হয়নি। ওই দিন তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম সাক্ষ্য দেওয়া শেষ করেন।
বিচারক কেশব রায় চৌধুরী সাক্ষীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর ভোলানাথ দত্ত আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান।
গত বছর ১৫ নভেম্বর চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। ওই দিন তিন্নির বাবা ও চাচা আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আবার সাক্ষ্য গ্রহণ হলো।
১৯ বছর আগে তিন্নি হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামি সাবেক ছাত্রনেতা ও বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি। তিনি পলাতক রয়েছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চলছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে খুন হন তিন্নি। পরদিন সকালে তিন্নির লাশ পাওয়া যায় বুড়িগঙ্গা এক নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর পিলারের ওপর ঝুলন্ত অবস্থায়। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. শফি উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পর, বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করেন।
তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়—তিন্নির মৃত্যুর আগে ২০০২ সালের ৬ নভেম্বর তিন্নিকে তাঁর স্বামী পিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করেন অভি। ওই দিনই পিয়ালকে তাঁর দেড় বছর বয়সী কন্যাসন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এর পর বিয়ে করার জন্য অভিকে চাপ দিতে থাকেন তিন্নি। কিন্তু অভি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে তিন্নি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ফাঁস করার হুমকি দেন। পরে ১০ নভেম্বর রাতে মাথায় আঘাত করে তিন্নিকে হত্যা করা হয়। এর পর মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে ওই রাতেই বুড়িগঙ্গার ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলা হয়। লাশটি পড়ে পিলারের উচুঁ অংশে।
পরদিন সকালে কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের পর ময়নাতদন্ত করে। এর পর ১৫ নভেম্বর জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয় তিন্নিকে। পরে তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হারানো ডায়েরি করেন। পরে তিন্নির পরিবারের লোকজন ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করেন।
২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলাটির তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। এর পর, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি মোজাম্মেল হক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়। এ ছাড়াও, এই মামলায় ২২টি আলামতও জব্দ করা হয়। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তিন্নি হত্যা মামলায় আসামি অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
গোলাম ফারুক অভির উত্থান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে। ছাত্র হিসেবে অত্যন্ত মেধাবী অভি এসএসসি এবং এইচএসসিতে বোর্ড পর্যায়ে মেধার সাক্ষর রাখেন। নব্বইয়ের গণ-আন্দোলন ঠেকাতে গিয়ে এরশাদের নজরে পড়েন অভি। ওই সময়ই তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় এবং চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ ছিল। একপর্যায়ে তিনি গ্রেপ্তার হন। তবে নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনের চরম পর্যায়ে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান।
তিন্নি হত্যাকাণ্ডের পর অভি কানাডায় পালিয়ে যান। কানাডার টরোন্টো থেকে অভি পাওয়ার অব অ্যাটর্নির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে এক আইনজীবীর মাধ্যমে মামলাটির স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০১০ সালের ৫ই ডিসেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট করেন। যার পিটিশন নম্বর ৯৫৩১ / ২০১০। বাংলাদেশে নিম্ন আদালতে চলমান মামলাটিতে অংশ নেওয়ার জন্য কানাডার বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট চেয়ে পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। ইচ্ছে থাকলেও দেশে আসতে পারছে না বলেও উল্লেখ করেন। তাই তাঁর ন্যায়বিচার পাওয়ার স্বার্থে পাসপোর্ট পেয়ে দেশে আসা পর্যন্ত মামলাটির কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয় অভির পক্ষে। শুনানি শেষে একই বছরের ১৫ই জানুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১১ সালের ২৩শে জুন হাইকোর্ট মামলাটির স্থগিতাদেশ দেন। এই কারণে প্রায় সাত বছর মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। পরে হাইকোর্টের আদেশে মামলার কার্যক্রম আবার চালু হয়।
প্রায় ১৯ বছর আগে আলোচিত মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম। বুধবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি। এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম সাক্ষ্য দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেদিন সাক্ষ্য সমাপ্ত হয়নি। ওই দিন তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম সাক্ষ্য দেওয়া শেষ করেন।
বিচারক কেশব রায় চৌধুরী সাক্ষীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর ভোলানাথ দত্ত আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান।
গত বছর ১৫ নভেম্বর চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। ওই দিন তিন্নির বাবা ও চাচা আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আবার সাক্ষ্য গ্রহণ হলো।
১৯ বছর আগে তিন্নি হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামি সাবেক ছাত্রনেতা ও বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি। তিনি পলাতক রয়েছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চলছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে খুন হন তিন্নি। পরদিন সকালে তিন্নির লাশ পাওয়া যায় বুড়িগঙ্গা এক নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর পিলারের ওপর ঝুলন্ত অবস্থায়। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. শফি উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পর, বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করেন।
তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়—তিন্নির মৃত্যুর আগে ২০০২ সালের ৬ নভেম্বর তিন্নিকে তাঁর স্বামী পিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করেন অভি। ওই দিনই পিয়ালকে তাঁর দেড় বছর বয়সী কন্যাসন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এর পর বিয়ে করার জন্য অভিকে চাপ দিতে থাকেন তিন্নি। কিন্তু অভি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে তিন্নি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ফাঁস করার হুমকি দেন। পরে ১০ নভেম্বর রাতে মাথায় আঘাত করে তিন্নিকে হত্যা করা হয়। এর পর মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে ওই রাতেই বুড়িগঙ্গার ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলা হয়। লাশটি পড়ে পিলারের উচুঁ অংশে।
পরদিন সকালে কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের পর ময়নাতদন্ত করে। এর পর ১৫ নভেম্বর জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয় তিন্নিকে। পরে তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হারানো ডায়েরি করেন। পরে তিন্নির পরিবারের লোকজন ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করেন।
২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলাটির তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। এর পর, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি মোজাম্মেল হক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়। এ ছাড়াও, এই মামলায় ২২টি আলামতও জব্দ করা হয়। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তিন্নি হত্যা মামলায় আসামি অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
গোলাম ফারুক অভির উত্থান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে। ছাত্র হিসেবে অত্যন্ত মেধাবী অভি এসএসসি এবং এইচএসসিতে বোর্ড পর্যায়ে মেধার সাক্ষর রাখেন। নব্বইয়ের গণ-আন্দোলন ঠেকাতে গিয়ে এরশাদের নজরে পড়েন অভি। ওই সময়ই তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় এবং চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ ছিল। একপর্যায়ে তিনি গ্রেপ্তার হন। তবে নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনের চরম পর্যায়ে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান।
তিন্নি হত্যাকাণ্ডের পর অভি কানাডায় পালিয়ে যান। কানাডার টরোন্টো থেকে অভি পাওয়ার অব অ্যাটর্নির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে এক আইনজীবীর মাধ্যমে মামলাটির স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০১০ সালের ৫ই ডিসেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট করেন। যার পিটিশন নম্বর ৯৫৩১ / ২০১০। বাংলাদেশে নিম্ন আদালতে চলমান মামলাটিতে অংশ নেওয়ার জন্য কানাডার বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট চেয়ে পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। ইচ্ছে থাকলেও দেশে আসতে পারছে না বলেও উল্লেখ করেন। তাই তাঁর ন্যায়বিচার পাওয়ার স্বার্থে পাসপোর্ট পেয়ে দেশে আসা পর্যন্ত মামলাটির কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয় অভির পক্ষে। শুনানি শেষে একই বছরের ১৫ই জানুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১১ সালের ২৩শে জুন হাইকোর্ট মামলাটির স্থগিতাদেশ দেন। এই কারণে প্রায় সাত বছর মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। পরে হাইকোর্টের আদেশে মামলার কার্যক্রম আবার চালু হয়।
লক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৬ মিনিট আগেবগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩১ মিনিট আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
৪৪ মিনিট আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই সাংবাদিককে জিম্মি করে বেধড়ক মারধরের পর মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে সড়কের পাশে তাঁদের ফেলে রেখে যায়।
১ ঘণ্টা আগে