পুলিশের চাকরিটাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়া উল্লেখ করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘পুলিশ সব সময় ঝুকিপূর্ণ কাজ করে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর শত শত সহকার্মী ঝুকিপূর্ণ কাজ করতে গিয়ে আমরা হারাই। তবে প্রতিটি ঘটনা থেকে আমরা শিখি ও সতর্ক হই।’ 

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আল মানার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আসামি ধরতে গিয়ে কবজি বিচ্ছিন্ন পুলিশ সদস্য জনি খানকে দেখতে এসে আইজিপি এ কথা বলেন। এর আগে আহত জনি খানের সঙ্গে কথা বলেন আইজিপি। 

গত ১৫ মে সকাল ১০টার দিকে লোহাগাড়া থানার পদুয়া ইউনিয়নের লালারখিল এলাকায় আসামির ধারালো দায়ের কোপে পুলিশ সদস্য জনি খানের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ১৬ মে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আল মানার হাসপাতালে পুলিশ সদস্য জনি খানের হাতের কবজি প্রায় ৯ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় জোড়া লাগানো হয়। গত ১৯ মে দিনগত রাতে কবজি বিচ্ছিন্নের মর্মান্তিক ঘটনায় মূল আসামি কবির আহমদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। 

আইজিপি বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে আহত কনস্টেবল জনি ভালো আছেন। এই হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে বিচ্ছিন্ন কব্জিকে অপারেশনের পর জোড়া লাগান। বাংলাদেশের যে সমস্ত চিকিৎসক এই অপারেশন করেছেন তাঁদের কাছে পুলিশ কৃতজ্ঞ। আমাদের দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক এগিয়েছে এটিই তার প্রমাণ ৷ আহত কনস্টেবলের জন্য আমরা দোয়া চাই। আর এই কাজটি যে আসামি করেছিল তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ 

পুলিশ কোনো জনগোষ্ঠী কিংবা কারো টার্গেট কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি এভাবে দেখিনা। পুলিশ অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কাজ করে। আর যারা অপরাধী তারা ভয়ানক ও বিপদ্দজনক। তাই তাদের আইনের আওতায় আনতে গেলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। তবুও আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনেই অভিযানগুলো পরিচালনা করি এবং দেশের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করি।’

যাকে-তাকে পুলিশি প্রটোকল দেওয়ার বিষয়ে পুলিশের কোনো গাফিলতি রয়েছে কি না জানতে চাইলে ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পুলিশের কোনো গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’