উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর উত্তরার ‘ক্যাম্পফায়ার’ নামের একটি বারে কাস্টমার ও স্টাফদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ, স্থানীয় এক সংবাদকর্মী, কাস্টমার ও বারের স্টাফসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আযম সড়কের ৫৫ নম্বর ভবনের ওই বারে গতকাল রোববার (২ জুন) মধ্যরাতে এ সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টাব্যাপী ধরে চলা ওই সংঘর্ষ উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এ সময় পুলিশের গাড়ির সামনের গ্লাস ভাঙচুর এবং চাবি নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন— পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুন নবী, স্থানীয় সংবাদকর্মী সৈয়দ ইদ্রিস আলী, বারের দুজন স্টাফ ও চারজন অতিথি। তবে তাঁদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চার-পাঁচজন উঠতি বয়সী যুবক বার থেকে মদ খেয়ে চলে যাওয়ার সময় ভবনের নিচে স্টাফদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। পরে বারটির ফ্লোর ইনচার্জ নাজিম, জুয়েল, মাসুদসহ ১৫-২০ জন স্টাফ উত্তরার কামাড়পাড়া ও তুরাগ এলাকার উঠতি বয়সীদের ওপর হামলা চালায়। সেখানে চার তরুণ আহত হন। আহতদের খবরে আরও উঠতি বয়সী কিশোর-তরুণেরা ছুটে আসলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
হামলার পরপরই ওই বারটিতে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন সরকারসহ যুবলীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা সেখানে রয়েছেন। জানা যায়, মামুন সরকারও বারটির মালিক কর্তৃপক্ষের একজন। যুবলীগ নেতা মামুন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মদ খেয়ে মাতাল হয়ে কিছু পোলাপান স্টাফদের ওপর হামলা চালিয়েছে। কিন্তু কি কারণে হামলা চালিয়েছে তা জানা যায়নি।’
আহত সংবাদকর্মী সৈয়দ ইদ্রিস আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বারটির সামনের রোড দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন চিৎকার শুনে কাছে গিয়ে দেখতে পাই, চার-পাঁচজন গেস্টকে ২০-২৫ জন বারের স্টাফ মিলে ফ্লোরে ফেলে এলোপাতাড়ি পেটাচ্ছে। ওই সময় আমি মোবাইলে ভিডিও করতে গেলে বারের এক স্টাফ এসে কাচের পাইপ দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে।’
হামলায় আহত একজন গেস্ট বলেন, ‘আমরা বার থেকে চলে যাওয়ার সময় সেখানকার স্টাফ আমাদের গায়ে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারার কারণ জানতে চাইলে তাঁরা হামলা করে।’ তবে ওই গেস্টের নাম জানা যায়নি।
ভবনটির নিরাপত্তাকর্মী সেলিম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ১৫ জানুয়ারি থেকে বাড়ির চারতলায় ক্যাম্পফায়ার বারটি চালু হয়। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত বারের মধ্যে মারামারি, ঝামেলা লেগেই থাকে। গত রাতেও বারের বাউন্সার, সিকিউরিটি গার্ড, স্টাফদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।’
ক্যাম্পফায়ার বারের ফ্লোর ইনচার্জ (ক্যাপ্টেন) শাহ নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘মদ খেয়ে মাতলামি করে কিছু পোলাপান আমাদের স্টাফদের ওপর হামলা চালিয়েছে। একজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরেকজন অচেতন অবস্থায় ফ্লোরে আছেন। নিচের হামলার পর পরই ওপরের ফ্লোরে আবার এক গেস্ট মদের গ্লাস দিয়ে এক স্টাফের কপাল ফাটিয়ে ফেলেছে।’
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাম্পফায়ার বারটির মালিক মো. জুয়েল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তুরাগের কিছু উঠতি পোলাপান বারে এসে স্টাফদের মারধর করেছে। কিন্তু এর কারণ জানা যায়নি।’
সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজুয়ান ফকির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন।’
পুলিশের গাড়িতে হামলার ও গাড়ির চাবি নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রিজুয়ান ফকির বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। ওই সময় হয়তো কেউ চাবি নিয়ে যায়। আর আমরা যখন সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত ছিলাম, তখন গাড়ির সামনের গ্লাস ফাটানো হয়। কিন্তু কীভাবে ফাটানো হয়, তা জানা নেই।’
অপরদিকে পরিদর্শক (অপারেশন) পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
