মেট্রোরেলের ক্যান্টিন ভাড়া ১ হাজার টাকা অযৌক্তিক নয়: তদন্ত কমিটি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৪, ২৩: ০৬
আপডেট : ১১ জুন ২০২৪, ১৭: ২১

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ৭ হাজার ৫৮০ বর্গফুটের ক্যান্টিন মাসিক ১ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ অযৌক্তিক নয় বলে মনে করে তদন্ত কমিটি। 

আজ সোমবার কমিটির প্রতিবেদনের বিষয়টি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চকে অবহিত করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের আইনজীবী। পরে আদালত প্রতিবেদনটি হলফনামা আকারে দাখিলের নির্দেশ দিয়ে আগামী ১২ জুন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। 

দুই সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের মতামত অংশে বলা হয়, নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারীদের জন্য এই ক্যান্টিন ডিএমটিসিএলের এমআরটি-৬–এর উত্তরা ডিপোর কেপিআইভুক্ত এলাকায় অবস্থিত। যেহেতু এটি অবাণিজ্যিক প্রকৃতির, সেহেতু ‘সৌজন্য ভাড়া’ হিসাবে মাসিক এক হাজার টাকা হারে এক বছরের জন্য (ভ্যাট ও আয়কর ছাড়া) সার্বিক প্রেক্ষাপট ও একই ধরনের অন্যান্য ক্যান্টিনের ভাড়া মূল্য বিবেচনায় অযৌক্তিক বলা যায় না। 

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। 

গত ১৪ মার্চ ডিএমটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য ভাড়া দেওয়া তথ্য জানা যায়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভাড়া হিসাবে মাসিক ১ হাজার টাকা হারে এক বছরের জন্য ভ্যাট ও আয়কর ছাড়া সর্বমোট ১২ হাজার টাকা মূল্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতায় পরিচালিত এমআরটি লাইন-৬-এর উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭ হাজার ৫৮০ বর্গফুট স্টাফ ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য দরপত্র ডাকা হয়। পরে ১ জানুয়ারি দাখিল করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খন্দকার এন্টারপ্রাইজের দরপত্রটি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কাছে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছে। 

ওই বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি নজরে এলে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ। তবে নোটিশের পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিট করেন তিনি। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমটিসিএল’র ক্যান্টিন মাসিক ১ হাজার টাকায় ভাড়া দেওয়ার ঘটনা গত ২১ মার্চ তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

আরও খবর পড়ুন:

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত