নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদীয় উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আইনভঙ্গ করে গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি। এখন পর্যন্ত ৪৪টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট পর্যবেক্ষণের মনিটরিং সেলে বসে সিইসি এ মন্তব্য করেন। হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ঢাকা থেকে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সময় আমাদের কাছে যে কয়কটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ নিয়ন্ত্রণহীন মনে হয়েছে, সেগুলোতে সঙ্গে সঙ্গে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
গত জুলাইয়ে সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘মূল অ্যাকশন হিসেবে আমরা কেন্দ্র বন্ধ করেছি। এখন চাকরিবিধি অনুযায়ী বা অন্যবিধি অনুযায়ী কী অ্যাকশন নেব তারপরবর্তীতে দেখব। আমরা টেলিফোনে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি, যে আমরা এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পেয়েছি। তাই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছি।’
নির্বাচন বন্ধের ব্যাপারে সিইসি বলেন, ‘কমিশন যদি মনে করে নির্বাচন সঠিকভাবে হচ্ছে না তাহলে তা বন্ধ করতে পারে। আমরা সেই আলোকে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। যখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যখন নেব, তখন জানাব।’
নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে কেন চলে গেল তা আমরা বলতে পারব না জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে অনেকটাই। আপনারাও দেখতে পেয়েছেন যে গোপন কক্ষে ভোট সুশৃঙ্খলভাবে হচ্ছে না। কেন হচ্ছে এমন তা চটজলদি বলতে পারব না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। ইভিএমেরও কোনো ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি না। ওই যে মানবিক আচরণ, আরেকজন ঢুকে যাচ্ছে, দেখিয়ে দিচ্ছে। আবার অনেকেই দেখছি গেঞ্জি পড়ে, শাড়ি পড়ে যেখানে প্রতীক আছে দেখা যাচ্ছে তারা সেখানে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। যা এটা সুশৃঙ্খল নির্বাচনের পরিপন্থী। এরাই ডাকাত, এরাই দুর্বৃত্ত। যারাই আইন মানছেন না তাদেরই আমরা ডাকাত দুর্বৃত্ত বলতে পারি। কারণ আইনের প্রতি সকলকে শ্রদ্ধা করতে হবে। সকলে যদি আইন না মানি নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে না।’
এর আগে আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এবারই প্রথম ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে আসনটিতে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।
নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন পুলিশ সদস্য ও ১২ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ভোটের মাঠে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৯টি টিম, চার প্লাটুন বিজিবি ও পাঁচটি সাদা পোশাকের স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্বে রয়েছে। তা ছাড়া ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে আছেন। এ ছাড়া ১ হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকছে সবগুলো ভোটকেন্দ্র।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।
এই উপনির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আসনটিতে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদীয় উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আইনভঙ্গ করে গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি। এখন পর্যন্ত ৪৪টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট পর্যবেক্ষণের মনিটরিং সেলে বসে সিইসি এ মন্তব্য করেন। হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ঢাকা থেকে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সময় আমাদের কাছে যে কয়কটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ নিয়ন্ত্রণহীন মনে হয়েছে, সেগুলোতে সঙ্গে সঙ্গে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
গত জুলাইয়ে সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘মূল অ্যাকশন হিসেবে আমরা কেন্দ্র বন্ধ করেছি। এখন চাকরিবিধি অনুযায়ী বা অন্যবিধি অনুযায়ী কী অ্যাকশন নেব তারপরবর্তীতে দেখব। আমরা টেলিফোনে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি, যে আমরা এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পেয়েছি। তাই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছি।’
নির্বাচন বন্ধের ব্যাপারে সিইসি বলেন, ‘কমিশন যদি মনে করে নির্বাচন সঠিকভাবে হচ্ছে না তাহলে তা বন্ধ করতে পারে। আমরা সেই আলোকে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। যখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যখন নেব, তখন জানাব।’
নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে কেন চলে গেল তা আমরা বলতে পারব না জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে অনেকটাই। আপনারাও দেখতে পেয়েছেন যে গোপন কক্ষে ভোট সুশৃঙ্খলভাবে হচ্ছে না। কেন হচ্ছে এমন তা চটজলদি বলতে পারব না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। ইভিএমেরও কোনো ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি না। ওই যে মানবিক আচরণ, আরেকজন ঢুকে যাচ্ছে, দেখিয়ে দিচ্ছে। আবার অনেকেই দেখছি গেঞ্জি পড়ে, শাড়ি পড়ে যেখানে প্রতীক আছে দেখা যাচ্ছে তারা সেখানে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। যা এটা সুশৃঙ্খল নির্বাচনের পরিপন্থী। এরাই ডাকাত, এরাই দুর্বৃত্ত। যারাই আইন মানছেন না তাদেরই আমরা ডাকাত দুর্বৃত্ত বলতে পারি। কারণ আইনের প্রতি সকলকে শ্রদ্ধা করতে হবে। সকলে যদি আইন না মানি নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে না।’
এর আগে আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এবারই প্রথম ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে আসনটিতে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।
নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন পুলিশ সদস্য ও ১২ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ভোটের মাঠে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৯টি টিম, চার প্লাটুন বিজিবি ও পাঁচটি সাদা পোশাকের স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্বে রয়েছে। তা ছাড়া ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে আছেন। এ ছাড়া ১ হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকছে সবগুলো ভোটকেন্দ্র।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।
এই উপনির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আসনটিতে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে একটি দিঘিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারামারি ও প্রতিপক্ষের মারধরে মাছচাষীসহ চারজন আহত হয়েছেন। এক ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন।
৩ মিনিট আগেচট্টগ্রামে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলিসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার টেকবাজার এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১০ মিনিট আগেসিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
২৭ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরে আত্মীয়ের বাসা থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর মনছুরাবাদ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডাবলমুরিং থানা-পুলিশ।
৩০ মিনিট আগে