নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নভেম্বর মাসে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারা দেশে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে নেতা-কর্মী এবং সন্দেহভাজন সাধারণ মানুষসহ ৩৫টি ঘটনায় গ্রেপ্তার ও আটক হয়েছেন ২ হাজার ৬৬৩ জন।
এর মধ্যে ঢাকায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৯৩৬ এবং বাকি ১ হাজার ৭২৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন দেশের অন্যান্য জেলা থেকে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যালোচনা করে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) তাদের মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সংস্থাটির সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও এমএসএফের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রণীত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, নভেম্বর মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়ে ৪ জন নিহত ও ২৬০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ জন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এর কর্মী যাদের মধ্যে ২ জন অন্তদ্বন্দ ও ১ জনকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি ও জামায়াত এবং ১ জন বিএনপি কর্মীকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মীরা হত্যা করেছে। এ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অন্তত ১২টি ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে অপহৃত হয়েছেন ১২ জন বিএনপির নেতা-কর্মী, ১ জন গণ অধিকারের নেতা, ১ জন আওয়ামী লীগ কর্মী, ১ জন ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও ১ জন অজ্ঞাতনামা।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী নভেম্বরে কারা হেফাজতে মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে এর সংখ্যা ছিল ১০। এ মাসে ২ জন কয়েদি ও ৯ হাজতির মৃত্যু হয়েছে। নভেম্বর মাসে ১১টি ঘটনায় ১৬ জন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে আহত ও আক্রমণের শিকার হয়েছেন ৮ জন এবং ৮ জন সাংবাদিক আইনি হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ মাসে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে রাজধানীর মিরপুর, পল্লবী ও কাফরুলসহ গাজিপুর ও আশুলিয়ায় ৪১টি মামলা হয়েছে। এ সমস্ত মামলায় ১১৯ জন পোশাকশ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শ্রমিক আন্দোলনের সময়ে ১ জন নারী পোশাকশ্রমিকসহ মোট ৪জন পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা শতাধিক।
এমএসএফ’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী নভেম্বরে বৈধভাবে বসবাসরত ধর্মীয় সংখ্যালঘু ১৪টি পরিবারকে জমি থেকে উচ্ছেদ করার মতো ঘটনা ঘটেছে। এ মাসে ৩০৬ টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৪৩টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ৮টি, ধর্ষণ ও হত্যা ২টি। এর মধ্যে ৩ জন প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর রাজনৈতিক সংকট, হরতাল, অবরোধ, সহিংসতা, মামলা, গায়েবি মামলা, গণগ্রেপ্তার, সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে যা জনজীবনে গভীর বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের রাস্তায় শক্তি প্রদর্শন কিংবা বিরোধী দল দমনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। পুলিশের অভিযান সত্ত্বেও সরকারি দলের নেতাদের প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা গেছে। ফলে এ কথা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট। নতুনভাবে যোগ হয়েছে মুখোশ পরে গুপ্ত হামলার মতো ঘটনা। অত্যন্ত উদ্বেগজনক এ বিষয়টির বেশির ভাগ ঘটনা রাতে ও নির্জন রাস্তায় ঘটছে। মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে এসে মুখোশধারী ব্যক্তিরা আহত ও নিহতদের পিটিয়ে, কুপিয়ে, হাত-পায়ের রগ কেটে, গুলি চালিয়ে হত্যা ও গুরুতর জখম করছে। খবরের তথ্য অনুযায়ী গুপ্ত হামলার শিকার বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী। ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড হিসেবেই গণ্য করা যায়। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। এ সমস্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে এমএসএফ।
নভেম্বর মাসে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারা দেশে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে নেতা-কর্মী এবং সন্দেহভাজন সাধারণ মানুষসহ ৩৫টি ঘটনায় গ্রেপ্তার ও আটক হয়েছেন ২ হাজার ৬৬৩ জন।
এর মধ্যে ঢাকায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৯৩৬ এবং বাকি ১ হাজার ৭২৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন দেশের অন্যান্য জেলা থেকে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যালোচনা করে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) তাদের মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সংস্থাটির সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও এমএসএফের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রণীত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, নভেম্বর মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়ে ৪ জন নিহত ও ২৬০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ জন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এর কর্মী যাদের মধ্যে ২ জন অন্তদ্বন্দ ও ১ জনকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি ও জামায়াত এবং ১ জন বিএনপি কর্মীকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মীরা হত্যা করেছে। এ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অন্তত ১২টি ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে অপহৃত হয়েছেন ১২ জন বিএনপির নেতা-কর্মী, ১ জন গণ অধিকারের নেতা, ১ জন আওয়ামী লীগ কর্মী, ১ জন ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও ১ জন অজ্ঞাতনামা।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী নভেম্বরে কারা হেফাজতে মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে এর সংখ্যা ছিল ১০। এ মাসে ২ জন কয়েদি ও ৯ হাজতির মৃত্যু হয়েছে। নভেম্বর মাসে ১১টি ঘটনায় ১৬ জন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে আহত ও আক্রমণের শিকার হয়েছেন ৮ জন এবং ৮ জন সাংবাদিক আইনি হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ মাসে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে রাজধানীর মিরপুর, পল্লবী ও কাফরুলসহ গাজিপুর ও আশুলিয়ায় ৪১টি মামলা হয়েছে। এ সমস্ত মামলায় ১১৯ জন পোশাকশ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শ্রমিক আন্দোলনের সময়ে ১ জন নারী পোশাকশ্রমিকসহ মোট ৪জন পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা শতাধিক।
এমএসএফ’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী নভেম্বরে বৈধভাবে বসবাসরত ধর্মীয় সংখ্যালঘু ১৪টি পরিবারকে জমি থেকে উচ্ছেদ করার মতো ঘটনা ঘটেছে। এ মাসে ৩০৬ টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৪৩টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ৮টি, ধর্ষণ ও হত্যা ২টি। এর মধ্যে ৩ জন প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর রাজনৈতিক সংকট, হরতাল, অবরোধ, সহিংসতা, মামলা, গায়েবি মামলা, গণগ্রেপ্তার, সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে যা জনজীবনে গভীর বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের রাস্তায় শক্তি প্রদর্শন কিংবা বিরোধী দল দমনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। পুলিশের অভিযান সত্ত্বেও সরকারি দলের নেতাদের প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা গেছে। ফলে এ কথা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট। নতুনভাবে যোগ হয়েছে মুখোশ পরে গুপ্ত হামলার মতো ঘটনা। অত্যন্ত উদ্বেগজনক এ বিষয়টির বেশির ভাগ ঘটনা রাতে ও নির্জন রাস্তায় ঘটছে। মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে এসে মুখোশধারী ব্যক্তিরা আহত ও নিহতদের পিটিয়ে, কুপিয়ে, হাত-পায়ের রগ কেটে, গুলি চালিয়ে হত্যা ও গুরুতর জখম করছে। খবরের তথ্য অনুযায়ী গুপ্ত হামলার শিকার বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী। ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড হিসেবেই গণ্য করা যায়। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। এ সমস্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে এমএসএফ।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৩ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৪ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে