নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘জাতীয়তার ভিত্তি তৈরিতে ভাষা অসম্ভব শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে। সব বাঙালির যোগসূত্র হচ্ছে বাংলা ভাষা। বাংলা ভাষাকে ভিত্তি করেই আমাদের জাতিসত্তার বিকাশ ঘটেছে। আমাদের যে স্বতন্ত্র পরিচয় সেটিও ঘটেছে বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে। এ কারণেই জয়বাংলা কথাটি আমাদের হৃদয়ে এত দোলা দেয়। রক্তে এত আগুন ধরিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু শুনলেই অন্যরকমের একটা বোধ তৈরি হয়ে যায়। আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের যে সময়টুকু দেখি, যার মাধ্যমে এই রাষ্ট্রের উদ্ভব, যেটিতে ভাষার ভূমিকা অসাধারণ।’
আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ও বিকাশ’ শীর্ষক এক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশভাগের নানা কথা আছে। আমরা ভারত ভাগের কথা বলি। আমার কাছে মনে হয়, ভারত আসলে ভাগ হয়নি। ভাগ হয়েছে বাংলা আর পাঞ্জাব। আর বাকি ভারত সব এক হয়েছে। কেন যুক্ত বাংলা এক হলো না। বঙ্গবন্ধু সব সময় লাহোর প্রস্তাবে বিশ্বাস করতেন। বাংলার মানুষকে নিয়ে একটা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে সেটা তিনি ভাবতেন। তারপরে নানা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্র সৃষ্টির পেছনে ভাষার শক্তি, ভাষার ঐতিহ্য রয়েছে। শুধু হাজার বছর নয়, তারও পেছনে গিয়ে যে শক্তির জায়গা সেটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে সফলতা পেয়েছে। জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির যে দীর্ঘ পথপরিক্রমা তার মধ্যে সংগ্রামের যে ইতিহাস, সেটি মানুষের ইতিহাস, সেটি নিম্নবর্গের ইতিহাস। সেটি অভিজাত হিন্দু-মুসলমানের তুলনায় অনেক বেশি সাধারণ মানুষের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু সেটিকে সেতুবন্ধন তৈরি করে ঐক্যয় নিয়ে এসেছেন।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ এবং বিকাশের পথ ধরে। এর সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাঙালি সত্তা এবং চেতনা ওতপ্রোত জড়িত। এর পেছনে রয়েছে বাঙালির সাড়ে চার হাজার বছরের ইতিহাস। যেটিকে লালন করে বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে স্বাধীনতা এনেছেন, জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি করেছেন।’
একক বক্তৃতায় ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার বলেন, ‘জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা হাজার বছরের ঐতিহ্য বহন করছি। আমরা বাংলা ভাষী মানুষ। আমরা এক সংস্কৃতির অংশ। এই পরিচয়টা বাঙালি জাতীয়তাবাদের সর্বোৎকৃষ্ট পরিচয়। এই বঙ্গ কেন্দ্রিক একটা স্বদেশ প্রেম তৈরি হয়েছে এই জনপদের মানুষের মনে। অনেক কবিরা এর বন্দনা করেছেন। শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিত্বের পরিচয় আমাদের জন্য নির্মাণ করে দিয়ে গেছেন। সেই পরিচয়টা যেন আমরা যোগ্যভাবে বহন করতে পারি।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তৃতা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার তানিয়া আমির, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক, গবেষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘জাতীয়তার ভিত্তি তৈরিতে ভাষা অসম্ভব শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে। সব বাঙালির যোগসূত্র হচ্ছে বাংলা ভাষা। বাংলা ভাষাকে ভিত্তি করেই আমাদের জাতিসত্তার বিকাশ ঘটেছে। আমাদের যে স্বতন্ত্র পরিচয় সেটিও ঘটেছে বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে। এ কারণেই জয়বাংলা কথাটি আমাদের হৃদয়ে এত দোলা দেয়। রক্তে এত আগুন ধরিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু শুনলেই অন্যরকমের একটা বোধ তৈরি হয়ে যায়। আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের যে সময়টুকু দেখি, যার মাধ্যমে এই রাষ্ট্রের উদ্ভব, যেটিতে ভাষার ভূমিকা অসাধারণ।’
আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ও বিকাশ’ শীর্ষক এক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশভাগের নানা কথা আছে। আমরা ভারত ভাগের কথা বলি। আমার কাছে মনে হয়, ভারত আসলে ভাগ হয়নি। ভাগ হয়েছে বাংলা আর পাঞ্জাব। আর বাকি ভারত সব এক হয়েছে। কেন যুক্ত বাংলা এক হলো না। বঙ্গবন্ধু সব সময় লাহোর প্রস্তাবে বিশ্বাস করতেন। বাংলার মানুষকে নিয়ে একটা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে সেটা তিনি ভাবতেন। তারপরে নানা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্র সৃষ্টির পেছনে ভাষার শক্তি, ভাষার ঐতিহ্য রয়েছে। শুধু হাজার বছর নয়, তারও পেছনে গিয়ে যে শক্তির জায়গা সেটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে সফলতা পেয়েছে। জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির যে দীর্ঘ পথপরিক্রমা তার মধ্যে সংগ্রামের যে ইতিহাস, সেটি মানুষের ইতিহাস, সেটি নিম্নবর্গের ইতিহাস। সেটি অভিজাত হিন্দু-মুসলমানের তুলনায় অনেক বেশি সাধারণ মানুষের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু সেটিকে সেতুবন্ধন তৈরি করে ঐক্যয় নিয়ে এসেছেন।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ এবং বিকাশের পথ ধরে। এর সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাঙালি সত্তা এবং চেতনা ওতপ্রোত জড়িত। এর পেছনে রয়েছে বাঙালির সাড়ে চার হাজার বছরের ইতিহাস। যেটিকে লালন করে বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে স্বাধীনতা এনেছেন, জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি করেছেন।’
একক বক্তৃতায় ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার বলেন, ‘জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা হাজার বছরের ঐতিহ্য বহন করছি। আমরা বাংলা ভাষী মানুষ। আমরা এক সংস্কৃতির অংশ। এই পরিচয়টা বাঙালি জাতীয়তাবাদের সর্বোৎকৃষ্ট পরিচয়। এই বঙ্গ কেন্দ্রিক একটা স্বদেশ প্রেম তৈরি হয়েছে এই জনপদের মানুষের মনে। অনেক কবিরা এর বন্দনা করেছেন। শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিত্বের পরিচয় আমাদের জন্য নির্মাণ করে দিয়ে গেছেন। সেই পরিচয়টা যেন আমরা যোগ্যভাবে বহন করতে পারি।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তৃতা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার তানিয়া আমির, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক, গবেষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ মোতাবেক বিষ প্রয়োগে কোনো প্রাণী হত্যা করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবীরা আগেই এখানকার সব পথকুকুর ও বিড়ালকে বন্ধ্যা করেছিল এবং প্রয়োজনীয় টিকা দিয়েছিলেন।
১৩ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের উলিপুরে মন্দিরে নির্মাণাধীন প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও প্রশাসন তদন্তে নেমেছে। রোববার দুপুর পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
২১ মিনিট আগেস্বপ্ন ছিল আদরের সন্তান একদিন নামকরা প্রকৌশলী হবে। সে আশায় সন্তানকে ভর্তি করান ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। পড়াশোনা শিখে নিজের ও পরিবারের জন্য আলোকিত ভবিষ্যৎ বয়ে আনবেন এই ছিল স্বপ্ন। কিন্তু মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনায় সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টে
৩১ মিনিট আগেনড়াইলে চার মামলার পরোয়ানাভুক্ত ও এক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বিল্লাল শেখকে (৫০) পুলিশের গাড়ি থেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বজনদের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার গোবরা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে