নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপি ও জামায়াতের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগসংক্রান্ত তথ্য সংসদকে অবহিত করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এই লবিস্ট নিয়োগে কত টাকা ব্যয় করেছে, সেই তথ্যও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত যুক্তরাষ্ট্রে মোট আটটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। ২০১৪ সালে জামায়াত একটি ফার্ম নিয়োগ করে যুদ্ধাপারাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য। এ জন্য তাঁরা দেড় লাখ ডলার দেয়। বিচার বন্ধে তাঁরা আরেকটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল। আর যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে প্রভাবিত করার জন্য পিস অ্যান্ড জাস্টিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৩২ হাজার ডলার দিয়ে নিয়োগ করে।
আজ বুধবার সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানান এ কে আব্দুল মোমেন। এর আগে রোববার জাতীয় সংসদে যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক। এর প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করা সে দেশের আইনে একটি বৈধ প্রক্রিয়া উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভারত, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে লবিস্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। কিন্তু লবিস্ট নিয়োগের উদ্দেশ্য কী সেটা হলো মুখ্য।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ২৭ লাখ ডলার প্রতিবছর, প্রতি মাসে রিটেইনার ফি ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ব্যয় করেছে। এই তথ্যগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিএনপি ২০১৭ সাল পর্যন্ত চারটি এবং ২০১৯ সালে একটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে জামায়াত-বিএনপি তিনটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে।
মন্ত্রী বলেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছে, লবিস্টরা এমন সব বক্তব্য তুলে ধরেছেন, যেগুলো দেশের মানুষ জানলে ধিক্কার দেবে। লবিস্ট চিঠি দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশে সাহায্য-সহায়তা বন্ধ করে দিতে বলেছে। উন্নয়ন যাতে ব্যাহত হয় তার জন্য তারা যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বলছে।
মন্ত্রী বলেন, মাঠে-ময়দানে যাঁরা বিএনপির কর্মী আছেন, তাঁরা কেউ চাইবেন না দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাক। তাঁদের কিছু নেতৃস্থানীয় মানুষ তাঁদের অগোচরে এমন কাজ করেছেন। বিএনপি সদস্যরাও নিশ্চয় চান না দেশ রসাতলে যাক। তাঁদের নেতারা কীভাবে এসব লেখতে পারেন?
সরকারের লবিস্ট নিয়োগ প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার লবিস্ট নিয়োগ করেনি। পিআর ফার্ম (জনসংযোগ) নিয়োগ করেছে। একটা হচ্ছে সিনেট, স্টেট ডিপার্টমেন্টে গিয়ে লবিং করে তদবির করে। সরকার সে ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করেনি। সরকার যেটা করেছে অপপ্রচার, মিথ্যা তথ্য যেগুলো ছড়ানো হয় তার বিপরীতে সত্য তথ্যগুলো জানানোর জন্য।
তিনি বলেন, বিজিআর নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০১৪-১৫ সালে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে সময় যুদ্ধাপারাধীদের বিচার বন্ধে বানোয়াট তথ্যের বিরুদ্ধে যাতে লিখতে পারে। বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা বন্ধের জন্য বিজিআরকে নিয়োগ দেওয়া হয়। দেশের জন্য, দেশের জনগণের জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য এবং বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধের জন্য, অপপ্রচারের বদলে সত্য কথা বলার জন্য বাংলাদেশ সরকার জনগণের মঙ্গলের জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা প্রয়োজন সেটা নেবে। তার একটি নমুনা হচ্ছে বিজিআর। তারা যখন অসত্য তথ্য দিচ্ছে, তখন বিজিআরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কিছু কিছু লোক জাতিসংঘের মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের সংসদকে অবৈধ ঘোষণা করার জন্য। এ ধরনের কাজ যারা করে তাদের প্রতি ধিক্কার। বিএনপি যে এতগুলো ফার্মে রাষ্ট্রবিরোধী কাজে এত টাকা ব্যয় করল, তারা কি তাদের দলের আয়-ব্যয়ের হিসাবে দেখিয়েছেন? তারা কি তাদের সব নেতার সঙ্গে আলোচনা করে এই কাজগুলো করেছে?
সরকার ও বিএনপির মধ্যে মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু তাই বলে দেশের অনিষ্ট করা যাবে না মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও তাঁর পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে কোথায় যান কী করেন সেই খোঁজ নেওয়ার জন্য এফবিআইয়ের প্রতি অ্যাপ্রোচ করেন বিএনপি নেতার ছেলে সিজার। তাঁরা জয়কে অপহরণের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে সিজার ও তাঁর সহযোগীদের সাজাও হয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াতের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগসংক্রান্ত তথ্য সংসদকে অবহিত করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এই লবিস্ট নিয়োগে কত টাকা ব্যয় করেছে, সেই তথ্যও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত যুক্তরাষ্ট্রে মোট আটটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। ২০১৪ সালে জামায়াত একটি ফার্ম নিয়োগ করে যুদ্ধাপারাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য। এ জন্য তাঁরা দেড় লাখ ডলার দেয়। বিচার বন্ধে তাঁরা আরেকটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল। আর যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে প্রভাবিত করার জন্য পিস অ্যান্ড জাস্টিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৩২ হাজার ডলার দিয়ে নিয়োগ করে।
আজ বুধবার সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানান এ কে আব্দুল মোমেন। এর আগে রোববার জাতীয় সংসদে যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক। এর প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করা সে দেশের আইনে একটি বৈধ প্রক্রিয়া উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভারত, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে লবিস্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। কিন্তু লবিস্ট নিয়োগের উদ্দেশ্য কী সেটা হলো মুখ্য।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ২৭ লাখ ডলার প্রতিবছর, প্রতি মাসে রিটেইনার ফি ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ব্যয় করেছে। এই তথ্যগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিএনপি ২০১৭ সাল পর্যন্ত চারটি এবং ২০১৯ সালে একটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে জামায়াত-বিএনপি তিনটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে।
মন্ত্রী বলেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছে, লবিস্টরা এমন সব বক্তব্য তুলে ধরেছেন, যেগুলো দেশের মানুষ জানলে ধিক্কার দেবে। লবিস্ট চিঠি দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশে সাহায্য-সহায়তা বন্ধ করে দিতে বলেছে। উন্নয়ন যাতে ব্যাহত হয় তার জন্য তারা যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বলছে।
মন্ত্রী বলেন, মাঠে-ময়দানে যাঁরা বিএনপির কর্মী আছেন, তাঁরা কেউ চাইবেন না দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাক। তাঁদের কিছু নেতৃস্থানীয় মানুষ তাঁদের অগোচরে এমন কাজ করেছেন। বিএনপি সদস্যরাও নিশ্চয় চান না দেশ রসাতলে যাক। তাঁদের নেতারা কীভাবে এসব লেখতে পারেন?
সরকারের লবিস্ট নিয়োগ প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার লবিস্ট নিয়োগ করেনি। পিআর ফার্ম (জনসংযোগ) নিয়োগ করেছে। একটা হচ্ছে সিনেট, স্টেট ডিপার্টমেন্টে গিয়ে লবিং করে তদবির করে। সরকার সে ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করেনি। সরকার যেটা করেছে অপপ্রচার, মিথ্যা তথ্য যেগুলো ছড়ানো হয় তার বিপরীতে সত্য তথ্যগুলো জানানোর জন্য।
তিনি বলেন, বিজিআর নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০১৪-১৫ সালে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে সময় যুদ্ধাপারাধীদের বিচার বন্ধে বানোয়াট তথ্যের বিরুদ্ধে যাতে লিখতে পারে। বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা বন্ধের জন্য বিজিআরকে নিয়োগ দেওয়া হয়। দেশের জন্য, দেশের জনগণের জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য এবং বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধের জন্য, অপপ্রচারের বদলে সত্য কথা বলার জন্য বাংলাদেশ সরকার জনগণের মঙ্গলের জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা প্রয়োজন সেটা নেবে। তার একটি নমুনা হচ্ছে বিজিআর। তারা যখন অসত্য তথ্য দিচ্ছে, তখন বিজিআরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কিছু কিছু লোক জাতিসংঘের মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের সংসদকে অবৈধ ঘোষণা করার জন্য। এ ধরনের কাজ যারা করে তাদের প্রতি ধিক্কার। বিএনপি যে এতগুলো ফার্মে রাষ্ট্রবিরোধী কাজে এত টাকা ব্যয় করল, তারা কি তাদের দলের আয়-ব্যয়ের হিসাবে দেখিয়েছেন? তারা কি তাদের সব নেতার সঙ্গে আলোচনা করে এই কাজগুলো করেছে?
সরকার ও বিএনপির মধ্যে মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু তাই বলে দেশের অনিষ্ট করা যাবে না মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও তাঁর পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে কোথায় যান কী করেন সেই খোঁজ নেওয়ার জন্য এফবিআইয়ের প্রতি অ্যাপ্রোচ করেন বিএনপি নেতার ছেলে সিজার। তাঁরা জয়কে অপহরণের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে সিজার ও তাঁর সহযোগীদের সাজাও হয়েছে।
বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরল ইসলাম মনি বলেছেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার নেতাকর্মীরা দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপির নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছেন। আমিও অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। অনেক হাজার হাজার কোটি টাকা লুট ও বিদেশে পাচার করেছেন। তাদের আর মাথাচাড়া দিয়
৪ মিনিট আগেহলে আধিপত্য বিস্তার ও ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি সক্রিয় করাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের মধ্যে গত রোববার রাতে সংঘর্ষ হয়।
১২ মিনিট আগেবরিশাল আইএইচটিতে সিনিয়র-জুনিয়র সংঘর্ষের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব স্থগিত, আটজন বহিষ্কার এবং একজনকে সতর্ক করা হয়েছে। শাস্তি নিশ্চিত করতে তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
৪৩ মিনিট আগেজেলার খবর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সুবর্ণচর, গৃহবধূ, লাশ উদ্ধার, স্বজন, অভিযোগ, পিটিয়ে হত্যা
১ ঘণ্টা আগে