সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
সব জল্পনা–কল্পনার পর অবশেষে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। ২০১৯ এর ৩ জানুয়ারি বর্তমান সরকারের জন প্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মারা যান। স্বাধীনতার পর সেদিনই কিশোরগঞ্জের মানুষ জেনেছিল জেলায় কোনো মন্ত্রী না থাকার সংবাদ।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জের পর আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় দুর্গ হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জ। মুজিবনগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে প্রতিটি সরকারেই কিশোরগঞ্জ থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কেউ না কেউ ছিলেন।
১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় তিনি শিল্প মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সেই থেকে কিশোরগঞ্জের জন্য মন্ত্রিত্বের দরজা আর কখনো বন্ধ হয়নি।
প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী হন মনোরঞ্জন ধর। ১৯৭৩-১৯৭৫ পর্যন্ত পাটমন্ত্রী ছিলেন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ আসাদুজ্জামান খান। ১৯৭৯ সালে বিএনপির শাসনামলে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী হন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আবু আহমদ ফজলুল করিম।
১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের শাসনামলে ভূমি উপমন্ত্রী হন মুজিবুল হক। তিনি কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ছিলেন। ওই সময় আইনমন্ত্রী ছিলেন জেলার আরেক নেতা হাবিবুল ইসলাম ভূঁইয়া। ১৯৮৪–১৯৮৭ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী ছিলেন এই জেলার মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান।
১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে কিশোরগঞ্জ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য এ বি এম জাহিদুল হক নৌপরিবহন উপমন্ত্রী হন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তখন কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত জিল্লুর রহমানকে করা হয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী। সৈয়দ আশরাফ পান বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
২০০১ সালে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসে। ওই সময় কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ওসমান ফারুক হন শিক্ষামন্ত্রী। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসে। তখন সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। মহাজোটের শরিক কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হককে করা হয় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।
২০১৪ সালে টানা দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে সৈয়দ আশরাফ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর পদটি ধরে রাখেন। সবশেষ তাঁকে দেওয়া হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
গত রোববার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পাপন ও সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। এ নিয়ে তারা টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এখন সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে, এবারের মন্ত্রিপরিষদে কি দুই রাষ্ট্রপতির সন্তান জায়গা করে নেবেন? কারণ, বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে তারা জনপ্রিয়তার স্বাক্ষর রেখেছেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা জন্যই সাধারণ জনগণ তাদের ভোট দিয়ে এমপি করেছেন। তাদের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি এসব সাধারণ মানুষের।
ইটনা উপজেলার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকা বলেন, ‘আমরা আশাবাদী এবার দুই রাষ্ট্রপতির সন্তান মন্ত্রী পরিষদে জায়গা করে নেবেন। আমরা এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছি।’
ভৈরব উপজেলার বাসিন্দা শায়ের আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই শুরু হয়েছে, জেলায় কে কে মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এসব আলোচনা ও গুঞ্জনে উঠে আসছে, এবারের সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় দুজন ঠাঁই পাচ্ছেন এমন কথা। এমন খবরে কৌতূহল নিয়ে অপেক্ষায় কিশোরগঞ্জবাসী।’
সমন্বয় সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি এ এম ওবায়েদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোরগঞ্জের মাটি নৌকার ঘাঁটি হিসেবেই বিবেচিত হয়ে আসছে প্রায় তিন দশক ধরে। দুঃখজনক হলেও সত্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর পাঁচ বছর কিশোরগঞ্জে কোনো মন্ত্রী ছিল না। যা ১৯৭২ সালের পর বিরল ঘটনা।’
তিনি বলেন, ‘এবার দাবি উঠেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন রাষ্ট্রপতির সন্তানদের মধ্য থেকে অন্তত দুজনকে দুইটি মন্ত্রণালয় দিয়ে মানুষের দাবির প্রতি সম্মান জানান।’
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ রাজনৈতিক গুণীজনদের জেলা। স্বাধীনতার পর থেকেই কিশোরগঞ্জে মন্ত্রী ছিল। গত পাঁচ বছর কিশোরগঞ্জে কোনো মন্ত্রী ছিল না। এবার প্রধানমন্ত্রী সবদিক বিবেচনা করে কিশোরগঞ্জে মন্ত্রিত্ব দেবেন বলে আমি আশা রাখি।’
সব জল্পনা–কল্পনার পর অবশেষে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। ২০১৯ এর ৩ জানুয়ারি বর্তমান সরকারের জন প্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মারা যান। স্বাধীনতার পর সেদিনই কিশোরগঞ্জের মানুষ জেনেছিল জেলায় কোনো মন্ত্রী না থাকার সংবাদ।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জের পর আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় দুর্গ হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জ। মুজিবনগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে প্রতিটি সরকারেই কিশোরগঞ্জ থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কেউ না কেউ ছিলেন।
১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় তিনি শিল্প মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সেই থেকে কিশোরগঞ্জের জন্য মন্ত্রিত্বের দরজা আর কখনো বন্ধ হয়নি।
প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী হন মনোরঞ্জন ধর। ১৯৭৩-১৯৭৫ পর্যন্ত পাটমন্ত্রী ছিলেন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ আসাদুজ্জামান খান। ১৯৭৯ সালে বিএনপির শাসনামলে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী হন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আবু আহমদ ফজলুল করিম।
১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের শাসনামলে ভূমি উপমন্ত্রী হন মুজিবুল হক। তিনি কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ছিলেন। ওই সময় আইনমন্ত্রী ছিলেন জেলার আরেক নেতা হাবিবুল ইসলাম ভূঁইয়া। ১৯৮৪–১৯৮৭ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী ছিলেন এই জেলার মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান।
১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে কিশোরগঞ্জ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য এ বি এম জাহিদুল হক নৌপরিবহন উপমন্ত্রী হন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তখন কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত জিল্লুর রহমানকে করা হয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী। সৈয়দ আশরাফ পান বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
২০০১ সালে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসে। ওই সময় কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ওসমান ফারুক হন শিক্ষামন্ত্রী। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসে। তখন সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। মহাজোটের শরিক কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হককে করা হয় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।
২০১৪ সালে টানা দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে সৈয়দ আশরাফ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর পদটি ধরে রাখেন। সবশেষ তাঁকে দেওয়া হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
গত রোববার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পাপন ও সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। এ নিয়ে তারা টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এখন সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে, এবারের মন্ত্রিপরিষদে কি দুই রাষ্ট্রপতির সন্তান জায়গা করে নেবেন? কারণ, বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে তারা জনপ্রিয়তার স্বাক্ষর রেখেছেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা জন্যই সাধারণ জনগণ তাদের ভোট দিয়ে এমপি করেছেন। তাদের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি এসব সাধারণ মানুষের।
ইটনা উপজেলার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকা বলেন, ‘আমরা আশাবাদী এবার দুই রাষ্ট্রপতির সন্তান মন্ত্রী পরিষদে জায়গা করে নেবেন। আমরা এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছি।’
ভৈরব উপজেলার বাসিন্দা শায়ের আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই শুরু হয়েছে, জেলায় কে কে মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এসব আলোচনা ও গুঞ্জনে উঠে আসছে, এবারের সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় দুজন ঠাঁই পাচ্ছেন এমন কথা। এমন খবরে কৌতূহল নিয়ে অপেক্ষায় কিশোরগঞ্জবাসী।’
সমন্বয় সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি এ এম ওবায়েদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোরগঞ্জের মাটি নৌকার ঘাঁটি হিসেবেই বিবেচিত হয়ে আসছে প্রায় তিন দশক ধরে। দুঃখজনক হলেও সত্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর পাঁচ বছর কিশোরগঞ্জে কোনো মন্ত্রী ছিল না। যা ১৯৭২ সালের পর বিরল ঘটনা।’
তিনি বলেন, ‘এবার দাবি উঠেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন রাষ্ট্রপতির সন্তানদের মধ্য থেকে অন্তত দুজনকে দুইটি মন্ত্রণালয় দিয়ে মানুষের দাবির প্রতি সম্মান জানান।’
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ রাজনৈতিক গুণীজনদের জেলা। স্বাধীনতার পর থেকেই কিশোরগঞ্জে মন্ত্রী ছিল। গত পাঁচ বছর কিশোরগঞ্জে কোনো মন্ত্রী ছিল না। এবার প্রধানমন্ত্রী সবদিক বিবেচনা করে কিশোরগঞ্জে মন্ত্রিত্ব দেবেন বলে আমি আশা রাখি।’
রোববার দিবাগত রাত ১টার পর থেকেই বাস, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন ঢাকায় আসতে শুরু করেন। রাত ১টা থেকে ভোরে শত শত মানুষ শাহবাগে এসে পৌঁছাতে শুরু করেন। অধিকাংশই জানতেন না কী ঘটতে চলেছে।
৩৪ মিনিট আগেরিকশা-ভ্যানে কোনো চাঁদাবাজি হবে না। গরিবদের কষ্টার্জিত অর্থ কেউ নিতে পারবে না। স্থানীয় লোকাল মাস্তানেরা চাঁদাবাজির টাকা ভাগ করে খায়। যদি পুলিশের কোনো লোক চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাঁর আর রক্ষা নেই। গরিবের কষ্টার্জিত টাকা কেউ নিলেই ব্যবস্থা...
৪১ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রিকশাচালক আরজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসংঘর্ষের কারণে যাত্রাবাড়ী ও আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।
১ ঘণ্টা আগে