Ajker Patrika

বিএনপি নেতা আমীর খসরু, স্বপন ও প্রিন্সের জামিন নামঞ্জুর 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭: ২৫
বিএনপি নেতা আমীর খসরু, স্বপন ও প্রিন্সের জামিন নামঞ্জুর 

বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে এবং পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে জামিন দেননি আদালত। 

আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের পৃথক আদেশে তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল তিনজনের জামিন নামঞ্জুর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ৯ নভেম্বর ছয় দিনের রিমান্ড শেষে খসরু ও স্বপনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ওই দিন জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হলে একপর্যায়ে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল আমিরুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির অন্য শীর্ষ নেতাসহ ১৬৪ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়।

পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের জামির নামঞ্জুর করেছেন একই আদালত।
গত 8 নভেম্বর তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতে হাজির করার পর আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে গত ৫ নভেম্বর প্রিন্সকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ১ নভেম্বর পল্টন মামলা দায়ের করেন। খিলক্ষেত থানার এসআই শফিকুল ইসলাম গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে কর্তব্যরত ছিলেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঘোষিত মহাসমাবেশের কার্যক্রম হঠাৎ ভেঙে গেলে শান্তিনগর মোড় এবং ফকিরাপুল মোড় অতিক্রম করার সময় বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে যেতে থাকেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। তখন এজাহারনামীয় আসামিরা এবং বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অজ্ঞাতনামা পলাতক ৪০০-৫০০ নেতা-কর্মী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও আবদুস সালামদের উসকানিতে ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় পল্টন মডেল থানাধীন পুলিশ ক্যানটিনে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর এবং তাণ্ডবলীলা চালায়। পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় এএসআই এরশাদুল হককে আহত করে তাঁর পিস্তল ছিনিয়ে নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত