নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বহিরাগতদের হামলার পর বন্ধ করে দেওয়া হয় ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের (সিএমএম) বিচারিক কার্যক্রম। আজ রোববার দুপুরে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে বহিরাগতরা মিছিল নিয়ে গিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে হামলা চালায়। প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে হামলার করার পর পুলিশের প্রতিরোধের মুখে হামলাকারীরা চলে যায়। এরপরই সিএমএম আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
সিএমএম আদালতের নাজির খন্দকার রেজওয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, দুষ্কৃতকারীদের হামলার পর আদালতের বিচারের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ঢাকার আদালতের আইনজীবী মুমজুর আলম বলেন, ঢাকার সিএমএম আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম হিরু বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের একটি নাশকতার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি শুনানিতে অংশ নিতে পারেননি।
আরও কয়েকজন আইনজীবী জানান, ছাত্রদের জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। সিএমএম আদালতে অনেকের জন্য জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু হামলার কারণে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় শুনানি হয়নি।
সকালে আদালত সমূহের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলেও হামলার পর আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়। তবে সিজেএম আদালতে কিছু কিছু মামলার শুনানি গ্রহণ করেন বিভিন্ন বিচারক।
ঢাকার জেলা জজ ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলে বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।
জানা গেছে, হামলায় সিএমএম আদালত ও সিজেএম আদালত ভবনে ইট-পাটকেল ছুড়ে বিভিন্ন জানালার গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। সিএমএম আদালতের সামনে থাকা পাঁচটি পুলিশভ্যান ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টা থেকে আদালতের পাশের জনসন রোডে মিছিল করতে থাকে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে কয়েক’শ লোক। তাদের হাতে ইট-পাটকেল ও লাঠিসোঁটা ছিল। একপর্যায়ে বেলা পৌনে ১২টার দিকে তারা সিএমএম আদালতের মূল ফটকে লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘেরাও করে। তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় বিএনপিপন্থী কিছু আইনজীবী গেটের বাইরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা গেট খুলে দিলে মিছিলকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সিএমএম আদালত চত্বরে ঢুকে পড়ে। তারা সিএমএম আদালত এবং সিজেএম আদালত লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে দুই আদালত ভবনের জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে। সিএমএম আদালতের সামনে থাকা পুলিশের দুটি প্রিজনভ্যান ও চারটি জিপ ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে পালাতে থাকে।
প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট মিছিলকারীরা ভাঙচুর করতে থাকে। পরে পুলিশ সংঘবদ্ধ হয়ে ফিরে এসে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করলে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত চত্বর ত্যাগ করে।
পরে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা মিছিল নিয়ে আদালত এলাকায় অসহযোগ আন্দোলনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকার আদালতের আইনজীবী সঞ্জীব চন্দ্র দাস বলেন, ‘কয়েকশ মিছিলকারী হঠাৎ হামলা করে। আদালত এলাকায় রাখা গাড়ি ভাঙচুর করে এবং আদালতে ইট-পাটকেল মারে।’
ঢাকার আরেক আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘হামলাকারীদের অনেকেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। আবার অনেকের মাথায় টুপি ও মুখে দাড়ি। এরা সবাই বহিরাগত। কোনো ছাত্র এই হামলাকারীদের সঙ্গে ছিল তা মনে হয়নি।’
ঢাকার অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বহিরাগতরা হামলা করেছে। পুলিশের গাড়ি ও আদালতের জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে তারা আদালত চত্বর ত্যাগ করে।’
বহিরাগতদের হামলার পর বন্ধ করে দেওয়া হয় ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের (সিএমএম) বিচারিক কার্যক্রম। আজ রোববার দুপুরে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে বহিরাগতরা মিছিল নিয়ে গিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে হামলা চালায়। প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে হামলার করার পর পুলিশের প্রতিরোধের মুখে হামলাকারীরা চলে যায়। এরপরই সিএমএম আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
সিএমএম আদালতের নাজির খন্দকার রেজওয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, দুষ্কৃতকারীদের হামলার পর আদালতের বিচারের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ঢাকার আদালতের আইনজীবী মুমজুর আলম বলেন, ঢাকার সিএমএম আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম হিরু বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের একটি নাশকতার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি শুনানিতে অংশ নিতে পারেননি।
আরও কয়েকজন আইনজীবী জানান, ছাত্রদের জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। সিএমএম আদালতে অনেকের জন্য জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু হামলার কারণে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় শুনানি হয়নি।
সকালে আদালত সমূহের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলেও হামলার পর আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়। তবে সিজেএম আদালতে কিছু কিছু মামলার শুনানি গ্রহণ করেন বিভিন্ন বিচারক।
ঢাকার জেলা জজ ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলে বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।
জানা গেছে, হামলায় সিএমএম আদালত ও সিজেএম আদালত ভবনে ইট-পাটকেল ছুড়ে বিভিন্ন জানালার গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। সিএমএম আদালতের সামনে থাকা পাঁচটি পুলিশভ্যান ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টা থেকে আদালতের পাশের জনসন রোডে মিছিল করতে থাকে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে কয়েক’শ লোক। তাদের হাতে ইট-পাটকেল ও লাঠিসোঁটা ছিল। একপর্যায়ে বেলা পৌনে ১২টার দিকে তারা সিএমএম আদালতের মূল ফটকে লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘেরাও করে। তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় বিএনপিপন্থী কিছু আইনজীবী গেটের বাইরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা গেট খুলে দিলে মিছিলকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সিএমএম আদালত চত্বরে ঢুকে পড়ে। তারা সিএমএম আদালত এবং সিজেএম আদালত লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে দুই আদালত ভবনের জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে। সিএমএম আদালতের সামনে থাকা পুলিশের দুটি প্রিজনভ্যান ও চারটি জিপ ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে পালাতে থাকে।
প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট মিছিলকারীরা ভাঙচুর করতে থাকে। পরে পুলিশ সংঘবদ্ধ হয়ে ফিরে এসে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করলে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত চত্বর ত্যাগ করে।
পরে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা মিছিল নিয়ে আদালত এলাকায় অসহযোগ আন্দোলনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকার আদালতের আইনজীবী সঞ্জীব চন্দ্র দাস বলেন, ‘কয়েকশ মিছিলকারী হঠাৎ হামলা করে। আদালত এলাকায় রাখা গাড়ি ভাঙচুর করে এবং আদালতে ইট-পাটকেল মারে।’
ঢাকার আরেক আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘হামলাকারীদের অনেকেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। আবার অনেকের মাথায় টুপি ও মুখে দাড়ি। এরা সবাই বহিরাগত। কোনো ছাত্র এই হামলাকারীদের সঙ্গে ছিল তা মনে হয়নি।’
ঢাকার অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বহিরাগতরা হামলা করেছে। পুলিশের গাড়ি ও আদালতের জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে তারা আদালত চত্বর ত্যাগ করে।’
চট্টগ্রামে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলিসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার টেকবাজার এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ মিনিট আগেসিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
২২ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরে আত্মীয়ের বাসা থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর মনছুরাবাদ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডাবলমুরিং থানা-পুলিশ।
২৬ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জে সাবেক জেলা প্রশাসক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে ছোট ভাইকে পারিবারিক বাসাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার শহরের গৌরাঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলেন ছোট ভাই আ. করিম মোল্লা।
৩৯ মিনিট আগে