রাজধানীর উত্তরার ‘ক্যাম্পফায়ার’ নামের একটি বারে কাস্টমার ও স্টাফদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ, স্থানীয় এক সংবাদকর্মী, কাস্টমার ও বারের স্টাফসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আযম সড়কের ৫৫ নম্বর ভবনের ওই বারে গতকাল রোববার (২ জুন) মধ্যরাতে এ সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টাব্যাপী ধরে চলা ওই সংঘর্ষ উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এ সময় পুলিশের গাড়ির সামনের গ্লাস ভাঙচুর এবং চাবি নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন— পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুন নবী, স্থানীয় সংবাদকর্মী সৈয়দ ইদ্রিস আলী, বারের দুজন স্টাফ ও চারজন অতিথি। তবে তাঁদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চার-পাঁচজন উঠতি বয়সী যুবক বার থেকে মদ খেয়ে চলে যাওয়ার সময় ভবনের নিচে স্টাফদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। পরে বারটির ফ্লোর ইনচার্জ নাজিম, জুয়েল, মাসুদসহ ১৫-২০ জন স্টাফ উত্তরার কামাড়পাড়া ও তুরাগ এলাকার উঠতি বয়সীদের ওপর হামলা চালায়। সেখানে চার তরুণ আহত হন। আহতদের খবরে আরও উঠতি বয়সী কিশোর-তরুণেরা ছুটে আসলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
হামলার পরপরই ওই বারটিতে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন সরকারসহ যুবলীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা সেখানে রয়েছেন। জানা যায়, মামুন সরকারও বারটির মালিক কর্তৃপক্ষের একজন। যুবলীগ নেতা মামুন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মদ খেয়ে মাতাল হয়ে কিছু পোলাপান স্টাফদের ওপর হামলা চালিয়েছে। কিন্তু কি কারণে হামলা চালিয়েছে তা জানা যায়নি।’
আহত সংবাদকর্মী সৈয়দ ইদ্রিস আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বারটির সামনের রোড দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন চিৎকার শুনে কাছে গিয়ে দেখতে পাই, চার-পাঁচজন গেস্টকে ২০-২৫ জন বারের স্টাফ মিলে ফ্লোরে ফেলে এলোপাতাড়ি পেটাচ্ছে। ওই সময় আমি মোবাইলে ভিডিও করতে গেলে বারের এক স্টাফ এসে কাচের পাইপ দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে।’
হামলায় আহত একজন গেস্ট বলেন, ‘আমরা বার থেকে চলে যাওয়ার সময় সেখানকার স্টাফ আমাদের গায়ে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারার কারণ জানতে চাইলে তাঁরা হামলা করে।’ তবে ওই গেস্টের নাম জানা যায়নি।
ভবনটির নিরাপত্তাকর্মী সেলিম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ১৫ জানুয়ারি থেকে বাড়ির চারতলায় ক্যাম্পফায়ার বারটি চালু হয়। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত বারের মধ্যে মারামারি, ঝামেলা লেগেই থাকে। গত রাতেও বারের বাউন্সার, সিকিউরিটি গার্ড, স্টাফদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।’
ক্যাম্পফায়ার বারের ফ্লোর ইনচার্জ (ক্যাপ্টেন) শাহ নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘মদ খেয়ে মাতলামি করে কিছু পোলাপান আমাদের স্টাফদের ওপর হামলা চালিয়েছে। একজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরেকজন অচেতন অবস্থায় ফ্লোরে আছেন। নিচের হামলার পর পরই ওপরের ফ্লোরে আবার এক গেস্ট মদের গ্লাস দিয়ে এক স্টাফের কপাল ফাটিয়ে ফেলেছে।’
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাম্পফায়ার বারটির মালিক মো. জুয়েল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তুরাগের কিছু উঠতি পোলাপান বারে এসে স্টাফদের মারধর করেছে। কিন্তু এর কারণ জানা যায়নি।’
সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজুয়ান ফকির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন।’
পুলিশের গাড়িতে হামলার ও গাড়ির চাবি নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রিজুয়ান ফকির বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। ওই সময় হয়তো কেউ চাবি নিয়ে যায়। আর আমরা যখন সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত ছিলাম, তখন গাড়ির সামনের গ্লাস ফাটানো হয়। কিন্তু কীভাবে ফাটানো হয়, তা জানা নেই।’
অপরদিকে পরিদর্শক (অপারেশন) পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৩ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৪ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে